সুইডেনে কেন বারবার কুরআন অবমাননা
০৬ জুলাই ২০২৩, ০৮:২২ পিএম | আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৩, ১২:০৩ এএম
ইউরোপের শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে খ্যাতি আছে সুইডেনের। কিন্তু প্রায়ই দেশটিতে ইসলাম ধর্মের অবমাননার ছাপ পাওয়া যায়। বুধবার আবারো দেশটির রাজধানী স্টকহোমের একটি মসজিদের বাইরে এমন ঘটনা ঘটান এক ব্যক্তি। এরপর আবারও বিশ্বের তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়ে সুইডেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এরকম ঘটনা এটিই প্রথম নয়। দেশটি মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন অবমাননার জন্য বিশ্বজুড়ে বারবার খবরের শিরোনামে এসেছে। সুইডিশ রাজধানী স্টকহোমের প্রধান মসজিদের সামনে ঈদুল আজহার দিনে প্রকাশ্যে কুরআন যিনি আগুন দিলেন, তিনি এক ইরাকি বংশোদ্ভূত ব্যক্তি। তার নাম সালওয়ান মোমিকা। তিনি পাঁচ বছর আগে অভিবাসী হিসেবে সুইডেনে আসেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন এখন তার সুইডিশ পাসপোর্ট রয়েছে। সুইডেনের গণমাধ্যম এর বরাত দিয়ে জানায়, তিনি নিজেকে একজন নাস্তিক বলে দাবি করেন। তার ভাষ্য, পশ্চিমা সমাজের গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং নারী অধিকারের মতো বিষয়গুলোর সাথে কুরআন সাংঘর্ষিক এবং তাই এটা নিষিদ্ধ করা উচিত। কিন্তু সুইডেনে প্রকাশ্যে কুরআনের অবমাননার কাজটি তিনিই প্রথম করেননি। এরও আগেও বেশ কয়েকবার সুইডেনে কুরআন পোড়ানো হয়েছে। গত এপ্রিল মাসে মালমো শহরে স্ট্রাম কুর্স নামের একটি কট্টর ডানপন্থী সংগঠন কুরআন শরিফ পোড়ায় এবং এর জেরে সে দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ চলে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ডেনমার্ক ও সুইডেনের কট্টর ডানপন্থী রাজনৈতিক দল স্ট্রাম কুর্স অভিবাসন-বিরোধী ও ইসলাম-বিদ্বেষী বলে পরিচিত। সংগঠনটির নেতৃত্বে রয়েছেন রাসমুস পালুদান নামের একজন উগ্রপন্থী। চলতি বছর জানুয়ারিতে এবং ২০২০ সালেও সুইডেনে একই রকম ঘটনা ঘটেছে। সুইডিশদের সাথে ইসলামের প্রথম পরিচয় হয় ১৬শ-১৭শ শতকে, যখন দেশটি সামরিক শক্তি অর্জন করছিল। সুইডিশ সাম্রাজ্যের প্রসারের সাথে সাথে তার ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিও চরম আকার ধারণ করে। সুইডিশরা যদিও মূলত ক্যাথলিক ছিলেন, কিন্তু ১৬শ শতকে দেশটি একটি লুথেরান প্রটেস্টান্ট দেশে পরিণত হয়। ১৬৬৫ সালে সুইডিশরা তার পিতৃপুরুষের ধর্মমতকে বেআইনি ঘোষণা করেন। বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সে সময় ক্যাথলিক ও মুসলমানদের ‹প্রকৃত খ্রিস্টান ধর্মের› শত্রু হিসেবে দেখা হতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সাথে সাথে সুইডেনে উদারনৈতিক চেতনার বিকাশ ঘটে। দেশটি পরিচালিত হয় ধর্মনিরপেক্ষ আইনের আওতায়। কিন্তু বর্তমান সময়ে সুইডিশদের মনোভাবে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটছে বলে মনে করছেন সুইডেনের ইসলামিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওমর মুস্তাফা। তিনি বলছেন, সুইডেনে ইসলাম বিদ্বেষ ক্রমশই বাড়ছে। আর সেটার বহিঃপ্রকাশ শুধু ইন্টারনেটে নয়, বাস্তবে মুসলমানদের জীবনে প্রতিনিয়ত তা ঘটছে। কুরআন পোড়ানোর সর্বশেষ ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি নানা ধরনের বিদ্বেষমূলক কর্মকা-ের বিবরণ দিয়েছেন। বিবিসি।
বিভাগ : ইসলামী বিশ্ব
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
যশোরে একই সঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ জাহিদুল
ইমনের সেঞ্চুরির পরও এগিয়ে খুলনা
টিয়ারশেল-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে সরানো হলো প্রথম আলোর সামনে অবস্থানকারীদের
নাইমের ১৮০, মেট্রোর বড় সংগ্রহ
রাজার বোলিংয়ে অলআউট বরিশাল
দেশের টাকা পাচার করে হাসিনা ও তাঁর দোসররা দেশকে দেউলিয়া করে গেছে পাচারকৃত টাকা উদ্ধারে কাজ করতে হবে -মাওলানা ইমতিয়াজ আলম
এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’
বিএনপি’র প্রতিনিধি দলের সাথে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনের বৈঠক
৫ বছর পর আয়োজিত হতে যাচ্ছে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪
থিতু হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারলেন না শাহাদাত
গণ-অভ্যুত্থানে ঢাবি ভিসির ভূমিকা কী ছিল? জানতে চান ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক
নির্বাচন কমিশনের প্রধান কাজ হওয়া উচিত অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন করা : রিজভী
ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জনে দেশে এলো অ্যাপ ‘পারলো’
সীমান্তর লক্ষ্য এসএ গেমসের হ্যাটট্রিক স্বর্ণ জয়
বিপিএলের প্রথম দিনই মাঠে নামছে বসুন্ধরা-মোহামেডান
নির্বাচিত সরকারই দেশকে পুনর্গঠন করতে পারে : তারেক রহমান
লক্ষ্মীপুরে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ৫০ জন
১৫ দিন রিমান্ড শেষে কারাগারে আব্দুর রাজ্জাক
পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল জিম্বাবুয়ে
মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় সিকিউরিটি গার্ড নিহত