কাবাগৃহ বিশ্বের সর্ব প্রথম এবাদতের স্থান-১
২২ জুন ২০২৩, ১১:২৯ পিএম | আপডেট: ২২ জুন ২০২৩, ১১:৪২ পিএম
বাইতুল্লাহ বা কাবাগৃহ বিশ্বে সর্ব প্রথম এবাদতের স্থান। এতদপ্রসঙ্গে আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে : নিশ্চয়ই মানব জাতির জন্য সর্ব প্রথম যে ঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তাতো মক্কায় (বাক্কায়) যা বরকতময় ও বিশ্ব জগতের হেদায়েত হিসেবে চিহ্নিত। (সূরা আলে ইমরান : আয়াত-৯৬)।
এই আয়াতে কারীমায় ‘বাক্কা’ শব্দটি এসেছে। বাক্কা শব্দের অর্থ হলো মক্কা। এখানে ‘মীম’ অক্ষরকে ‘বা’ অক্ষর দ্বারা পরিবর্তন করা হয়েছে। আরবি ভাষায় এর অসংখ্য দৃষ্টান্ত রয়েছে। অথবা উচ্চারণ ভেঙ্গে মক্কার অপর নাম বাক্কা। তাই মক্কা এবং বাক্কা একই স্থানের উচ্ছারণ ভেদে দু’টি নাম। সুতরাং বাক্কা এবং মক্কা শব্দ দ্বারা সুনির্দিষ্ট একটি স্থানের প্রতিই-ইঙ্গিত করা হয়েছে। আরও লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে এই যে, আল কুরআনে বাক্কা নামটি মাত্র একবার ব্যবহৃত হয়েছে। যা আলোচ্য আয়াতে বিদ্যমান আছে।
গভীর দৃষ্টিতে তাকালে এটাও লক্ষ্য করা যায় যে, মক্কা নামটিও আল কুরআনে একবারই এসেছে। যেমন ইরশাদ হয়েছে : তিনি মক্কা উপত্যকায় তাদের হাত তোমাদের থেকে এবং তোমাদের হাত তাদের থেকে নিবারিত করেছেন, তাদের উপর তোমাদেরকে বিজয়ী করার পর; আর তোমরা যা কিছু কর আল্লাহপাক তার সম্যক দ্রষ্টা। (সূরা আল ফাতহ : আয়াত-২৪)।
এই আয়াতে কারীমায় বলা হয়েছে যে, মহান আল্লাহপাক মুসলমানদেরকে বিজয়ী করার পর কাফেরদের হাত মুসলমানদের থেকে এবং মুসলমানদের হাত কাফেরদের থেকে নিবারিত করেছেন। এর মূল ঘটনা হলো এই যে, ‘একবার মক্কার আশি জন কাফের তানঈম পাহাড়ে একত্রিত হয়ে এই পরিকল্পনা করল যে, তারা অতর্কিতে আক্রমন করে পিয়ারা নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.) কে হত্যা করবে। এই ইচ্ছা নিয়ে তারা পাহাড় থেকে নিচে অবতরণ করে।
রাসূলুল্লাহ (সা.) পূর্বাহ্নেই তাদের ষড়যন্ত্রের কথা অবগত হয়েছিলেন, তাই তিনি স্বীয় সাহাবায়ে কেরাম সহকারে তাদেরকে সদলবলে জীবিত অবস্থায় গ্রেফতার করেন। এবং মুক্তিপণ ছাড়াই তাদেরকে মুক্ত করে দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সূরা আল কাফত-এর ২৪ নং আয়াতটি নাজিল হয়। (সহিহ মুসলিম : ১৮০৮)।
তাছাড়া এই আয়াতে ‘বিবাতনি মাক্কাতা’ অর্থাৎ মক্কা উপত্যকা শব্দের আসল অর্থ মক্কা শহরই। কিন্তু এখানে হুদয়াবিয়ার স্থান বোঝানো হয়েছে। মক্কার সন্নিকটে অবস্থিত হওয়ার কারণে হুদায়াবিয়াকেই ‘বাতনে মক্কা’ বলে ব্যক্ত করা হয়েছে।
মোটকথা, সূরা আলে ইমরানের ৯৬ নং আয়াতে সারা বিশ্বের সকল গৃহ এমন কি মসজিদ ও উপাসনালয় সমূহের মোকাবিলায় ও কাবাগৃহের শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণিত হয়েছে। এই শ্রেষ্ঠত্বেও তিনটি কারণ উক্ত আয়াতে বিবৃত হয়েছে, প্রথমত : কাবা গৃহ সারা বিশ্বে সর্ব প্রথম এবাদত গৃহ। তার পূর্বে এই পৃথিবীতে কোনো এবাদতের গৃহ নির্মিত হয়নি। উপরোক্ত আয়াতে এ কথাই সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে যে, মানব জাতির এবাদতের জন্য সর্ব প্রথম যে গৃহ আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট করা হয় তা ঐ গৃহ, যা বাক্কায় (মক্কার অপর নাম ছিল বাক্কা) অবস্থিত। সুতরাং কাবাগৃহ বিশ্বের সর্ব প্রথম এবাদত গৃহ। ইতঃপূর্বে কোনো উপাসনালয় ও ছিল না এবং বাস গৃহও ছিল না। হযরত আদম (আ.) ছিলেন আল্লাহর নবী। পৃথিবীতে আগমনের পর তিনি নিজের জন্য বাসগৃহ নির্মাণের আগেই আল্লাহর ইঙ্গিতক্রমে ইবাদতের গৃহ কাবাঘর নির্মাণ করেছিলেন।
বিভাগ : শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ১২০ ফিলিস্তিনি
ইভেন্টের সেরা লড়াইটি উপহার দিলেন আফরা-সানজিদা
ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান পাহাড়ের পর জয়-জাকিরকে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ
নাটকীয় শেষ দশ মিনিটে দুই গোল শোধ করে বার্সাকে রুখে দিল সেল্তা
বিবর্ণ সিটিকে ইতিহাদেই বিধ্বস্ত করলো টটেনহ্যাম
নটিংহ্যামকে হারিয়ে চার ম্যাচের জয়খরা কাটালো আর্সেনাল
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে
আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না