সিরিয়া-কেন্দ্রিক উত্তেজনা বাড়ছে
০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৫২ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:৫৬ পিএম
ইউক্রেন যুদ্ধের আঁচ বেশ জোরেশোরেই লেগেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়ায়। গৃহযুদ্ধে জর্জরিত দেশটিতে রুশ সেনাদের পাশাপাশি মার্কিন সেনারা ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ লড়াইয়ে ব্যস্ত। আবার ইউক্রেন যুদ্ধে দুই দেশই পরোক্ষভাবে মুখোমুখি। এমন প্রেক্ষাপটে সিরিয়ান ঘাঁটি থেকে যুক্তরাষ্ট্র উসকানিমূলক আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটিতে মোতায়েন রুশ সেনারা। রুশ সেনাবাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে শুক্রবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস জানায়, সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ হাসাকেহে ‘উসকানিমূলক’ ঘটনা ঘটেছে। এই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনী বেশ কয়েক বছর ধরে মোতায়েন রয়েছে। তারা স্থানীয় কুর্দি সেনাদের আইএস বিরোধী লড়াইয়ে সাহায্য করছে। সিরিয়ায় রাশিয়ান কেন্দ্রের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল ওলেগ গুরিনভ বলেন, ‘হাসাকেহ প্রদেশে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর ইউনিটগুলোর মধ্যে উসকানিমূলক কর্মকা- লক্ষ করা গেছে। রাশিয়ান পক্ষ বিষয়টি নিয়ে জোটের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে।’ ‘মার্কিন সেনাদের যে অঞ্চলে থাকার কথা সে অঞ্চলের বাইরে তাদের দুই দফা দেখা গেছে। তারা সেখানে রুশ বাহিনীর মুখোমুখি হয়েছিল।’ তবে কোন অঞ্চলে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে, তা প্রকাশ করেননি গুরনিভো। তুরস্কের সঙ্গে মিলে উত্তর সিরিয়ায় যৌথ টহল চালাচ্ছে রাশিয়া। গুরিনভ বলেন, ‘যৌথ রুশ-তুর্কি টহল চলাকালীন তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী জোট পরিচালিত দুটি টহল দল আমাদের সামনে চলে আসে। আমরা এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছি।’ মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট প্রায় আট বছর আগে সিরিয়া যুদ্ধে প্রবেশ করে, যেখানে রাশিয়া ২০১৫ সালে হস্তক্ষেপ করেছিল। এরপর থেকে মস্কো সিরিয়ায় একটি স্থায়ী বিমান ও নৌ ঘাঁটি স্থাপনসহ সামরিক স্থাপনা শাক্তিশালী করেছে। গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় একাধিক বিমান হামলা চালায়। ওয়াশিংটনের দাবি, ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী দমনে এই অভিযান, যারা সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, হাসাকেহ শহরে তাদের ঘাঁটিতে হামলায় এক সামরিক ঠিকাদার নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অনেকে। শুক্রবার তারা জানায়, হামলা মোকাবিলা করে পাল্টা আক্রমণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আল-জাজিরা।
বিভাগ : ইসলামী বিশ্ব
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ইভেন্টের সেরা লড়াইটি উপহার দিলেন আফরা-সানজিদা
ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান পাহাড়ের পর জয়-জাকিরকে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ
নাটকীয় শেষ দশ মিনিটে দুই গোল শোধ করে বার্সাকে রুখে দিল সেল্তা
বিবর্ণ সিটিকে ইতিহাদেই বিধ্বস্ত করলো টটেনহ্যাম
নটিংহ্যামকে হারিয়ে চার ম্যাচের জয়খরা কাটালো আর্সেনাল
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে
আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না
দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক