গাজায় ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোই গণহত্যার প্রমাণ : জাতিসংঘ
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৬ এএম
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) গাজায় ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোকে ‘গণহত্যার প্রমাণ’ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের দূত বালাকৃষ্ণান রাজাগোপাল। বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পর্যাপ্ত বাসস্থানের অধিকারের বিষয়ে জাতিসঙ্ঘের বিশেষ প্রতিবেদক বালাকৃষ্ণান রাজাগোপাল বলেছেন যে- আইসিজের ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার অংশ হিসাবে গাজায় ক্ষতিগ্রস্ত এবং ধ্বংস হওয়া আবাসনের মাত্রা বিবেচনা করা উচিত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে রাজাগোপাল এ কথা বলেছেন। তার এ বক্তব্য আইসিজেতে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বারা নথিভুক্ত পাবলিক বিবৃতির সাথে মিলে গেছে। রাজাগোপালের দেয়া তথ্য অনুসারে, গাজা উপত্যকার ৪৫ দশমিক ৩ থেকে ৫৫ দশমিক ৯ শতাংশ ভবন ‘সম্ভাব্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস’ হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, উত্তর গাজা শহরের আশপাশের এলাকার ৭১ দশমিক ১ থেকে ৮২ দশমিক ৭ শতাংশ ভবন ‘সম্ভবত ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস’ হয়েছে। এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজা ইস্যুতে করা গণহত্যার মামলায় সমর্থন প্রকাশ করেছে মালদ্বীপ, নামিবিয়া ও পাকিস্তান। অন্যান্য দেশ যারা ইতোমধ্যে এই মামলার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে- বলিভিয়া, জর্ডান, মালয়েশিয়া ও তুরস্ক। উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকার আইসিজে’র কাছে করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক কর্মকা-ে জড়িত রয়েছে ইসরাইল। গাজার ফিলিস্তিনিদের ধ্বংসের জন্য প্রয়োজনীয় সুনির্দিষ্ট জাতীয় ও জাতিগত উদ্দেশ্য নিয়ে এ কাজ করছে ইসরাইল। আইসিজে গত ৪ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে বলেছে, নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনের বিষয়ে দুই দিন ধরে শুনানি কার্যক্রম চলবে। ১১ তারিখ আদালতে নিজেদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করবে দক্ষিণ আফ্রিকা। পরদিন ১২ জানুয়ারি এর বিরুদ্ধে যুক্তি তুলে ধরবে ইসরাইল। গত ২৯ ডিসেম্বর ইসরাইলের বিরুদ্ধে আইসিজেতে মামলাটি করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আইনি সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত এই আদালত দুই দেশের মধ্যে বিরোধ মেটাতে পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। আইসিজের দেয়া সিদ্ধান্তগুলো মেনে চলার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে তা মানার জন্য কোনো দেশের ওপর খুব কম শক্তিই খাটাতে পারেন এই আদালত। এদিকে, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের সাথে হামাসের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ২৩ হাজার ২১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধে গাজায় মোট ৫৯ হাজার ১৬৭ জন আহত হয়েছে। আল-জাজিরা।
বিভাগ : ইসলামী বিশ্ব
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ
বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস
শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে
চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া
ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব
লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল
‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’
প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের
প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া
মুসলিম চিকিৎসক
শীর্ষে দিল্লি
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা
বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান