জনগণ বিএনপিকে আর ক্ষমতায় আসতে দেবে না : প্রধানমন্ত্রী
১৯ মার্চ ২০২৩, ১১:০২ পিএম | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ১০:১৮ পিএম
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের জনগণ কখনই বিএনপি জোটকে আর ক্ষমতায় আসতে এবং তাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেবে না।
গতকাল রোববার আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বোমাবাজি, গুলি, গ্রেনেড হামলাকারি, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি, মানুষের অর্থ আত্মসাৎকারি, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারি এরা কোনদিন এদেশে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ তাদের কখনো মেনে নেবে না। সরকার যে দেশের উন্নয়নে যে কাজগুলো করেছে সেগুলো ঘরে ঘরে মানুষের মাঝে তুলে ধরার জন্য তিনি দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। কারণ বিএনপি মানুষের কাছে বার বার মিথ্যা বলে বলে সেই মিথ্যাটাকেই সত্য করতে চায়। কিন্তু, তাদের আমলে মানুষ কি পেয়েছে. খাবার জন্য হাহাকার, বিদ্যুৎ চাইতে গিয়ে গুলি খেয়ে মানুষ মারা গেছে, শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি চেয়েছিল বলে রমজান মাসে ২৭ জন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছিল খালেদা জিয়া, ১৮ জন কৃষক সার চেয়েছিল বলে তাদের হত্যা করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের এগুলোই রেকর্ড, তারা এগুলোই করে গেছে। আর আজকে সারও কারো কাছে চাইতে হয় না। আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি, মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সুপেয় পানি ও স্যানিটারি ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করেছি। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকারের ওষুধ দিচ্ছি, এখন থেকে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে দরিদ্র ডায়বেটিক রোগীদের বিনামূল্যে ইনসুলিনও প্রদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মানুষ ভাল থাকলে বিএনপি-জামাতীদের মনে কষ্ট হয়। মনে রাখতে হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই মাটিতেই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং তিনিই এই দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। কাজেই, তাঁর বাংলাদেশে কোন মানুষ অন্ন কষ্ট পাবে না, গৃহহীন থাকবে না, শিক্ষার আলো বঞ্চিত থাকবে না-প্রত্যেকটি মানুষের জীবন মান উন্নত হবে। তিনি বলেন, এই বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলাদেশ এবং তিনি যেভাবে চেয়েছিলেন তাঁর বাংলাদেশ সে ভাবেই বিশ^ দরবারে সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলবে। জন্মদিনে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা। এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই আওয়ামী লীগ এবং এর প্রতিটি সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দলের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও এডভোকেট আফজাল হোসেন, কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতা, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও আবু আহমেদ মান্নাফী, দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম সভাটি সঞ্চালনা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার গত ১৪ বছর ধরে দেশের অবকাঠামোসহ নানান খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করলেও বিএনপি নেতারা তা চোখে দেখেন না। অন্ধ বলেই বিএনপির নেতারা এত উন্নয়ন চোখে দেখে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলেই দেশ উন্নত হয় এবং মানুষের জীবন মান উন্নয়ন হয়। তিনি বলেন, দেশে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকারই ক্ষমতায় এসে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় করেছে। দেশের প্রতিটা বিভাগে একটি করে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে। বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি বাংলাদেশকে একটি ভিক্ষুকের জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিল। যাতে বিএনপির দুর্নীতি করতে সুবিধা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলেই এদেশ উন্নত হয়। অন্য কোনো সরকার কোনো উন্নয়ন করেনি। তারপর বিএনপির বলে দেশ নাকি শেষ হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ সরকারই একদিনেই এক শ সেতু উদ্ধোধন করেছে। এদেশের এতো উন্নয়ন করার পরেও তারা বলে আমরা কিছু কিরিনি। বিএনপির নেতারা অন্ধ বলেই তারা এতো উন্নয়ন চোখে দেখে না। তিনি বলেন, বিএনপির চরিত্রই হলো ভাঙা রেকর্ড বাজাবে। তারা কিছু না পেয়ে শুধু পেছনের ভাঙা রেকর্ড বাজায়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান দেশের জন্য কিছু করেনি। তিনি যখন মারা যান তখন দেশে জন্য কিছুই রেখে যাননি। শুধু একটা ভাঙা স্যুটকেস রেখে গেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রসঙ্গে টেনে শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানের দোসরদের সঙ্গে মিলে এদেশের কিছু বেইমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এ দেশের স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই চেতনা ফিরিয়ে আনে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মই হয়েছিল এই বাঙালি জাতিকে একটি আত্মপরিচয়, একটি স্বতন্ত্র জাতিসত্তা এবং একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র তৈরি করার জন্য।
শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানের দোসরদের সঙ্গে এদেশীয় কিছু বেইমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশের স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করে। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই চেতনা ফিরিয়ে আনে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সিংগাইরে শীতার্তদের মাঝে ইউএনও’র কম্বল বিতরণ
বিস্ফোরক মামলায় নিক্সন চৌধুরীর অন্যতম সহযোগী জব্বার মাস্টার গ্রেপ্তার
২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেল রিজার্ভ
সাবেক এমপি কবির উদ্দিন আহমেদ আর নেই
রেকর্ড ৫,৬৩৪ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা সোনালী ব্যাংকের
১৪৮ চিকিৎসককে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বদলি
৭ উইকেট ছেলেকে দিলেন তাসকিন
প্রধান উপদেষ্টার রাজবাড়ী সফর স্থগিত
ভিসা সত্যায়নের বেড়াজালে বিপুল সংখ্যক সউদীগামী কর্মী বায়রা নেতৃবৃন্দের সাথে বিএমইটির ডিজি
মোবাইলের ব্যাককভারে প্রিন্ট করা ছবি লাগানো প্রসঙ্গে
প্রেমিকাকে বিয়ে করলেন জনপ্রিয় গায়ক আরমান মালিক
সরকারি দপ্তরে তদবির বন্ধে সচিবদের উদ্দেশে পত্র দিয়ে তথ্য উপদেষ্টার অনন্য দৃষ্টান্ত
ফুলপুরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ৫ পরিবহনকে জরিমানা
গরুর গাড়ির দৌড় প্রতিযোগিতায় উৎসবের আমেজ
সাইবার আক্রমণ: আসিফ-সাদিক-হান্নানের ফেসবুক আইডি সচল
গোয়ালন্দে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ উপহার
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ২৩৪ অবৈধ অভিবাসী আটক
১৫% ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করুন মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী
প্লাস্টিক দূষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে : পরিবেশ উপদেষ্টা
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত