কাবাগৃহ বিশ্বের সর্বপ্রথম এবাদতের স্থান-২
২৩ জুন ২০২৩, ১১:১৯ পিএম | আপডেট: ২৪ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
ইমাম বায়হাকী বর্নিত এক হাদিস হতে জানা যায়, বিশ্ব নবী রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : হযরত আদম (আ.) ও বিবি হাওয়া (আ.)-এর এই দুনিয়াতে আগমনের পর আল্লাহপাক হযরত জিব্রাইল (আ.)-এর মাধ্যমে তাদেরকে কাবাগৃহ নির্মাণের আদেশ দেন। এ গৃহ নির্মাণের পর তাদেরকে তা তাওয়াফ করার আদেশ দেয়া হয় এবং বলা হয়, আপনি সর্বপ্রথম মানব এবং এ গৃহ সর্বপ্রথম গৃহ যা মানবম-লীর জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। (তাফসিরে ইবনে কাসির)।
কোনো কোনো হাদিসে বর্ণিত আছে যে, হযরত আদম (আ.) কর্তৃক নির্মিত এ কাবাগৃহ হযরত নূহ (আ.)-এর মহাপ্লাবন পর্যন্ত অক্ষত ছিল। কিন্তু মহাপ্লাবনে এ গৃহ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। তারপর হযরত ইবরাহীম (আ.) প্রাচীন ভিত্তির উপর এ গৃহ পুনঃনির্মাণ করেন। পক্ষান্তরে এটাও সম্ভব যে, মানুষের বসবাসের গৃহ হয়ত পূর্বেই নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু এবাদতের জন্য কাবাগৃহই সর্বপ্রথম নির্মিত হয়েছিল এই অভিমতটি হযরত আলী (রা.) থেকেও বর্ণিত হয়েছে।
বস্তুত আদিকাল থেকেই কাবাগৃহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন অব্যাহত ছিল এবং আছে। কিয়ামত পর্যন্ত এই সম্মান প্রদর্শন চলতেই থাকবে এর কোনো পরিবর্তন হবে না। আলোচ্য আয়াতে ‘বুজিয়া লিন্নাছি’ শব্দের মাধ্যমে এই বিশেষত্বটিই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যে, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সমগ্র মানবগোষ্ঠি এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে।
মহান রাব্বুল আলামীন এই গৃহের প্রকৃতিতে এমন মাহাত্ম্য ও বিশেষত্ব প্রচ্ছন্ন রেখেছেন যে মানুষের দেহ মন ও অন্তর আপনা-আপনিই এর দিকে আকৃষ্ট হয়, অনুরক্ত হয়। এটা যেন সহজাত আকর্ষণের একান্ত উচ্ছ্বাস। এর তীব্র তরঙ্গে আন্দোলিত হয় না, এমন কিছু নেই। তবে, যারা ঈমানদার ও আল কুরআনের ধারক ও বাহক তাদের মাঝে পবিত্র কাবাগৃহের প্রতি যে আকর্ষণ অনুরনিত হয়, তা অন্যের মাঝে হয় না তা নিদ্বিধায় বলা যায়।
বস্তুত কাবাগৃহ নির্মিত হওয়ার দিন থেকেই আজ পর্যন্ত আল্লাহপাকের রহমত ও বরকতে সকল প্রকার শত্রুর আক্রমণ থেকে মক্কার অধিবাসীরা নিরাপত্তা লাভ করেছেন। আল্লাহদোহী আবরাহা এক বিরাট হস্তি বাহিনীসহ কাবাগৃহকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে মক্কায় উপস্থিত হয়েছিল। মহান আল্লাহপাক তাকে আবাবিল পাখির মাধ্যমে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করে দেন।
হরমে মক্কায় প্রবেশকারী মানুষ এমন কি জীব ও জন্তু পর্যন্ত বিপদমুক্ত হয়ে যায়। সেখানে বন্য হিংস্র জন্তু মানুষ দেখে পলায়ন করে না। দেখা যায় কাবাগৃহে বৃষ্টিপাত হলে তার পাশের অঞ্চলেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। তাছাড়া হজ ছাড়া ও বছরের অন্যান্য সময়ে তাওয়াফ ও জিয়ারতের উদ্দেশ্যে অগনিত মানুষ মক্কায় আগমন করেন। বিশেষ করে হজের সময়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে। কিন্তু কোনো সময়ই মক্কাবাসীরা অভাবের সম্মুখীন হয় না।
মহান আল্লাহপাক যাবতীয় প্রয়োজন পুরণের দ্রব্যসম্ভার সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ করে থাকেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের এতসব রহমত ও বরকতের স্রোতধারা কাবাগৃহকে কেন্দ্র করে প্রবাহিত হচ্ছে বলেই এর চিরন্তন নিদর্শন চির অমর, চির ভাস্বর ও চিরঞ্জীব হয়ে বিশ্বময় হেদায়েতের মূর্ত বিকাশ ঘটাতে থাকবে। এর কোনো ব্যত্যয় হবে না। আমীন!
বিভাগ : শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভয়াবহ তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাজ্য, বহু ফ্লাইট বাতিল
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ১২০ ফিলিস্তিনি
ইভেন্টের সেরা লড়াইটি উপহার দিলেন আফরা-সানজিদা
ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান পাহাড়ের পর জয়-জাকিরকে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ
নাটকীয় শেষ দশ মিনিটে দুই গোল শোধ করে বার্সাকে রুখে দিল সেল্তা
বিবর্ণ সিটিকে ইতিহাদেই বিধ্বস্ত করলো টটেনহ্যাম
নটিংহ্যামকে হারিয়ে চার ম্যাচের জয়খরা কাটালো আর্সেনাল
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে
আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স