প্রশ্ন : আমার চুলে রং করি। আর্টিফিশিয়াল রং ব্যবহার করি। এটা কি ইসলাম সাপোর্ট করে। এ অবস্থায় কি আমার নামাজ হবে?
১০ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম

উত্তর : প্রয়োজনে চুলে রং করা ইসলাম নিষেধ করে না। তবে রং মেহেদি হোক বা আর্টিফিশিয়াল, চুলের ওপর এর আলাদা প্রলেপ যেন না পড়ে। রং যেন চুলে মিশে একাকার হয়ে যায়। মেয়েদের রং মাখার উদ্দেশ্য যদি পরপুরুষকে দেখানো হয়, তাহলে তা বৈধ নয়। রং শুধু নিজের সুন্দরতা, নারী মহলে চলাচল ও আপন পুরুষদের দেখানোর জন্য বৈধ হতে পারে। আপন পুরুষ মানে, যাদের সামনে শরিয়ত চুল খোলা রাখা জায়েজ রেখেছে। চুলে যদি আলাদা প্রলেপ না পড়ে, ফরজ গোসলের সময় যদি চুল ঠিকমতো ভিজে, রং যদি অস্তিত্বহীন হয়ে চুলে মিশে যায়, তাহলে এমন রং নিয়ে নামাজও হবে।
প্রশ্ন : আমার কাছে কোনো একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান তিন হাজার টাকা পায়। সেই প্রতিষ্ঠানের সেটি এখন আর মনে নাই। তাদের হিসাবেও নাই, আর আমার প্রতি তাদের কোনো দাবিও নাই। আমিও এখন লজ্জায় সেটি স্মরণ করিয়ে টাকা প্রদান করতে পারছি না। আমাদের উভয়ের মধ্যে পর্যাপ্ত বিশ্বাস আছে। কোনো একটি কাজ করার জন্য কাজের খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা দিয়েছিল, কাজ শেষে তিন হাজার টাকা বেশি হওয়ায় পরে আর দেয়া হয়নি। এখন যদি আমি এই তিন হাজার টাকা তার (প্রতিষ্ঠানের মালিক) নামে আল্লার ওয়াস্তে মসজিদে বা মাদরাসায় দান করে দেই, তাহলে আমি কি দায় মুক্ত হবো?
উত্তর : যে কাজের বিনিময়ে আপনি ১০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। সে কাজে কি কথা ছিল যে, বেঁেচ যাওয়া টাকা ফেরত দিতে হবে? যদি এমন কথা না থাকে তাহলে তো টাকাটা আপনারই। আর যদি ফেরত দেয়ার কথা থেকে থাকে, তাহলে ‘দাবিও নাই’ কিভাবে বলেন? হিসাব না থাকা, ভুলে যাওয়া বা তামাদি হয়ে যাওয়া কোনো পাওনা শেষ হয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে না। যদি লজ্জাবশত বিষয়টি আর উল্লেখ করতে না চান, তাহলে অন্য কোনো বাহানায় টাকাগুলো তাদের ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করুন। প্রতিষ্ঠানে এটি জমা হলেই চলবে। যেমন, সরকারি তহবিলের টাকা কারো কাছে থাকলে তা যে কোনো ভাবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করলেই দায়মুক্ত হওয়া যায়। দুনিয়াবি ভাবে টাকা পরিশোধের যে কোনো কৌশল খুঁজে বের করুন। সম্পূর্ণ অপারগ হলে দান করে দিন। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাবে যে, একটি প্রতিষ্ঠানে এই দানের সওয়াব কারা কীভাবে পাবেন? প্রতিষ্ঠানে তো মালিক বদল হয়। শেয়ার বিক্রি হয়। নানা ধর্মের লোক থাকে। এরপরও আপনার অনুতাপ ও চেষ্টা অবশ্যই ফল দেবে। তবে এ নিয়ে আপনি বেশি চিন্তিত না হয়ে মনের স্বস্তির জন্য বুদ্ধি করে একটি পথ বেছে নিন। আল্লাহ মানুষের নিয়ত ও কর্ম দু’টোই দেখেন। অন্তরের অবস্থাও তিনি জানেন। সচেষ্ট ব্যক্তি মাত্রই তার ক্ষমা, দয়া ও রহমত পেয়ে থাকেন।
বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

৪৩তম বিসিএস: গেজেটবঞ্চিতদের অনশনের ৬ দিন, আশ্বাসহীন অপেক্ষা

তিন কারণে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগ দাবি করলেন শিক্ষার্থীরা

টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বে লিটন, দলে নেই মিরাজ

কুষ্টিয়া-জামজামি সড়কে দুই সেতুর নির্মাণ শেষ হয়নি ৪ বছরে

১৭ মাস পর বেঙ্গল টেক্সটাইল মিল চালুর উদ্যোগ

অবশেষে মেসির গোল, মায়ামির জয়

সাংস্কৃতিক দলের কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক হলেন মজনুর

গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলাম আছি এবং থাকব : মির্জা ফখরুল আলমগীর

টেকসই কূটনৈতিক যোগাযোগের পর বাংলাদেশিদের ভিজিট ভিসা দিচ্ছে আমিরাত

যবিপ্রবির আইপিই বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

কাপাসিয়ায় মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধনের পর অভিযুক্ত ব্যক্তির পাল্টা মানববন্ধন

শেফার্ডের ১৪ বলে ৫৩

আগের তুলনায় গণমাধ্যমের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপ অনেক কমে গেছে : নাহিদ ইসলাম

আরও কমলো এলপি গ্যাসের দাম

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আর নেই

পাঞ্জাবে ম্যাক্সওয়েলের বদলি ওয়েন

দৈনিক ইনকিলাব এ সংবাদ প্রকাশের পর দেবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে আমিরের পদ স্থগিত

আরাকানকে ‘মানবিক করিডোর’ দেওয়া চরম ঝুঁকিপূর্ণ : বাংলাদেশ ন্যাপ

ভারত হতে অবৈধ অনুপ্রবেশকালে ১০ বাংলাদেশী নাগরিক আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা বিজিবি সদস্যরা

নারীর ক্ষমতায়নে শহীদ জিয়া ও বেগম খালেদার অবদান অবিস্মরণীয় : খন্দকার মুক্তাদির