‘গাজায় ইসরিায়েলি হত্যাযজ্ঞ বন্ধে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে’
০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৬ পিএম | আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৬ পিএম

ইসলামী আন্দোলনকে গতিশীল ও দ্বীনের বিজয় নিশ্চিত করতে প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে ইসলামের সুমহান আদর্শ তুলে ধরতে সকল স্তরের জনশক্তির প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন।
৯ এপ্রিল বুধবার রাজধানীর মগবাজারের একটি মিলনায়তনে হাতিরঝিল অঞ্চল জামায়াত আয়োজিত কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ কর্মসূচি বাস্তবায়ন উপলক্ষ্যে এক দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও অঞ্চল পরিচালক হেমায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি ও অঞ্চল সহকারী পরিচালক মু. আতাউর রহমান সরকারের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার নোমান আহমেদি, মজলিসে শূরা সদস্য এডভোকেট জিল্লুর রহমান, আহসান উল্লাহ, ইউসুফ আলী মোল্লা, কলিম উল্লাহ ও আবু সাঈদ মণ্ডল প্রমূখ।
সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, ইসলাম একটি শাস্বত ও পরিপূর্ণ জীবন বিধান। মানবজীবনের এমন কোন সমস্যা নেই যার সমাধান ইসলামে দেওয়া হয়নি। আর আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এ দ্বীনে হক্ব প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালানো অত্যাবশ্যকীয় করে দিয়ে যুগে যুগে নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন। বিশ্ব নবী (সা.) ও একই দায়িত্ব নিয়ে দুনিয়াতে প্রেরীত হয়েছিলেন। তার আসহাব (রা.)গণও একই দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে গেছে। সে ধারাবাহিকতায় তা এখন আমাদের ওপর বর্তেছে। কিন্তু একাজ সহজসাধ্য ও কন্টকমুক্ত নয়। কিন্তু আল্লাহ তা’য়ালা দ্বীনে হক্বকে বাতিলের ওপর বিজয়ী করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছেন। তাই কোন অপশক্তির বাধা-প্রতিবন্ধকতায় হতোদ্দম হলে চলবে না বরং সকল জুলুম-নির্যাতন উপেক্ষা করে দ্বীনকে বিজয়ী করতে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তিনি দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে ময়দানে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, মুসলিম উম্মাহ সম্প্রতি ঈদ উদযাপন করলেও জায়নবাদী দখলদার বাহিনী ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাকে ধ্বংসস্তুপ ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত করছে। আন্তর্জাতিক আইন-কানুন ও যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লংঘন করে উপর্যুপরি বিমান হামলা চালানো হচ্ছে গাজা নগরীতে। প্রতিনিয়তই মজলুম ফিলিস্তিনীদের রক্তে রঞ্চিত হচ্ছে গাজা নগরীর রাজপথ। দখলদার বাহিনীর জিঘাংসা থেকে রেহাই পাচ্ছে না নারী, শিশু ও বৃদ্ধরাও। এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, সেবা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোও ইহুদীবাদী জিঘাংসা থেকে মুক্ত থাকছে না। যা অতীতের হালাকু খানের বাগদাদ ধ্বংসের নির্মমতাকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। তিনি গাজায় ইসরাইলী হামলা ও নির্মম হত্যাযজ্ঞ বন্ধে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর আহবান জানান। অন্যথায় দখলদাররা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

সীমান্তে অনুপ্রবেশ : গুলিবিদ্ধ ভারতীয় চোরাকারবারি ঢাকায় আটক

অভিভাবক ঐক্য ফোরামের স্মারকলিপি পেশ

চাঁদা আদায়ের অভিযোগে কলাবাগান থানার ওসি-এসআই প্রত্যাহার

প্রধান উপদেষ্টা সব মামলায় অব্যাহতি নিলেন আর আমি কোর্টে হাজিরা দেই : গয়েশ্বর

ঢাকার খালের দুই পাড়ে সবুজায়ন

ঢাকায় বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের দেড় ঘণ্টা কর্মবিরতি

নারায়ণগঞ্জে আজমেরী ওসমানের দুই সহযোগী অস্ত্রসহ গ্রেফতার

টেস্ট ড্রাইভের কথা বলে মোটরসাইকেল ছিনতাই

উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংস গ্রহণযোগ্য নয় :পরিবেশ উপদেষ্টা

৫০ শতাংশ ইনভয়েস পরিশোধে পেট্রোবাংলা- কৃষি ব্যাংক চুক্তি

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাভারে যুবদলের লিফলেট বিতরণ

যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়াকে হার মানাবে চীনের নতুন যুদ্ধবিমান!

ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে কর্ণাটকে বিশাল বিক্ষোভ

ট্রাম্পের অত্যাচারে দেশ ছাড়ছেন আমেরিকানরা!

কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব রাশিয়ার

‘পূর্ণশক্তি দিয়ে জবাব দেওয়া হবে’ পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি

মে মাসে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন ট্রাম্প

সিনেমাতেও ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

জাতিগত শুমারি: রাহুলের কাছে নতি স্বীকার মোদির

শীর্ষ সামরিক নেতাদের লক্ষ্য করে চীনের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের পেছনে কী রয়েছে?