ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেছেন, বিগত ৫৩ বছরের জঞ্জাল দূর করে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি। এ দাবি পুরণে ব্যর্থ হলে ভোটারদেরকে চরম খেসারত দিতে হবে। তিনি বলেন, জঞ্জাল দূর হলে মানুষ ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য দেখতে পাবে এবং মানুষ তা উপভোগ করবে। সকল মত ও পথের মানুষ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ইসলামের সৌন্দর্যে আকৃস্ট হয়ে ইসলামের চায়াতলে আসতে থাকবে। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের গণহত্যার বিচার করতে হবে। রাজনৈতিক সংষ্কার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি নির্বাচন দিতে হবে।
আজ শুক্রবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সবুজবাগ থানা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম এসব কথা বলেন। সবুজবাগের মাদারটেক সিসিলি গার্মেন্টস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সেক্রেটারী ডা. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নজরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এমএম শোয়াইব, মোহাম্মদ জাকির হোসেন মুন্সি।
সংগঠনের সবুজবাগ থানা সভাপতি মাওলানা নোমান আল হোসাইনীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সবুজবাগ থানা সহ-সভাপতি আমির উল্লাাহ বুলবুল সহ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
তিনি বলেন, ইসলামের সুনাম ক্ষুন্ন করে যারা আইন নিজের হাতে তুলে নেয়, তাদের উদ্দেশ্য ইসলাম নয়, বরং ইসলামকে বিকর্তিত করা। যারা অপরাধের সাথে জড়িত, গাঁজা, মদ-জুঁয়ার আসর জমায় এমনকি অশ্লীল কার্যক্রমের সাথে জড়িত, তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দেয়া যেতে পারে। এমন কোন কার্যক্রম করে ইসলামের বিরুদ্ধে বিষিয়ে তুলে বিদেশের হস্তক্ষেপের সুযোগ করে দেয়া কোন ইসলাম ও দেশপ্রেমিক মানুষের কাজ হতে পারে না।
মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী বলেন, পরাজিত শক্তি দেশ নিয়ে চক্রান্ত করছে। তিনি বলেন, যারা বিগত ১৫ বছরে দেশকে নিজের বাপ-দাদার সম্পত্তি মনে করে যাইচ্ছে তাই করেছে ঐ সকল গণহত্যাকারীদের বিচার করতে হবে।
ডা. শহিদুল ইসলাম বলেন, সা¤্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তির ক্রীড়নকদের এদেশে রাজনীতি করার এখতিয়ার নেই। যারা নিজের স্বার্থে বিদেশের কাছে সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেয়, তাদের বয়কট করতে হবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম বিজয়ী করতে হবে।