প্রশ্ন : আমরা সবসময় শুনে এসেছি যে, স্বামীর নাম মুখে আনলে গোনাহ হয়। কিন্তু ইদানীং অনেককেই স্বামীকে নাম ধরে ডাকতে দেখা যায়। বিষয়টি আসলে কী, জানতে চাই।
১৩ জুলাই ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৪, ১২:০৫ এএম

উত্তর : স্বামীর নাম মুখে আনলে বা প্রয়োজনে কখনো তাকে নাম ধরে ডাকলে গোনাহ হয় না। কিন্তু স্বামী যেহেতু নারীর প্রধান এবং পরম অভিবাবক-মুরব্বি অতএব নিজ পিতা-মাতা, চাচা, মামা ও শিক্ষকের ন্যায় স্বামীকেও নাম ধরে ডাকা শোভনীয় নয়। আমাদের মুসলিম সমাজে স্বামীর নাম মুখে না আনার বিষয়টি সম্ভবত এ সম্মান ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতেই চালু হয়েছে। স্বামীর নাম মুখে আনায় গোনাহ না হলেও অসমীচীনতাজনিত ত্রুটি অবশ্যই হয়। অবশ্য ক্ষেত্রভেদে এ অশোভনীয়তার বিধি শিথিলযোগ্য।
প্রশ্ন : বাড়ীর মুরব্বী মারা গেলে না কি ৪ দিন পর্যন্ত বাড়ীতে চুলা জ্বালানো যায় না? এ সময় অন্য বাড়ী থেকে রান্নাবান্না করে আনতে হয়। এ রীতি কি ইসলামসম্মত?
উত্তর : মৃত ব্যক্তির বাড়ীতে চুলা জ্বালানো বা রান্নাবান্না করা ইসলামে নিষিদ্ধ নয়। যেদিন বাড়ীতে কোনো মুরব্বী বা অন্য কেউ মারা যাবেন, সেদিনই রান্নাবান্না করা যাবে। ইসলামে মৃত ব্যক্তির জন্যে শোক পালনের সময়সীমা তিনদিন। এ তিনদিন তার জন্যে বিশেষ দোয়া, সদকা-খয়রাত, স্মৃতিচারণ এবং নিকটাত্মীয়দের শোকতাপ অত্যন্ত স্বাভাবিক। এ তিনদিন কোনো কার্যক্রম বন্ধ রাখা বা চালু রাখা বাধ্যতামূলক নয়। এ সময় স্বাভাবিক জীবনাযাত্রার কোনো কিছু স্থগিত রাখা বা চালু রাখা উভয়ই অনুমোদিত। অবশ্য বাংলাদেশের গ্রাম ও শহরে একটি নিয়ম চালু আছে যে, মৃত ব্যক্তির বাড়ীতে দু’একবার অন্যান্য বাড়ী থেকে খানা পাক করে উপহারস্বরূপ পাঠানো হয়। এটা ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধ ও সমবেদনারই বহিঃপ্রকাশ মাত্র। এতে দোষের কিছু নেই বরং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের রান্নাবান্নার ঝামেলা থেকে মুক্ত রাখার একটি প্রশংসনীয় মানবিক উদ্যোগ।
প্রশ্ন : আল্লাহর কালাম খচিত লকেট আমার বাচ্চার গলায় দিয়েছি। এটি আমাকে মানসিকভাবে নিশ্চিন্ত থাকতে সাহায্য করে। তাবিজ পরাতে চাই না, আপনার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাই।
উত্তর : আল্লাহর কালাম খচিত না আল্লাহর নাম খচিত এ বিষয়টি প্রশ্নে পরিষ্কার নয়। তবে লকেটে খোলামেলা আল্লাহর নাম বা কালাম লিখে ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ, শিশু অনেক সময় পাক নাপাকি বোঝে না। বড়রাও এসব ব্যবহার করার সময় নাপাক হতে পারে। বাথরুমে আসা যাওয়া করে। এতে আল্লাহর নাম বা কালামের মর্যাদাহানি ঘটে। তাই, খোলা লকেটে আল্লাহর নাম বা কালাম লেখা থাকলে তা ব্যবহার না করাই উত্তম। কাগজে বন্ধ ও তাবিজে হেফাজত করা নাম বা কালাম ব্যবহার করা যেতে পারে। কোনো অনৈসলামিক বিষয় বা লেখা তাবিজ আকারে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মনে রাখবেন, নিজের ও শিশুর নিরাপত্তার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে সুন্নত অনুযায়ী দোয়া কালাম পাঠ করাই যথেষ্ট। আলাদা লকেট বা তাবিজ ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না।
বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

বিমানবন্দর থেকে গুলশান: স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত রাজপথ

ভারতে শিক্ষার্থীদের ভিসা অগ্রাধিকারে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ঘোষণা

অপেক্ষায় ফিরোজা

খালেদা জিয়াকে আনতে ফিরোজা থেকে বিমানবন্দর গেল নতুন গাড়ি ‘টয়োটা ক্রাউন’

ইসরায়েলের সহায়তায় গাজায় লুটপাট, ধরা পড়লেই মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে হামাস

ইয়েমেনে ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র

বিমানবন্দর থেকে পথে পথে জনতা

জাবিতে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ছাত্রলীগ কর্মীর খাতা বাতিল

ময়মনসিংহে দুই দিনে ৬ থানার ওসিকে একযোগে বদলির আদেশ

মস্কোতে টানা ড্রোন হামলায় আতঙ্ক, সাময়িকভাবে বন্ধ চার বিমানবন্দর

খালেদা জিয়াকে বরণ করতে বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ঢল

এনসিপির হাতে আটক বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতাকে পুলিশে সোপর্দ

একদিনেই ইয়েমেন, লেবাননসহ ৪ দেশে ইসরায়েলের মুহুর্মুহু হামলা

গাজা পুরোপুরি দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার

খালেদা জিয়ার দেশে ফিরতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যানজট নিরসনে কাজ করছে পুলিশ-সেনা

একাত্তরের পর প্রথমবারের মতো ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে নিরাপত্তা মহড়ার নির্দেশ

নেত্রীর জন্য ভোর থেকে বিমানবন্দরে বিএনপি নেতাকর্মীদের অপেক্ষা

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই, একদিনেই নিহত আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি

শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ব্যবহার নিষেধ করায় প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করল ছাত্র

১৭ বছর পর দেশের মাটিতে ফিরছেন ডা. জোবাইদা রহমান