গ্রেফতারি পরোয়ানার মধ্যেও বাংলাদেশে আসেন আরাভ
১৯ মার্চ ২০২৩, ১১:১৮ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:২৩ পিএম

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে পালাতে পারে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার আসামি স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান। এমন শঙ্কার কথা বাংলাদেশ পুলিশ এরইমধ্যে ইন্টারপোলকে অবহিত করেছে। এছাড়া, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এসব বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছে। বাড়িয়েছে বাড়তি নজরদারি। পুলিশ হত্যা মামলার আসামি আরাভকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দফতরের এনসিবি শাখা।
অন্যদিকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার পরও গত বছরের মার্চ এবং সবশেষ গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। ফেসবুক লাইভে তিনি তার উপস্থিতির জানান দিয়েছিলেন। গত এক বছরে বাংলাদেশ সফরের সময় তিনি দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট থেকে ভিসা নিয়েছিলেন বলে কূটনৈতিক সূত্রে আভাস মিলেছে।
ডিএমপির ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, আরাভের বিষয়ে বাংলাদেশে অবস্থিত দুবাই দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ চলমান রয়েছে। আরাভের পেছনে কারা জড়িত রয়েছে এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের প্রয়োজনে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি মিডিয়া মনজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, পলাতক আসামি আরাভকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের মুখোমুখি করার জন্য পুলিশ সদর দফতরের এনসিবি শাখা কাজ করছে। সে যাতে অন্য কোথাও যেতে না পারে সে বিষয়টিও ইন্টারপোলকে অবহিত করা হয়েছে। সূত্র মতে, ২০১৮ সালের ৮ জুলাই বনানীতে আরাভের অফিসে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন ইমরান খানকে হত্যা করা হয়। পরে লাশ পুড়িয়ে দেয় তারা। লাশ উদ্ধার করা হয় গাজীপুর থেকে। এ ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয় আরাভ খান ওরফে রবিউল ওরফে হৃদয়কে।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনাটি ঘটিয়ে আরাভ পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে চলে যায়। তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে তদন্তে ওঠে আসে রবিউল ইসলাম আপন নামের একজন কোর্টে আত্মসমর্পণ করেছে। তারপর তাকে জেলখানায় নেওয়া হয়। কিন্তু এটা একটা ফেক ঘটনা ছিল। যে আত্মসমর্পণ করেছে সে ভুয়া। আসল আপনের সঙ্গে তার একটা যোগসূত্র বা কমিটমেন্ট হয়েছিল।
জানা যায়, টাকার বিনিময়ে প্রকৃত আসামি রবিউলের পরিবর্তে জেলে যান চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার আবু ইউসুফ লিমন। যখনই তিনি জেলে গেলেন আসল আপন তাকে আর টাকা দিচ্ছিল না। তখন তিনি কোর্টে সত্য কথা বলে দেন। জানান, আমি আপন না। আপন হচ্ছে ওনি, যিনি ভারতে আছেন। আমি ভুল করেছি। তখন কোর্ট আবার ডিবিকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে দেখা যায়, এই আপন আসল আপন নয়। ওই আপন অবৈধভাবে ভারতে চলে গেছে। পরে সেখান থেকে সে দুবাই চলে যায়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

হজযাত্রীর ভিসা প্রক্রিয়া: এখনো ৪ হাজার ৩৬৫ জনের ভিসা বাকি

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি

জোবাইদা রহমানকে বরণে প্রস্তুত ধানমন্ডির মাহবুব ভবন

পোপ ফ্রান্সিসের শেষ ইচ্ছা: নিজের গাড়িকে গাজায় শিশুদের জন্য রূপান্তরিত ক্লিনিক

নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে গুতেরেস-শাহবাজ শরিফের দ্বিতীয়বার ফোনালাপ

দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া

ফিরোজার সামনে নেতাকর্মীদের উপচেপড়া ভিড়

গোয়ালন্দে ওভারলোড ট্রাকে ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়ক, ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা

শাহজালালের ৮ নম্বর ফটক দিয়ে বের হবেন খালেদা জিয়া

অবশেষে স্বতন্ত্র ১৫১৯ ইবতেদায়ি মাদরাসার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

শত্রুর যেকোনও আগ্রাসন মোকাবিলায় প্রস্তুত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী : শেহবাজ

বিমানবন্দর থেকে যে পথে ফিরোজায় যাবেন খালেদা জিয়া

জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের আপিল শুনানি শুরু

সাবেক এমপি মিলনসহ আওয়ামী লীগের ৯ জন গ্রেফতার

খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে যেভাবে অবস্থান নিয়েছে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন

সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় ফিরোজা

খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তা

বেগম খালেদা জিয়ার দেশে আসা গনতন্ত্রের পথকে আরো সহজ করবেঃ মির্জা ফখরুল

বিমানবন্দর থেকে গুলশান: স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত রাজপথ