রাষ্ট্র ও ক্ষমতার মালিক আল্লাহ তা’আলা
০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০২ এএম

আল্লাহ তা’আলা কুরআন কারীমে শাসনব্যবস্থা, শাসক ও শাসিত সম্পর্কে বহু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সে সকল দিকনির্দেশনা অবলম্বনেই তৈরি ইসলামী রাজ্য-শাসন নীতিমালা। এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বাগ্রে লক্ষণীয় আয়াতটি হল : (হে নবী, তুমি) বল, হে আল্লাহ! সার্বভৌম শক্তির মালিক! আপনি যাকে চান ক্ষমতা দান করেন, আর যার থেকে চান ক্ষমতা কেড়ে নেন। যাকে ইচ্ছা সম্মান দান করেন এবং যাকে চান লাঞ্ছিত করেন। সমস্ত কল্যাণ আপনারই হাতে। নিশ্চয়ই আপনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান। (সূরা আলে ইমরান : ২৬)।
এ আয়াতে শাসক ও শাসিত সকলের জন্যই হেদায়েত রয়েছে, রাষ্ট্র ও ক্ষমতার একমাত্র মালিক মহান আল্লাহ তাআলা। তিনিই বিশ্বজগতের অধিপতি। অনাদি থেকে অনন্ত তাঁরই একচ্ছত্র ক্ষমতা। সমস্ত কিছু তিনিই নিয়ন্ত্রণ করেন। কোনো শাসক বা জনগণ কোনো রাষ্ট্র ও ক্ষমতার মালিক নয়। আল্লাহ তা’আলা যখন যাকে চান কোনো অঞ্চলের সাময়িক শাসনক্ষমতা দান করেন।
কাজেই প্রত্যেক শাসককে মনে রাখতে হবে, এ শাসনক্ষমতা আল্লাহ তাআলার দান। আল্লাহ্ই এ শাসনভার দিয়েছেন। তাই শাসকের কর্তব্য, আল্লাহ তাআলার শোকর আদায় করা। যথাযথভাবে শোকর আদায়ের পন্থা হল, আল্লাহর চাওয়া ও নির্দেশনা পালন করা। আল্লাহ তা’আলা যখন যাকে শাসনক্ষমতা দেন, তিনি চান তাঁর বান্দারা যেন তাঁর প্রতি অনুগত থেকে তাঁরই বিধানাবলি পালন ও মানুষের মধ্যে বাস্তবায়ন করে, তাঁর দ্বীন ও কালিমা প্রতিষ্ঠা করে।
তাই শাসককে আল্লাহর অনুগত থেকে তাঁর বিধানাবলি অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করেই রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে। যদি তা করা হয়, তাহলেই আল্লাহ তাআলার এ দানের শোকর ও হক আদায় করা হবে। কিন্তু যদি কোনো শাসক তা না করে, বরং আল্লাহর অবাধ্যতা করে নিজের প্রতিপত্তি দেখিয়ে অন্যায়-অনাচার ও সীমালঙ্ঘন করতে থাকে, তাহলে আল্লাহ তা’আলা একসময় তার থেকে এ ক্ষমতা নিয়ে অন্য কাউকে দান করবেন। যেন পরবর্তীরা আল্লাহর দ্বীন ও কালিমা প্রতিষ্ঠা করে। একই শিক্ষা পরবর্তীদেরকেও মনে রাখতে হবে- এ ক্ষমতা তাদের জন্যও সাময়িক।
আল্লাহ তাআলার অবাধ্যতা করলে তিনি যে কোনো সময় তাদেরকে এ দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে আবার অন্য কাউকে তা দান করতে পারেন। পৃথিবীর ইতিহাস এভাবেই চলে আসছে। আল্লাহ তাআলার নীতি হল, আল্লাহর নেক বান্দাগণই যমীনে শাসনভারের প্রকৃত হকদার। কুরআন কারীমে ইরশাদ হয়েছে : আমি যাবুরে উপদেশের পর লিখে দিয়েছিলাম, ভূমির উত্তরাধিকারী হবে আমার নেক বান্দাগণ। (সূরা আম্বিয়া : ১০৫)। সুতরাং কুরআন কারীমের বার্তা অনুযায়ী নেককার ব্যক্তিই শাসনক্ষমতার প্রকৃত হকদার।
অতএব যে নেককার নয়, তার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসে থাকা একরকম জবরদখল। তার যোগ্যতা নেই, অধিকার নেই, তবুও সে এই পদে বসে আছে। তার উচিত স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে নেককার ব্যক্তির কাছে শাসনক্ষমতা হস্তান্তর করা। অথবা কালবিলম্ব না করে নিজেকে শুধরে নেওয়া। নেককার হয়ে যাওয়া। সুতরাং বোঝা গেল, শাসনক্ষমতার বিষয়টি কেবল দুনিয়াবী বিষয় নয়; বরং এর মূল উদ্দেশ্য আল্লাহ তাআলার দ্বীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করা।
যারা আল্লাহ তাআলার প্রতি ঈমান রাখে, আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই একসময় তাদেরকে বিজয়ী করবেন, শাসনক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করবেন। এটা আল্লাহ তাআলার প্রতিশ্রুতি। কুরআন কারীমে তিনি ইরশাদ করেন : তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি অবশ্যই তাদেরকে পৃথিবীতে নিজ খলীফা বানাবেন, যেমন খলীফা বানিয়েছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে এবং তাদের জন্য তিনি সেই দ্বীনকে অবশ্যই প্রতিষ্ঠা দান করবেন, যে দ্বীনকে তাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তারা যে ভয়-ভীতির মধ্যে আছে, তার পরিবর্তে তাদেরকে অবশ্যই নিরাপত্তা দান করবেন। তারা আমার ইবাদত করবে। আমার সাথে কোনো কিছুকে শরীক করবে না। এর পরও যারা অকৃতজ্ঞ হবে, তারাই অবাধ্য সাব্যস্ত হবে। (সূরা নূর : ৫৫)।
বিভাগ : শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

লজ্জাস্থানে হাত লাগলে অজু ভেঙে যাওয়া প্রসঙ্গে।

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার নামে লুটপাট চলত ফ্যাসীবাদের আমলে — ডিসি আরেফীন

৯ মাস পর বেরোবির ছাত্রলীগ-শিক্ষকসহ ১৭১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

শেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু

উপযুক্ত জবাব দিয়েছি, ভারত উত্তেজনা না বাড়ালে আর পদক্ষেপ নয়: সানাউল্লাহ

পুলিশের ৯ অতিরিক্ত ডিআইজিকে বদলি

টঙ্গীতে মাদকের বস্তি উচ্ছেদ, ১২০ কোটি টাকার জমিতে হতে যাচ্ছে স্কুল ও খেলার মাঠ

ভারত থেকে ‘পুশ-ইন’ অগ্রহণযোগ্য: নিরাপত্তা উপদেষ্টা

সামরিক হামলার নিন্দা জানিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান তারেক রহমানের

বিজেজিইএ’র নতুন চেয়ারম্যান বাবুল সি. ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল

তারুণ্য ধরে রাখতে খাবার তালিকা পরিবর্তন

পার্বত্য অঞ্চলের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : জেলা প্রশাসক

নরসিংদীতে ছাগলের ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩, গ্রেফতার ২

ছাগলনাইয়ায় গণ-অধিকার পরিষদের বর্ধিত সভা পন্ড!

দিনাজপুরে পড়াশুনার ফাঁকে নারীদের উপার্জন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা
লাল বেনারসি এল শীতলজোড়ায় কিন্তু এল না বর : বিয়ের আগেই না ফেরার দেশে বাবলু

রাজস্থলীর বাঙ্গালহালিয়া বাজারে অজ্ঞাত একটি লাশ উদ্ধার

কালীগঞ্জ জুলাই ‘গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল’ এর চেক ও সঞ্চয়পত্র বিতরণ

জামায়াত নেতা আজহারুলের মুক্তি দাবিতে নোয়াখালীতে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ১৬ লাখ ছাড়িয়ে