খাদ্য নিরাপত্তা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ছে
২০ জুন ২০২৩, ১১:০১ পিএম | আপডেট: ২১ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে দ্রুত গলে যাচ্ছে হিমালয় পবর্তমালায় জমে থাকা বরফ। এর ফলে বিশুদ্ধ পানির সংকট, বন্যা, ভূমিধসের মতো নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের বড় ঝুঁকিতে পড়েছে বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের অন্তত ২০০ কোটি মানুষ। এক গবেষণা প্রতিবেদনে গতকাল এই সতর্কবাণী দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, হিমালয়ের বরফ গলে যাওয়া এ অঞ্চলের কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, বিশুদ্ধ পানির প্রাপ্যতা এবং বিদ্যুৎশক্তির উৎসগুলোকে হুমকিতে ফেলেছে। এমনকি, এটি জীববৈচিত্রের হটস্পটগুলোতে বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতিকে বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারে।
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্ট (আইসিআইএমওডি)-এর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের দশকের তুলনায় ২০১১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে হিমালয়ের হিমবাহগুলো ৬৫ শতাংশ দ্রুত গলে গেছে।
প্রতিবেদনের প্রধান লেখক ফিলিপাস ওয়েস্টার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, উষ্ণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বরফ গলতে থাকবে, এটি প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু অপ্রত্যাশিত এবং খুবই উদ্বেগজনক বিষয়টি হলো এর গতি। আমরা যা ভেবেছিলাম তার চেয়ে অনেক দ্রুত বরফ গলছে।
আইসিআইএমওডি মূলত নেপাল-ভিত্তিক একটি আন্ত:সরকার সংস্থা। এর বাকি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, চীন, ভারত, মিয়ানমার ও পাকিস্তান।
প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, হিন্দুকুশ হিমালয় অঞ্চলের হিমবাহগুলো পার্বত্য অঞ্চলের প্রায় ২৪ কোটি এবং নিচের নদী উপত্যকার আরও ১৬৫ কোটি মানুষের জন্য পানির গুরুত্বপূর্ণ উৎস। কিন্তু নির্গমন গতিপথ বলছে, চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ বর্তমান আয়তনের ৮০ শতাংশই হারাতে পারে এসব হিমবাহ।
হিমালয়ের এই হিমবাহগুলো গঙ্গা, সিন্ধু, ইয়েলো, মেকং, ইরাবতিসহ বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১২টি নদী ব্যবস্থায় পানি সরবরাহ করে এবং প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোটি কোটি মানুষের জন্য খাদ্য, বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ বায়ু এবং রোজগারের ব্যবস্থা করে থাকে। হিমালয়ের বরফ গলে গেলে ১৬টি দেশের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া এসব নদীতে সুপেয় পানির সরবরাহ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আইসিআইএমওডির ডেপুটি চিফ ইজাবেলা কোজিয়েল বলেন, এশিয়ার ২০০ কোটি মানুষ এই হিমবাহগুলোতে থাকা পানির ওপর নির্ভরশীল। এই ক্রায়োস্ফিয়ার (হিমায়িত অঞ্চল) হারানোর পরিণতি হবে ধারণারও বাইরে।
ইজাবেলা বলেন, হিমবাহগুলো সামান্য তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রতিও খুবই সংবেদনশীল। তুষার, হিমবাহ এবং পারমাফ্রস্ট (ভূগর্ভস্থ হিমায়িত অঞ্চল) গলে গেলে বিপর্যয়গুলো আরও নিয়মিত ঘটতে পারে এবং তা হবে আরও প্রাণঘাতী ও ব্যয়সাপেক্ষ।
আইসিআইএমওডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আকস্মিক বন্যা, ভূমিধস ছাড়াও এই অঞ্চল হিমবাহ হ্রদ বিস্ফোরণে (গ্লেসিয়াল লেক আইটবার্স্ট) সৃষ্ট বন্যার উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। হিন্দুকুশ হিমালয়জুড়ে এ ধরনের ২০০টি হিমবাহ হ্রদকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া, হিমালয়ের বরফ গলে যাওয়া এ অঞ্চলের কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, বিশুদ্ধ পানির প্রাপ্যতা এবং বিদ্যুৎশক্তির উৎসগুলোকে হুমকিতে ফেলেছে। এমনকি, এটি জীববৈচিত্র্যের হটস্পটগুলোতে বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতিকে বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কালীগঞ্জে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার অপরাধে জরিমানা
৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একটি কল্যাণমূখী রাষ্ট্র গড়ে তোলা হবে: সাইদ সোহরাব
ইবি’র প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ২৫তম ফ্যামিলি ডে উদযাপন
মাদারীপুরে শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
বগুড়ায় বিএনপি নেতা সাজুর ওপর হামলার প্রতিবাদে সভা
ডিআরইউ সদস্য ও সদস্য সন্তানদের উশু প্রশিক্ষণ শুরু
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ১৫, ভাংচুর ও ব্যাপক লুটের অভিযোগ
গ্রাহকদের টাকা পরিশোধ করে আবারো ঘুরে দাড়াতে চায় ই'কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ
দেবোত্তর বাজারে লিফলেট বিতরণ করলেন জেলা সমন্বয়ক প্রধান ফাহাদ
‘আগস্ট বিপ্লবে ইসলামপন্থিদের বাদ দিয়ে কোনো ইতিহাস রচিত হতে পারে না’
পালালেন এক ওসি, প্রত্যাহার আরেক ওসি
মাগুরার শ্রীপুরের কোদলা গ্রামে দু দলের সংঘর্ষে আহত ১৭ একাধিক ঘরবাড়ি ভাঙচুর
২০১৮ এর কোটা সংস্কার আন্দোলন না হলে ’২৪ এর গণঅভ্যুত্থান হতো না : আবু হানিফ
বগুড়ায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা মামুন
আলফাডাঙ্গায় হালি পেঁয়াজের চাড়া রোপনের ধুম পড়েছে
শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ড. সোহেল, সদস্য সচিব ড. মাসুদ
মাস্ক, ঘোমটা ও ভুয়া পাসপোর্টসহ 'কট' নিপুণ! তদন্তে রহস্যময় তথ্য
খুনিরাই খুনিকে সহযোগিতা করেছে : সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ
নাটোরে মহাশ্মশানের মন্দিরে তরুণ দাস হত্যার মূল আসামি গ্রেপ্তার
টাকাটাই শেষ কথা বাকি সব বাতুলতা! শফিক রেহমান সম্পর্কে যা বললেন ডা: জাহেদ