দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

Daily Inqilab ইনকিলাব

০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২৬ এএম | আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২৬ এএম

প্রশ্ন : আমাদের দেশে প্রায়ই ধর্ষণকারীর সাথে ভিকটিমকে জোর করে বিয়ে দেয়া হয়। এর ফলে জেনাকারীর কোনো শাস্তি হয় না। মেয়েটিকে সমাজের চাপে পড়ে মেনে নিতে হয়। এ পক্ষত্রে ইসলাম কী বলে? মেয়েটি কী বিচার পাবে?
উত্তর : ধর্ষণকারীর শাস্তি ক্ষেত্রবিশেষে বেত্রাঘাত বা প্রস্তরাঘাতে মৃত্যু। অসহায় ধর্ষিতার কোনো শাস্তি বা গুনাহ নেই। আমাদের দেশে শরিয়তের আইন চালু নেই, অতএব দেশীয় আইনে যে বিচার আছে তাই হওয়া উচিত। তবে এ দেশে সাধারণত অসহায় পক্ষ আইন আদালত করেও সুবিচার পায় না। তাদের ক্ষমতা ও টাকা কিছুই থাকে না। ধর্ষকরা প্রভাবশালী হওয়ায় উল্টা আরো জুলুম করে। এসব বিবেচনায় লোকেরা মেয়েটিকে ধর্ষকের হাতেই গছিয়ে দেয়। কারণ, এমন মেয়ের বিয়ে দেয়া কঠিন। উপস্থিত এ সমাধানটিই মন্দের ভালো বলে বিবেচনা করা হয়। এ সুযোগে ধর্ষকও শাস্তি থেকে বেঁচে যায়। ইসলামি মতে শাস্তি হওয়া জরুরি, এরপর বিয়ের প্রশ্ন। বিয়ে করে ফেলা শাস্তি থেকে বাঁচার কোনো রাস্তা নয়। নিরুপায় মানুষ অল্পে রক্ষা পেতে চায়, তাদের ইচ্ছা অনিচ্ছা বলতে কিছু থাকে না। জীবন-মরণ সমস্যায় মনের কষ্ট কিছুই না। অতএব, এ দেশে অসহায় ধর্ষিতাদের এমন বিভীষিকাময় সংসার করতে হয়। এরপরও নানা ফেকরা লেগেই থাকে। দীর্ঘ প্রায় হাজার বছর ইসলামি শরিয়ায় শাসিত বাংলাদেশে মানব রচিত আইনের কুফল এসব। সমাজব্যবস্থা ভেঙে নতুন করে না সাজানো পর্যন্ত এসব কান্না ও হাহাকার শেষ হবে না।

প্রশ্ন : ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে ‘মেডিক্যাল ম্যারিজুয়ানা’ বলে গাঁজা, চরশ ইত্যাদি বৈধভাবে গ্রহণের আইন হয়েছে। যদি সত্যিকার ভাবেই এতে উপকার পাওয়া যায়, এটি গ্রহণ করলে ইসলামে কোনো বাধা আছে কি?
উত্তর : কোরআনে আল্লাহ যে আয়াতে মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করেছেন, সেখানে বলেছেন, এতে মানুষের কিছু উপকার আছে। তবে এর ক্ষতিকারিতা ও পাপ এর উপকারের চেয়ে অনেক বেশি বড়। সুতরাং এ মাদক হারাম করার পর এর উপকারের দিকে আর তাকানো জায়েজ হবে না। হাদিস শরিফে এসেছে, মাদক সকল পাপের মূল। ইসলামি আইনে আছে, প্রতিটি মাদকদ্রব্য হারাম। আর যার বেশি হারাম, তার অল্পও হারাম। কেবল ডাক্তারের নির্দেশনায় কোনো মারাত্মক রোগীকে বেহুঁশ করা বা ব্যথ্যা বন্ধ করার জন্যই মাদক থেকে উৎপন্ন ওষুধ বা ইনজেকশন নেয়া সাময়িকভাবে জায়েজ হতে পারে। ব্যক্তিগত ইচ্ছায় এসব দ্রব্য, মাদকতা লাভ কিংবা নেশা করার জন্য ব্যবহার করা সর্বাবস্থায় হারাম।

প্রশ্ন : আমার স্ত্রীর সাথে বিয়ের আগেই শারীরিক সম্পর্ক ছিল। আমি বিয়ের পর আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চেয়েছি। এটি কি জেনা হবে? এখন কী করণীয়?
উত্তর : বিবাহপূর্ব মিলন অবশ্যই জেনা হয়েছে। এ জন্য সারাজীবন কঠিন তওবা ও কান্নাকাটি করে যেতে হবে। যেহেতু পরে বিয়ে করেছেন, তাই বর্তমানে স্বাভাবিক জীবন যাপন করুন। তওবা ইস্তেগফার ও দোয়া বন্ধ করবেন না। মৃত্যু পর্যন্তই ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকুন।


বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

যাকাতের টাকা থেকে কি দরিদ্র ছাত্রদের লেখা-পড়া করার জন্য সহায়তা প্রসঙ্গে।
পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।
রেকর্ডকৃত তেলাওয়াত ও রেকর্ডকৃত গান শোনা প্রসঙ্গে?
মোবাইলের ব্যাককভারে প্রিন্ট করা ছবি লাগানো প্রসঙ্গে
কেউ মারা গেলে সে বাড়ীতে চারদিন পর্যন্ত চুলা না জ্বালানো প্রসঙ্গে।
আরও

আরও পড়ুন

রোমাঞ্চকর ড্রয়ে শেষ ইউনাইটেড-লিভারপুল হাইভোল্টেজ লড়াই

রোমাঞ্চকর ড্রয়ে শেষ ইউনাইটেড-লিভারপুল হাইভোল্টেজ লড়াই

মির্জাপুর উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর মৃধার পদ স্থগিত

মির্জাপুর উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর মৃধার পদ স্থগিত

বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে বিজিবি হেফাজতে ৩৬ মিয়ানমার নাগরিক

বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে বিজিবি হেফাজতে ৩৬ মিয়ানমার নাগরিক

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কর্নেল অলির সাক্ষাৎ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কর্নেল অলির সাক্ষাৎ

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির মহাসচিব নেওয়াজ

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির মহাসচিব নেওয়াজ

আইনজীবীদের জুরিসপ্রুডেন্সের ওপর বই লেখার আহ্বান প্রধান বিচারপতির

আইনজীবীদের জুরিসপ্রুডেন্সের ওপর বই লেখার আহ্বান প্রধান বিচারপতির

রোমানিয়ায় কূটনীতিক মহসিনকে শাস্তির দাবিতে ৭ দিনের আলটিমেটাম

রোমানিয়ায় কূটনীতিক মহসিনকে শাস্তির দাবিতে ৭ দিনের আলটিমেটাম

লক্ষ্মীপুরে ফিটনেস বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান, ৩৯ হাজার টাকা জরিমানা

লক্ষ্মীপুরে ফিটনেস বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান, ৩৯ হাজার টাকা জরিমানা

দক্ষিণ এশিয়ান টেনিস বল ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ানশীপে রানার্স-আপ সৈয়দপুর দলকে সংবর্ধনা

দক্ষিণ এশিয়ান টেনিস বল ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ানশীপে রানার্স-আপ সৈয়দপুর দলকে সংবর্ধনা

সাভার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত

সাভার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত

ভাড়াটিয়াসহ মালিককে বের করে বসত বাড়ি দখল

ভাড়াটিয়াসহ মালিককে বের করে বসত বাড়ি দখল

যে মামলায় আটক লতিফ বিশ্বাস

যে মামলায় আটক লতিফ বিশ্বাস

নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষকদের প্রস্তুতি নিতে হবে

নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষকদের প্রস্তুতি নিতে হবে

প্রশাসন সংস্কারে কঠোর হতে হবে

প্রশাসন সংস্কারে কঠোর হতে হবে

অসভ্য নগরীতে পরিণত ঢাকা

অসভ্য নগরীতে পরিণত ঢাকা

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে চীনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে চীনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা

সমুদ্রে ক্ষয়যোগ্য শক্ত প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে গাড়িতেও

সমুদ্রে ক্ষয়যোগ্য শক্ত প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে গাড়িতেও

উৎসবে আতশবাজি নিষিদ্ধে হাজারও মানুষের আবেদন

উৎসবে আতশবাজি নিষিদ্ধে হাজারও মানুষের আবেদন

বাথরুমের নাম করে গয়না নিয়ে পালালেন কনে

বাথরুমের নাম করে গয়না নিয়ে পালালেন কনে

অর্থ, রসিদ বই নিয়ে পালিয়ে গেল ইসকনের কর্মী

অর্থ, রসিদ বই নিয়ে পালিয়ে গেল ইসকনের কর্মী