ঈদের আগে উত্তরাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা
১৯ জুন ২০২৩, ১১:০৮ পিএম | আপডেট: ২০ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
পবিত্র ঈদুল আজহার ঈদের আগে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, সুনামগঞ্জ, সিলেটসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় সাময়িক বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। একদিকে তাপপ্রবাহ চলছে, অন্যদিকে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে দেশের উত্তরাঞ্চল ও সিলেট অঞ্চলে। ভারত থেকে আসা ঢল ও কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি। ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার সব ক’টি নদনদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। যাদুকাটা, সুরমাসহ সব নদীর পানি বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আগামী কয়েক দিন বন্যা হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। বন্যা খুব তীব্র হবে না বলে আপাতত পূর্বাভাস দেওয়া হলেও বৃষ্টিপাত বাড়লে বা ভারত থেকে উজানের পানি ছাড়া হলে পরিস্থিতি গুরুতর হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। কেউ কেউ বলছেন, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার উজানে ভারতের বাঁধের পানি ছাড়া হলে বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। উজানের পাহাড়ি ঢলে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীর পানি। ফলে নদী তীরবর্তী নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে তিস্তা, বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র। তিস্তায় ১২ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৫০ সেন্টিমিটার, লালমনিরহাটের ৮ পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ক্রমাগত পানি বাড়লেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ২ সপ্তাহে এসব এলাকায় বড় বন্যার সম্ভাবনা নেই। তবে ঈদের পরে বড় বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূইঞা ইনকিলাবকে বলেন, সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলে এখনই গত বছরের মতো তীব্র বন্যা হওয়ার শঙ্কা নেই। তবে উত্তরাঞ্চলে তিস্তা নদীতে হঠাৎ পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। বৃষ্টিপাত বেশি হলে ভারত ব্যারাজ খুলে দেয় এবং তখন পানি এদিকে চলে আসে। এই ব্যারাজ তারা কখন খুলে দেবে, সে বিষয়ে আমরা কিছু জানতে পারি না। তাই অনেক সময় এখানে হঠাৎ বন্যা হয়।
গতকাল সোমবার সকাল ৬টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় দোয়ানীতে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা ৫২ মিটার ১৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বিকেল ৩টায় পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নিচে নেমে আসে। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শুনীল বলেন, ‘ভারত থেকে পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে গিয়েছিল। পাহাড়ি ঢল শেষ হলে দ্রুত পানি নেমে যায়। সকালে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। সকাল ৯টা থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি আসা বন্ধ হলে তিস্তায় পানি কমতে থাকে। তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচে নামলেও কাউনিয়া পয়েন্টে তা বিপৎসীমার কাছাকাছি আছে।’
গতকাল সকালে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, ধরলা ও যমুনার পানি। ক্রমাগত পানি বাড়লেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ২ সপ্তাহে এসব এলাকায় বড় বন্যার সম্ভাবনা নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ায় যমুনার পানি প্রায় আরও এক মিটার বেড়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় সারিয়াকান্দির মথুরাপাড়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১৩ দশমিক ৮৫ মিটার। আজ একই সময়ে সেখানে পানি বেড়ে হয়েছে ১৪ দশমিক ৬৯ মিটার।
গতকাল বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আগামী ১৫ দিনের বর্ধিত পূর্বাভাস দিয়েছে। সেই পূর্বাভাস অনুসারে, আগামী ২২-২৩ জুন কুড়িগ্রামের উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার চরাঞ্চল এবং নদী তীরবর্তী নি¤œাঞ্চলগুলো ব্রহ্মপুত্রের পানিতে সাময়িক প্লাবিত হতে পারে। তবে ওই অঞ্চলে আগামী ২ সপ্তাহে বড় বন্যার আশঙ্কা নেই বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলার চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী নি¤œাঞ্চলগুলোয় যমুনার পানি বেড়ে আগামী ২২-২৩ জুন নাগাদ সাময়িক বন্যা হতে পারে। তবে ওই অঞ্চলে আগামী ২ সপ্তাহে বড় বন্যার আশঙ্কা নেই বলেও জানানো হয়েছে। গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি, জামালপুরের সরিষাবাড়ী ও মাদারগঞ্জ এবং বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলার চরাঞ্চল ও নি¤œাঞ্চলগুলোয় যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে ওই এলাকায় বড় বন্যার আশঙ্কা নেই। এই দিকে ঈদের আগে বন্যার সংখ্যা থাকায় বিপাকে পরে গেছেন বগুড়ার চরাঞ্চলের মানুষ। বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার চর বাটিয়ার তাহের আলী বলেন, মানুষ যখন ঈদের আনন্দ করবে তখন আমাদের চিন্তা করতে হবে গবাদি পশু ও শিশুদের নিয়ে। গবাদি পশুর খাবারের দাম অনেক। বন্যা হলে খুব বিপদে পড়ে যাব। গত ৩ দিন ধরে নদ-নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। ঈদের আগে বন্যা হলে চরাঞ্চলের মানুষের খুব কষ্ট হবে। কম দামে গরু-ছাগল বেচে দিতে হবে।
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। তবে এসব নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে আছে। তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তিস্তাপাড়ে চর ও নি¤œাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।› ‹তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে› উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‹তিস্তাপাড়ে যেকোনো সময় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ ইনকিলাবকে বলেন, তিস্তায় পানি বাড়ছে তবে তিস্তাপাড়ে এখনো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি আছে। সার্বক্ষণিক তিস্তাপাড়ের খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে আনার নির্দেশনা স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া হয়েছে।
সিলেট ব্যুরো জানায়, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে অব্যাহত অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে গত বছরের মতো এবারও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে সিলেটজুড়ে। বৃষ্টি আর উজানের ঢলে নদ-নদী টুইটম্বুর। টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে সিলেট নগরীতে। সড়ক উপচে পানি ঢুকে পড়েছে বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। গত ১৪ জুন ভোর থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে সিলেটে। এতে নগরীর নিম্নাঞ্চাল এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে অনেক উপজেলা এখন বন্যার পানি কবলে পড়ে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা, পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষও। সিলেটের কানাইঘাট পয়েন্টে ও সুনামগঞ্জের ছাতক পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে কানাইঘাটের নিম্নাঞ্চল কিছুটা প্লাবিত হয়। সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি ১২ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছিল। গতকাল সকাল ৬টা থেকে যা ১২ দশমিক ৬১ সেন্টিমিটারে নেমেছে। আর সকাল ৯টায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ১২ দশমিক ৬৭ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে।
এদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার প্লাবিত হয়েছে নিন্মাঞ্চল। পাশাপাশি উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। হাওরাঞ্চলে বসবাসরত কয়েক হাজার মানুষ রয়েছেন পানবন্দী। গত মঙ্গলবার ভোর থেকে থেকে টানা স্থানীয় ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা যেন তীলে তীলে গ্রাস করছে সীমান্ত জনপদ গোয়াইনঘাটকে। অতিবৃষ্টির কারণে উপজেলাবাসীর মাঝে বাড়ছে বন্যার আতঙ্ক।
উপজেলা ত্রান ও দূর্যোগ শাখার কর্মকর্তা (পিআইও) শীর্ষেন্দূ পুরকাস্থ ইনকিলাবকে জানান, সরকার প্রদত্ত আমাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে, উপজেলা জুড়ে ৫৬টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ বিপুল সংখ্যক উদ্ধারকারী (রেসকিউ) টিম রয়েছে।সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের এরই মধ্যে জানানো হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করে রাখার জন্য বলা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা জানান, টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদী পানি। পানি বৃদ্ধি পেলেও এখন পর্যন্ত সবগুলো পয়েন্টে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি ঢুকে পড়ছে নদ-নদী অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলোতে। তবে এখনও ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ না করলেও তলিয়ে গেছে এসব এলাকার পটল, ঢেড়ষসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের মানুষজন। কুড়িগ্রাম পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ-আল-মামুন জানান, জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এখনও বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আগামী ২২ ও ২৩ জুন এসব নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়ার পুর্বাভাস অনুযায়ী ধারণা করা যায়। তবে আগামী ১০ দিনের মধ্যে বড় কোন বন্যার সম্ভাবনা না থাকার কথাও জানান তিনি।
সুনামগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জের সবকটি নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ঢলের পানি ঢুকছে হাওরে। সুরমা নদীতে জোয়ার বইছে। নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলোতে পানি ছুঁই ছুঁই। তবে পানি বিলম্বে বাড়ায় বড় ধরণের প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা নেই। ছাতক উপজেলার কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ছাতকে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৪ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত সুনামগঞ্জের ঘোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৭৫ সেন্টিমিটারা নীচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কয়েক জায়গায় নদীর তীর ডুবে গেছে। জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা হতে শক্তিয়ারখলা মেইন রোডে পানি উঠলেও জেলা শহরের সাথে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।
সুনামগঞ্জ পাউবো’র প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৭৫ সে.মি. নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী আরো কয়েকদিন সুনামগঞ্জে ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা থাকলেও আপাদত বন্যার আশঙ্কা নেই
ডোমার (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার কালিগঞ্জ, ঝারসিংহেসর, খগারচর, কিসামত ছাতনাই, জুয়ার চর, বাংলাপাড়া, উত্তর খড়িবাড়ী, ছোটখাতা, বাইশপুকুর ও জলঢাকা উপজেলার ফরেস্টের চর, ভাবনচুর, গোলমুন্ডা সহ প্রায় ২০টি চর পানিতে তলিয়ে গেছে। হঠাৎ পানি বাড়ার ফলে তলিয়ে যাওয়া চরগুলো প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ও গবাদি পশুপাখি নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা।
ডালিয়া পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা ইনকিলাবকে জানান, পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বেড়েছে। তবে ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বন্যা মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সর্বদা প্রস্তুত আছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন উপদেষ্টা
বগুড়ার ধুনট পল্লীতে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ব্যবসায়ীর ৩৫ হাজার টাকা ছিনতাই
দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ
সিদ্দিরগঞ্জে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু
নাচোলে পিয়ারাবাগানে এক গৃহবধূ খুন
৫ জানুয়ারি থেকে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মোটর থেকে বৈদ্যুতিক তার খুলতে প্রাণ গেল যুবকের
কারখানায় আগুন, পরিদর্শনে হাতেম
নির্বাচনের তারিখ নিয়ে যা জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার
কবি জসীমউদ্দিনের মেজ ছেলে ড. জামাল আনোয়ার আর নেই
ভাঙ্গায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ আহত- ১০
আমাদের সংস্কৃতির অংশ হলো সব ধর্মের মাঝে সম্প্রীতি ও সহাবস্থান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
রাতের আধারে অসহায় ব্যাক্তিদের বাড়ির দরজায় গিয়ে কম্বল দিলেন ইউএনও
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রশংসা করলেন রাহাত, জানালেন নিজ অনুভূতি
সাবেক দুদক কমিশনার জহরুল হকের পাসপোর্ট বাতিল, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
শ্রীপুরে ভুয়া মেজর আটক
প্রশ্ন: কিসব কারণে বিয়ের বরকত নষ্ট হয়ে যায়?
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অনুপম দৃষ্টান্ত মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ (সা:)
আল-কুরআন তাজকেরায়ে মীলাদ নামায়ে আম্বিয়া (আ:)
ভারত উপমহাদেশে মুসলিম সভ্যতার জাগরণে আবুল হাসান আলী নদভির শিক্ষাচিন্তা