দেশীয় সুতা বিক্রির সুরক্ষা নীতি চান বস্ত্রকল মালিকরা
৩০ মে ২০২৩, ০৭:৪৩ পিএম | আপডেট: ৩১ মে ২০২৩, ১২:০১ এএম
প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখতে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য দেশের তৈরি সুতা বিক্রির সুরক্ষা নীতি চান বস্ত্রকল মালিকরা। শিল্প বাঁচাতে আমদানি করা অবৈধ সুতা-কাপড় বিক্রি বন্ধ, ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের মাধ্যমে দেশীয় বস্ত্রকল থেকে কটন সুতা সংগ্রহের বিধান ও রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) সুবিধা অব্যাহত রাখাসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে এ খাতের ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা।
আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর পান্থপথে ‘বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)’ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী। বস্ত্র খাতের বিরাজমান সমস্যা ও উত্তরণ সংশ্লিষ্ট এ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনটির সহসভাপতি ফজলুল হক, পরিচালক সৈয়দ নূরুল ইসলাম, আবদুল্লাহ জুবায়ের, খোরশেদ আলম প্রমুখ।
সুতা বিক্রিতে সুরক্ষা চাওয়ার কারণ হিসেবে মোহাম্মদ আলী বলেন, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সুতা ও কাপড়ের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। শুল্কমুক্ত সুবিধায় বন্ডেডওয়্যার হাউসের আওতায় আমদানি করা সুতা, কাপড় ও পোশাকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছে না। ফলে সুতার মজুত বেড়ে যাওয়ায় বস্ত্রকলগুলোর আর্থিক অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে অসম প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে কয়েকটি মিল বন্ধ হয়ে গেছে। আরও মিল বন্ধ হওয়ার পথে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামী ঈদুল আজহার সময় মিলগুলো শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন, মজুরি বোনাসসহ পরিশোধ এবং একই সাথে প্রয়োজনীয় ইউটিলিটি বিল প্রদান করতে পারবে কি না তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে।
তারা জানান, বিটিএমএ’র রপ্তানিমুখী স্পিনিং মিলগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রপ্তানিমানের সুতা রয়েছে, যা প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে তৈরি পোশাক শিল্পে সরবরাহ সক্ষম। অন্যদিকে স্থানীয় মিলে দেশের ১৭ কোটি জনগোষ্ঠীর সুতা ও বস্ত্রের সিংহভাগ পূরণ করতে পারে। তাই এ সেক্টরটির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বেশ কিছু দাবি করেছে বিটিএমএ।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বন্ডেড সুবিধায় আমদানি করা সুতা, কাপড় ও পোশাকের অবৈধ বিক্রি বন্ধে বাবুরহাট, নরসিংদী, ইসলামপুরসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারে ঘন ঘন তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ কার্যক্রমের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা, রপ্তানিমুখী স্পিনিং মিলে তৈরি সুতার ন্যুনতম একটি অংশ ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির মাধ্যমে সংগ্রহের বিধান করা, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) সুবিধা অব্যাহত রাখা, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত এবং ব্যাংকঋণের কিস্তি ও সুদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ব্লক হিসাবে রাখার পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে সহজ কিস্তিতে পরিশোধের সুবিধা।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
আ'লীগের মতো বিএনপিও যদি জুলুম করে জনগণ যাবে কোথায়? - সোনারগাঁয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম
এম আবদুল্লাহ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি হওয়ায় সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের অভিনন্দন
পবিত্র সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে পাবনায় বর্ণাঢ্য র্্যালী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বিজয় ছিনিয়ে নিতে নানামুখি ষড়যন্ত্র চলছে, মন্তব্য নজরুল ইসলাম খানের
তারেক জিয়ার বার্তা দেশবাসী অনুধাবন করতে পারবে - ডা. মাজহার
যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠা-নামা বন্ধ করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
বিচার বিভাগে হয়রানির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে: আইন উপদেষ্টা
পর্তুগালের নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন মাহফুজুল হক
অস্ট্রেলিয়া কোচের পদ ছাড়লেন অর্নল্ড
ঈশ্বরগঞ্জে জামিয়াতুল মোদার্রেছীনের কমিটি গঠন
পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
বাংলাদেশের স্মৃতি ফিরলো শ্রীলংকা-নিউজিল্যান্ড টেস্ট
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে এ রকম ইতিহাস আর হবে না’: জয়নুল আবেদীন ফারুক
হঠাৎ ঝড়ে লণ্ডভণ্ড পটুয়াখালীর বাউফল
বড় পরাজয়ের মুখে বাংলাদেশ
বেগমগঞ্জে নামাজ পড়ে ফেরার পথে প্রাণ গেল বৃদ্ধের
কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানগ্লোবাল ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যাওর্য়াডস পেল ইসলামী ব্যংক
কোন শ্রমিক তার কারখানার ক্ষতি করবে না: শ্রম সচিব
নাঙ্গলকোটে প্রাথমিক শিক্ষা পদকে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন যারা
সিলেটে বজ্রপাতে পৃথক স্থানে নিহত ২