জাকাত প্রদানে দায়িত্বশীল হোন-২
০৪ মে ২০২৩, ১০:৫৩ পিএম | আপডেট: ০৫ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম

গত আলোচনাতেই বলা হয়েছে, জাকাতের মাসয়ালা এত সহজ নয়। বর্তমানে ঋণ বহু প্রকারের হয়। কিছু ঋণ আছে, যেগুলো জাকাতের হিসাবের ক্ষেত্রে বিয়োগ হবে। কিছু ঋণ আছে, যেগুলো বিয়োগ হবে না। এগুলো ভালো করে জানতে হবে। একটা ক্যালকুলেটর এসব কিছুর হিসাব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যথাযথ পন্থায় অনেক ক্ষেত্রেই করতে পারবে না। সুতরাং কেবল ক্যালকুলেটর বসিয়ে জাকাতের হিসাব করা কোনোক্রমেই নিরাপদ নয় অনেকের ক্ষেত্রেই। বিশেষত ব্যবসায়ী সমাজের ক্ষেত্রে।
হ্যাঁ, যাদের একেবারেই সিম্পল আয়, যাদের একমুখী আয়, তেমন কোনো ঝামেলা নেই, বিভিন্ন রকমের ঋণ-করজ নেই, উন্নয়নমূলক ঋণ নেই, তার ব্যাপার ভিন্ন, সে সম্পদের হিসাব করল আর আড়াই পার্সেন্ট জাকাত দিয়ে দিলো। কিন্তু অন্যান্যদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
জাকাতের হিসাব করতে বিজ্ঞ, দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য আলেমের সহযোগিতা নিতে হবে। বিশেষত ব্যবসায়ী সমাজকে। মনে রাখতে হবে, অনুমান করে কিছু দিয়ে দিলাম, জাকাত এমন বিষয় নয়; বরং পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব করে আড়াই পার্সেন্ট দেওয়া ফরজ। আমাকে কমপক্ষে আড়াই পার্সেন্ট আদায় করতেই হবে।
দুর্ভাগ্যবশত রাষ্ট্রগুলোতে ইসলামী বিধিবিধান কার্যকর না থাকায়, ইসলামী অর্থনীতি কার্যকর না থাকায় যেমনিভাবে আমরা প্রতিনিয়ত দুনিয়াবী দিক থেকে আর্থিকভাবে ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছি, আমাদের রাষ্ট্র ঋণাত্মক হচ্ছে, তেমনিভাবে দ্বীনিভাবেও মুসলমানরা অধঃপতনের শিকার হচ্ছে।
ইসলামী রাষ্ট্রের, ইসলামী অর্থনীতির এবং মুসলিম গণমানুষের আর্থিক নিরাপত্তার অন্যতম রক্ষাকবচ হচ্ছে ‘জাকাত’। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামী বিধিবিধান না থাকায় সে জাকাত প্রদান করার পুরোপুরি দায়িত্ব এখন মুসলমান নাগরিকের নিজের ওপর। যদিও বিভিন্ন ইসলামী রাষ্ট্রে, আমাদের দেশসহ বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রও জাকাতবোর্ড বানিয়ে থাকে, জাকাত নিয়ে থাকে।
জানা কথা, এটা ধর্মীয় বিধিবিধান পালন করা বা করানোর উদ্দেশ্যে নয়; বরং রাষ্ট্র অন্যান্যভাবে যেমন নাগরিকদের থেকে কর নেয় এবং বিভিন্ন সময় ত্রাণ নেয়, এটাও রাষ্ট্র তার একটা আয় হিসেবে নিয়ে থাকে। এবং যে রাষ্ট্রগুলো ধর্মীয় বিধিবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয় না, এ রাষ্ট্রগুলো অন্যান্য ক্ষেত্রে যেভাবে ধর্মীয় বা ইসলামের বিধিবিধান, আইনকানুন ইত্যাদি বিষয়ে উদাসীন থাকে, জানা কথা, এসব ক্ষেত্রেও তেমনই। রাষ্ট্র জাকাতের খুঁটিনাটি বিষয়াদি, মাসয়ালা-মাসায়েল এগুলো পালনে সাধারণত উদ্যোগী হয় না। সেক্ষেত্রে মুসলমানদের একটি ফরজ দায়িত্ব আদায় আরো ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।
এটি তো ছিল এতদিন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের সরকারি জাকাত-ব্যবস্থাপনার দশা। কিন্তু এর সাথে আরেকটি বিষয় হচ্ছে, জাকাত গ্রহণের জন্য বর্তমানে দেশ-বিদেশে এমন বহু সংস্থা, এমন বহু গোষ্ঠী, এমন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হাত বাড়াচ্ছে, যাদের সাধারণত অন্য কোনো কর্মকাÐ ধর্মীয় বা ধর্মের অনুক‚লে বা ইসলামের পক্ষে তেমন দেখা যায় না। এমনকি অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা বিধর্মীও বটে। অনেক প্রতিষ্ঠান কাজও করে বিধর্মীদেরকে নিয়ে (হয়তবা কোনো সময় মুসলমানদেরকে নিয়েও করে), তারাও দেখা যাচ্ছে এখন জাকাত চাচ্ছে। এই বিষয়টা আমাদের দেশে বর্তমান সময়ে এসে বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
বিভাগ : শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

সামরিক হামলার নিন্দা জানিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান তারেক রহমানের

বিজেজিইএ’র নতুন চেয়ারম্যান বাবুল সি. ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল

তারুণ্য ধরে রাখতে খাবার তালিকা পরিবর্তন

পার্বত্য অঞ্চলের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : জেলা প্রশাসক

নরসিংদীতে ছাগলের ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩, গ্রেফতার ২

ছাগলনাইয়ায় গণ-অধিকার পরিষদের বর্ধিত সভা পন্ড!

দিনাজপুরে পড়াশুনার ফাঁকে নারীদের উপার্জন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা
লাল বেনারসি এল শীতলজোড়ায় কিন্তু এল না বর : বিয়ের আগেই না ফেরার দেশে বাবলু

রাজস্থলীর বাঙ্গালহালিয়া বাজারে অজ্ঞাত একটি লাশ উদ্ধার

কালীগঞ্জ জুলাই ‘গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল’ এর চেক ও সঞ্চয়পত্র বিতরণ

জামায়াত নেতা আজহারুলের মুক্তি দাবিতে নোয়াখালীতে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ১৬ লাখ ছাড়িয়ে

কিশোরগঞ্জে জাতীয় বিজ্ঞানমেলা ও অলিম্পিয়াড আয়োজনে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে তালাকপ্রাপ্তা এক মহিলা গণধর্ষণের শিকার

নোয়াখালীতে কারাগারের ১৮ ফুট দেয়াল টপকে আসামির পালানোর চেষ্টা, ভিডিও ভাইরাল

‘বিতর্কিত কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করে কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে’

কুষ্টিয়ায় নারী চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় মামলা

ইরানের কাসেম ক্ষেপণাস্ত্র যেকারণে একটি সামরিক সম্পদ

বিশ্ব যুব ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় ইয়াজদানির স্বর্ণ জয়

কীসের অপারেশন সিঁদুর, মুখ দিয়ে খারাপ কথা বের হবে : কবীর সুমন