গণধিকৃত সংগঠনে পরিণত হয়েছে শিক্ষক সমিতি : ঢাবি সাদা দল
২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৪ পিএম | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৪ পিএম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ ক্যাম্পাস ও দেশের নানা যৌক্তিক ইস্যুতে গণবিরোধী ভ‚মিকা রাখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি গণধিকৃত সংগঠনে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) শিক্ষক সমিতির ভিসি বরাবর দেয়া চিঠির বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে সাদা দলের আহŸায়ক প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহŸায়ক প্রফেসর ড. আব্দুস সালাম এবং প্রফেসর ড. মো. আবুল কালাম সরকার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিরোধিতা এবং ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অনুগত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন শিক্ষক সমিতি এখনও নিজেদের বৈধ সমিতি হিসেবে দাবি করে ভিসি বরাবর প্রেরিত পত্রের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। আমরা শিক্ষক সমিতির নামে দেয়া এই পত্রের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি। উল্লেখ্য যে, ২০২৪ সালের নির্বাচনে নীল দল ছাড়া অন্য কোনো দল ও প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় নীল দলের প্যানেলকে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
তারা বলেন, গত ২০২৪-এর জুলাই-আগস্টে পরিচালিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় অভ্যুত্থান বিরোধী অবস্থান এবং স্বৈরশাসকের পক্ষে নির্লজ্জ ভ‚মিকা পালনের জন্য গত আগস্ট মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দল সমর্থক শিক্ষকবৃন্দ বিনা ভোটে নির্বাচিত তৎকালীন শিক্ষক সমিতিকে প্রত্যাখ্যান করে। শুধু তাই নয় স্বৈরশাসক খুনি শেখ হাসিনার সরকারের পতন ও দেশ ছেড়ে তার পলায়নের ঠিক দুদিন আগে গণ ভবনে উপস্থিত হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সমর্থন এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়ায় সাদা দল তৎকালীন শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের বিচার দাবি করে। শিক্ষক সমিতির এই গণবিরোধী ভ‚মিকার জন্যে ইতোমধ্যেই সংগঠনটি একটি গণধিকৃত সংগঠনে পরিণত হয়েছে। দেশের বিবেকবান অনেক ব্যক্তিও ইতোমধ্যে তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছে।
সংগঠনের নেতারা বলেন, আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় উল্লেখ করতে চাই যে, শিক্ষক সমিতির নামে দেয়া পত্রে ২০০৭ সালের যে দৃষ্টান্ত উল্লেখ করা হয়েছে তা দেখিয়ে ফ্যাসিস্টের দোসর এই শিক্ষক সমিতিকে বৈধ শিক্ষক সমিতি হিসেবে দাবি করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ সেই সময় শিক্ষক সমিতির দায়িত্ব চলমান রাখা হয়েছিল শিক্ষকদের সর্বসম্মত সমর্থনের ভিত্তিতে। তাছাড়া সে সময়কার শিক্ষক সমিতির অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে বীরোচিত ভ‚মিকা কেবল শিক্ষক সমাজের কাছেই নয়, গোটা জাতির কাছে ছিল প্রশংসনীয়। কিন্তু বৈধ শিক্ষক সমিতি হিসেবে দাবিদার তথাকথিত এই শিক্ষক সমিতি ইতোমধ্যেই শিক্ষকগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত ও দেশবাসী কর্তৃক নিন্দিত হয়েছে।
শিক্ষক সমিতির নেতাদের শাস্তি দাবি করে তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজের মর্যাদাহানী এবং ঐতিহ্যকে ভুলণ্ঠনকারী ফ্যাসিস্টের দোসর এই শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বের দাবিকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। একই সাথে শিক্ষক সমিতির পরিচয় ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার জোর দাবি জানাচ্ছি। এছাড়াও তাদের গণবিরোধী ভ‚মিকা এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার প্রতি অব্যাহত সমর্থনের জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও সরকারে প্রতি আমাদের জোর দাবি পুনর্ব্যক্ত করছি
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
আলাভেসকে হারিয়ে রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান কমালো বার্সা
সউদী যুবরাজের সঙ্গে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোলানির সাক্ষাৎ
ট্রাম্পের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন আরব মন্ত্রীরা
নববর্ষের ছুটিতে নিজ শহরে বীরোচিত অভ্যর্থনা ডিপসিকের প্রতিষ্ঠাতাকে
ট্রাম্পের নির্দেশে আইএসের বিরুদ্ধে সোমালিয়ায় বিমান হামলা শীর্ষ পরিকল্পনাকারী নিহত
সংঘাত নিরসন আলোচনা শুরুর প্রস্তুতি নিশ্চিত করেছেন জেলেনস্কি
সরে গেলো নৌকা
জানুয়ারিতে টার্কস্ট্রিম দিয়ে ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস রফতানি রেকর্ড উচ্চতায়
ভারতের ৭৮ বিলিয়ন ডলার বাড়লো প্রতিরক্ষা বাজেট
ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা উত্তরের দ্বী-বার্ষিক সম্মেলনে রেজাউল করিম
স্বামীর টাকা তাকে না বলে স্ত্রীর বাবা-মাকে দিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে।
মির্জাপুরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা উপজেলা প্রশাসনের
বান্দরবানের লামায় ৭ শ্রমিককে অপহরণের অভিযোগ
মির্জাপুরে মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা উপজেলা প্রশাসনের
নবাব সলিমুল্লাহ্'র ১১০ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
৩৭ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আফ্রিদিকে মনে করালেন অভিষেক
ভারত সীমান্তের সেই বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে যাবেন জামায়াত আমির
তৌহিদের সারা শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন
গণতন্ত্রের আপসহীন সংগ্রামী বেগম খালেদা জিয়া
পাঠ্যপুস্তক ইতিহাস-সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অনুগামী হতে হবে