সরকারের চাপাবাজি দেশ বিদেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে: ড. মোশাররফ
১৬ জুন ২০২৩, ০৯:৪৫ পিএম | আপডেট: ১৭ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
সরকারের চাপাবাজি মিথ্যাবাদী দেশের জনগণসহ সারা বিশ্বের মানুষ বুঝতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, অতীতে কোন প্রধানমন্ত্রী জেনেভায় আইএলও সম্মেলনে যোগ না দিলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন আজ সেখানে যোগ দিয়েছেন। যেখানে বিশ্বের সবাই জানে বাংলাদেশের অর্থনীতি তলানিতে চলে গেছে। সেখানে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্মানজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেলে মিরপুর পল্লবী সিটি ক্লাবের (১১ নং বাসস্ট্যান্ড) সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। দেশব্যাপী অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে এ পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মো. আমিনুল হকের সঞ্চালনায় এতে নগর বিএনপি নেতারা বক্তব্য রাখেন।
ড. মোশাররফ বলেন, গুম, খুন, হামলা, মামলা, গ্রেফতার, হয়রানি করে এই সরকার টিকে রয়েছে। এদের কারণে আমেরিকা আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার, সম্মানের নয়। এটা আওয়ামী লীগের জন্য বিশ্ববাসীর ধিক্কার।
তিনি বলেন, সরকারের মাথা ঠিক নেই। এক মন্ত্রী এক কথা বলে অন্য মন্ত্রী আরেক কথা বলে। এক নেতা এক কথা বলে অন্য নেতা আর এক কথা বলে। আওয়ামী লীগ এখন এলোমেলো লীগ হয়ে গেছে। এই আওয়ামী লীগের অধীনে অতীতে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। নির্বাচনের নামে চুরি ডাকাতি হয়েছে। এখন তারা বিদেশিদের খুশি করতে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে। দেশের জনগণ এবং বিশ্ববাসী জানে আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তাই শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনের প্রশ্নই উঠে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দরকার নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য এই সরকারকে হঠাতে হবে। কিন্তু এই সরকার আপোষে যাবে না এই সরকার হটাতে গণঅভ্যুত্থানের দরকার।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাস করে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা বিজয়ী হব। আমাদের সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দল রয়েছে যারা যুগপৎ আন্দোলন করছে দেশের জনগণ রয়েছে। যত রকম ছলচাতুরি করুক না কেন শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করতে পারবে না।
এদিকে উত্তর বিএনপির পদযাত্রায় জাতীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ ছাড়াও দারুস সালাম থানা বিএনপির আহ্বায়ক ও ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এস এ সিদ্দিক সাজুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ঢাকা-১৪ আসন বিএনপি সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দ অংশগ্রহন করে।
এসময় উপস্থিত মিরপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আব্দুল মতিন, শাহ্আলী থানা বিএনপির আহ্বায়ক এস,এম, কায়সার পাপ্পু, মিরপুর থানা বিএনপির ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী মোঃ দেলোয়ার হোসেন দুলু, দারুস সালাম থানা বিএনপির ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ মৃধা, শাহ্আলী থানা বিএনপির ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ গিয়াস উদ্দীন দেওয়ান, দারুসসালাম থানা বিএনপির ২ নং যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সায়েম মন্ডল, মিরপুর থানা বিএনপির ২ নং যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আবুল বাঁশার ভূঁইয়া, শাহ্আলী থানা বিএনপির ২ নং যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ সোলায়মান দেওয়ান, মিরপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুল রহমান রতন, মেজবাহ উদ্দিন জনি, আবু তালেব, স.ম আরিফউল্লাহ, আবু রাসেল চৌধুরী মিঠু, মফিজুল ইসলাম, সোলেমান কবির ডিউক, শহিদুর রহমান এনা, মোল্লা মোঃ মহিউদ্দিন, শহীদ রাজা লিংকন, মাসুদ আক্তার পলাশ, শাহ্আলী থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সামসুল কবীর, আজাদ উল্লাহ আজম, কাজী লিটন, মোঃ জয়নাল আবেদীন, শেখ সাদি বাবু, দারুসসালাম থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ বাবুল মিয়া, আলমগীর হোসেন ভুট্টো, সোহেল খান, মোঃ সাইফুল নবী খালেদ, এইচ এম ইমরান, মোঃ হুমায়ুন কবির, মোঃ মোস্তফা কামাল, আবুল কালাম, আমান উল্লাহ, আবু সাঈদ দিপু, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদ্য সাবেক সহ সভাপতি মোঃ রাজীব আহমেদ, ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সোহেল রহমান, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ কামাল আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত সাঃ সম্পাদক মেহেদী হাসান মিরাজ, ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাফেজ সাইফুর রহমান লিটন, সহ সভাপতি জয়নাল মহসীন, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ শফিকুর রহমান মামুন, সাঃ সম্পাদক মোঃ বশির আহম্মেদ, ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মীর আবু বক্কর সিদ্দীক মাকসুদ, সাঃ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন রতন, ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ আফজাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহম্মেদ স্বপন, ১২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ মনসুর রহমান, সাঃ সম্পাদক শাহরিয়ার দিল খায়ের শিপু, ১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন মেজবা, সাঃ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, ৯৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আফসার আলম খান সেলিম, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোঃ রবিন ভূঁইয়া, ৭ নং ওয়ার্ড (আঞ্চলিক) বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান মামুন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকন মাতবর, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ পারভেজ, ৯ নং ওয়ার্ড বিএপির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ মোকসেদুর রহমান সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী স্বরজিত কুমার সৌরভ, ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ সভাপতি হাজী রমজান হোসেন রঞ্জু, কোষাধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সোহেল রানা, ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ বিল্লাল হোসেন বেলাল, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আরিফুর রহমান আরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফয়েজ আহম্মেদ, ১২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মুন্সী জাকির হোসেন মনির, সহ সভাপতি মোঃ ইসহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আল মামুন, ৯৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ ইলিয়াস হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মোঃ জসীম শিকদার।
আরোও উপস্থিত ছিলেন মিরপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ ফিরোজ আহমেদ, দারুসসালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ মিজানুর রহমান মিজান, মিরপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এস, এম রুস্তম আলী, শাহ্আলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ নাসির উদ্দীন বিপ্লব, মিরপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কে, এম, ইয়াহিয়া সামী, দারুসসালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা মোঃ মাসুদ, মোঃ মাহবুবুর রহমান, শাহ্আলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ রবিন, মিরপুর থানা শ্রমিকদলের আহ্বায়ক মোঃ রফিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব মোঃ খোরশেদ আলম, মিরপুর থানা কৃষকদলের আহ্বায়ক মোঃ শহীদ, সদস্য সচিব মোঃ মনির হোসেন, শাহ্আলী থানা কৃষকদলের আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম, সদস্য সচিব মোঃ লিটন, মিরপুর থানা মহিলা দলের সদস্য সচিব সেলিনা আক্তার কনিকা, যুগ্ম আহ্বায়ক আয়শা আক্তার শিউলী, শাহ্আলী থানা মহিলা দলের আহ্বায়ক নিলুফার ইয়াসমিন, সদস্য সচিব সুমি বেগম, দারুসসালাম থানা মহিলা দলের আহ্বায়ক পান্না বেগম, সদস্য সচিব কামরুন্নাহার লাকী, মিরপুর থানা জাসাসের আহ্বায়ক মোঃ শফিকুর রহমান চৌধুরী, সদস্য সচিব আঃ সাত্তার, দারুসসালাম থানা জাসাসের আহ্বায়ক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, শাহ্আলী থানা জাসাসের আহ্বায়ক এস. এম আলী আহসান নীরব, মিরপুর থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোঃ রিপন তালুকদার, সাবেক সভাপতি মোঃ বশির আহম্মেদ, শাহ্আলী থানা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মোঃ বশির, সদস্য সচিব মোঃ সাঈদ, মিরপুর থানা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজালাল সম্রাট, দারুস সালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ সাইদুল হক, মিরপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ও ১২ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ সোহাগ মিয়া, ৯ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ মোকসেদ আলী, ১০ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ আতিক হাসান, ১০ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ হামিম ইসলাম, ১২ নং ওয়ার্ড (আঞ্চলিক) স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এস এম মুরাদ, ১২ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ রুবেল হোসেন, মিরপুর থানা যুবদলের মোঃ নওশাদ হোসেন, শাহ্আলী থানা যুবদলের আবদুল্লাহ পাটোয়ারী, ৮ নং ওয়ার্ড যুবদলের বাবুল আহম্মেদ জীবন, রাসেল মোল্লা, ৯৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের ইউনুস রবিন, মিজানুর রহমান, ১২ নং ওয়ার্ড (আঞ্চলিক) যুবদলের মোঃ আনোয়ার হোসেন সজীব, ৯ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের মিজান, শ্যামল খান, মেজবাহউদ্দিন, জাহাঙ্গীর, মিরপুর থানা ছাত্রদলের আকিল আহম্মেদ অনিক, মোঃ মেহেদী হাসান এনাম, মোঃ ইমরান, মোঃ মিরাজ, মোঃ সাকিব, শাহ্আলী থানা ছাত্রদলের রায়হান ইসলাম, মোঃ অপু মোল্লা, মোঃ ইমরান হোসেন, দারুসসালাম থানা ছাত্রদলের রুমন আহমেদ, মাজহারুল ইসলাম রানা, মোঃ রাসেল, মোঃ নাহিদ, মাসুদ, মোঃ মাসুম বিল্লাহ, মোঃ অপু, মোঃ সুমন, মোঃ মাসুম, মোঃ রাশেদ দারুসসালাম থানা শ্রমিকদলের সিরাজ, সানাউল্লাহ, শাহ্আলী থানা শ্রমিক দলের মোঃ মাভেল ভূঁইয়া প্রমুখ নেতৃবৃন্দ সহ ঢাকা-১৪ আসনের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে আগত অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দ।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও