মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম

ট্রান্সজেন্ডারের নামে জাতিকে সমকামি করা হচ্ছে

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১০ মে ২০২৪, ০৭:২৮ পিএম | আপডেট: ১০ মে ২০২৪, ০৭:২৮ পিএম

 

 


জাতীয় শিক্ষক ফেরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মো. নাছির উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে "নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন: আমাদের করণীয়" শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, শিক্ষা থেকে যদি বঞ্চিত রাখা যায় তবে জাতিকে ধ্বংস করা যায়। মাদরাসার বইতে সালামের পরিবর্তে প্রণাম দেয়ার শিক্ষা দেয়া হয়েছে। মাদরাসার পুস্তকে ছেলে মেয়েদের অবাধ চলা ফেরা দেখানো হয়েছে। মা বাবার দ্বীনি পরিবেশ থেকে দূরে রাখা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তক থেকে কৃষি শিক্ষা বাদ দেয়া হয়েছে। গার্হস্থ্য শিক্ষা বাদ দেয়া হয়েছে। এখন শিল্প সংস্কৃতির মধ্যে ঢোল তবলা দেয়া হয়েছে। এটা শিল্পকলার কাজ, জাতীয় কারিকুলামে এটা হতে পারে না। মুসলিম সন্তানদেরকে একত্রে নাচতে গাইতে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। ছেলে মেয়েদেরকে বন্ধুদের হাত ধরে চলতে শিক্ষা দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশকে বেরিকেড করা হয়েছে। ট্রান্সজেন্ডার এর নামে জাতিকে বলৎকার ও সমকামী করা হচ্ছে। আবুল ফজল ফয়েজীর গোষ্ঠী কিছু আলেম শরীফ শরীফার গল্পকে বৈধতা দিয়েছে। লোভের কারনে শরীফ শরীফার গল্পের মধ্যে ঐ আলেমরা কোন ত্রুটি দেখেনা। আমাদের দাবী ছিলো প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার। সে দাবী কর্ণপাত না করে ৫ হাজারের অধিক নাচ গান শেখানোর টিচার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমরা ইসলামের কথা বললে সাম্প্রদায়িক হয়ে যাই। মুসলমানদের জন্য করা সলিমুল্লাহর ইউনিভার্সিটিতে নামাজ, ইফতার করতে আপত্তি থাকলেও মঙ্গলশোভা যাত্রা করতে কোন আপত্তি নেই। দূরদর্শী প্লান নিয়ে আগ্রাসনের কালোথাবা এগিয়ে আসছে। যারা শরীফ শরীফার মধ্যে কোন কিছু দেখেনা তারা আবুল ফজল ফয়েজীর গোষ্ঠী। ওরা ইসলাম ও দেশের দুশমন। এই সরকার তাদেরকে অর্থদিয়ে লালন-পালন করছে।
গোলটেবিল বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডক্টর আবদুল লতিফ মাসুম।
এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আ খ ম ইউনুস বলেন, বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে হাবুডুবু খেয়ে বেড়ে উঠেছে তারাই এই কারিকুলাম তৈরী করেছে। বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আলিয়া মাদরাসা। আলিয়া মাদরাসা শিক্ষা সংরক্ষণে দলমত নির্বিশেষে উদ্যোগ নেয়া দরকার। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম বলেন, ৬ষ্ট শ্রেণীর শিক্ষার্থীদেরকে গুপ্তাঙ্গ শিখিয়ে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে কলুষিত করা হচ্ছে। দেশের মানুষের অর্থে পরিচালিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে কলুষিত করতে দেয়া হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, সরকার আগামী প্রজন্মকে দুর্গন্ধের মধ্যে রাখতে চায়। এদেশের মানুষ এই বিতর্কিত শিক্ষা ব্যাবস্থা চায় না। প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, সরকার ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ভারতের প্রেসক্রিপশন শিক্ষা ব্যাবস্থাকে ধ্বংস করছে। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মো. নাছির উদ্দীন খান বলেন, আমরা মনে করি সকলের মেধা ও প্রতিভা কখনই এক হবে না। কিন্তু সরকার, অভিভাবক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের লক্ষ্য ও প্রতিভার বিভিন্নতা বিবেচনা না করে বাধ্যতামূলকভাবে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের একমুখী মডেলে তৈরি করতে চান। শিক্ষা কারিকুলাম-২০২১ এ সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো প্রায় প্রতিটি বিষয়ই সবচেয়ে কম মেধাবী ছাত্রের কথা বিবেচনা করে পাঠাপুস্তক প্রণীত হয়েছে যা বিজ্ঞান বইগুলোতে চোখ রাখলেই এর বাস্তবতা লক্ষ্য করা যাবে। এতে করে আমাদের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের মেধার বিকাশ করতে পারবে না। ফলে বহির্বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে না। জাতি হিসেবে আমরা আরো পিছিয়ে পড়বো। দেশের স্বার্থে এবং আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্যের মেধা বিকাশের লক্ষ্যে; জাতীয় শিক্ষক ফোরামের পক্ষ থেকে কতিপয় দাবি উত্থাপন করা হয়।


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

সউদী পৌঁছেছেন ৩৪ হাজার হজযাত্রী

সউদী পৌঁছেছেন ৩৪ হাজার হজযাত্রী

প্রান্তিক পর্যায়ে দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে

প্রান্তিক পর্যায়ে দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে

বিনিয়োগ, অভিবাসন, মৌসুমি কর্মসংস্থান, প্রবাসী কল্যাণ, জ্বালানি বিষয়ে আলোচনা হবে : হাছান মাহমুদ

বিনিয়োগ, অভিবাসন, মৌসুমি কর্মসংস্থান, প্রবাসী কল্যাণ, জ্বালানি বিষয়ে আলোচনা হবে : হাছান মাহমুদ

ইরানের প্রেসিডেন্ট নিহত

ইরানের প্রেসিডেন্ট নিহত

একটুখানি শীতল পানি-১

একটুখানি শীতল পানি-১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোক

বিশ্ব নেতৃবৃন্দের শোক

বিশ্ব নেতৃবৃন্দের শোক

ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে বাংলাদেশের জনগণও শোকাহত

ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে বাংলাদেশের জনগণও শোকাহত

ভারতের ‘জেরক্স ইন্ডিয়া’ হাতিয়েছে ১১২ কোটি

ভারতের ‘জেরক্স ইন্ডিয়া’ হাতিয়েছে ১১২ কোটি

দ্বিতীয় দিনেও তান্ডব অটোচালকদের

দ্বিতীয় দিনেও তান্ডব অটোচালকদের

ঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলবে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ -ওবায়দুল কাদের

ঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলবে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ -ওবায়দুল কাদের

তাপদাহ কেটে দেশজুড়ে বৃষ্টি

তাপদাহ কেটে দেশজুড়ে বৃষ্টি

পিকে হালদারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন

পিকে হালদারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন

কারান্তরীণের অমানবিক খেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সরকার -মির্জা ফখরুল

কারান্তরীণের অমানবিক খেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সরকার -মির্জা ফখরুল

দ্বিতীয় দফায় উপজেলা নির্বাচন আজ

দ্বিতীয় দফায় উপজেলা নির্বাচন আজ

নকল ডায়াবেটিস টেস্টিং স্ট্রিপ এক সপ্তাহের মধ্যে ধ্বংসের নির্দেশ

নকল ডায়াবেটিস টেস্টিং স্ট্রিপ এক সপ্তাহের মধ্যে ধ্বংসের নির্দেশ

নকল ডায়াবেটিস টেস্টিং স্ট্রিপ এক সপ্তাহের মধ্যে ধ্বংসের নির্দেশ

নকল ডায়াবেটিস টেস্টিং স্ট্রিপ এক সপ্তাহের মধ্যে ধ্বংসের নির্দেশ

ভারত থেকে ১২০০ কোটি টাকায় ২০০ বগি কিনছে রেলওয়ে

ভারত থেকে ১২০০ কোটি টাকায় ২০০ বগি কিনছে রেলওয়ে

নেতানিয়াহু ও হামাস নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা দাবি

নেতানিয়াহু ও হামাস নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা দাবি

ইসরাইলি আগ্রাসন ও ফাতাহ্র ব্যর্থতায় হামাসের প্রতি সমর্থন বাড়ছে

ইসরাইলি আগ্রাসন ও ফাতাহ্র ব্যর্থতায় হামাসের প্রতি সমর্থন বাড়ছে