লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক
২০ জুন ২০২৩, ১১:১৯ পিএম | আপডেট: ২১ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
আল কুরআনে মহান রাব্বুল আলামীন হজ্জের সময় এবং তৎকালে স্ত্রী সম্ভোগ করা, অন্যায় আচরণ করা এবং কলহ বিবাদ করাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। ইরশাদ হয়েছে : ‘হজ্জ অনুষ্ঠিত হয় সুবিদিত মাসগুলোতে। তারপর যে কেউ এ মাসগুলোতে হজ্জ করা স্থির করে সে হজ্জের সময় রাফাস (স্ত্রী সম্ভোগ), ফুসুক (অন্যায় আচরণ) ও জিদাল (কলহ-বিবাদ) করবে না। আর তোমরা উত্তম কাজ থেকে যা-ই করো, আল্লাহ তা জানেন। আর তোমরা পাথেয় সংগ্রহ করো। নিশ্চয় উত্তম পাথেয় হচ্ছে তাকওয়া। হে বোধসম্পন্ন ব্যক্তিগণ! তোমরা আমারই তাকওয়া অবলম্বন করো। (সূরা-আল বাকারাহ : আয়ত ১৯৭)। আলোচ্য আয়াতে কারীমায় উল্লেখিত রাফাস শব্দটি ব্যাপক অর্থজ্ঞাপক। স্ত্রী সান্নিধ্যে সময় এবং এতদসংক্রান্ত ইঙ্গিত ইশারা সবই এর অন্তর্ভুক্ত। এহরাম অবস্থায় এ সবই হারাম। পিয়ারা নবী মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন : ‘যে কেউ এমনভাবে হজ্জ করল যে, তাতে রাফাস তথা অশ্লীলতা, ফুসুক তথা পাপ কাজ এবং জিদাল তথা ঝগড়া-বিবাদ ছিল না, সে তার হজ্জ থেকে সেদিনের ন্যায় ফিরে আসল যেদিন তাকে তার মা জন্ম দিয়েছিল’। (সহিহ বুখারি : ১৫২১; সহিহ মুসলিম : ১৩৫০)।
আর ফুসুক-এর শাব্দিক অর্থ হলো বের হওয়া। আল কুরআনের ভাষায় নির্দেশ লঙ্ঘন বা নাফরমানি করাকে ফুসুক বলা হয়। যে সকল কাজ ও বিষয় এহরাম অবস্থায় নিষেধ ও নাযায়েজ তা হচ্ছে ছয়টি। (১) স্ত্রী সান্নিধ্যে গমন ও এর আনুষঙ্গিক যাবতীয় আচরণ। (২) স্থলভাগের জীবজন্তু শিকার করা বা শিকারিকে বলে দেয়া। (৩) নখ বা চুল কাটা। (৪) সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করা। এ চারটি বিষয় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্যই এহরাম অবস্থায় হারাম বা নিষিদ্ধ। অবশিষ্ট দু’টি বিষয় পুরুষের সাথে সম্পৃক্ত। (৫) সেলাই করা কাপড় পোশাকের মতো করে পরিধান করা। (৬) মাথা ও মুখম-ল আবৃত করা।
আর জিদাল শব্দের অর্থ একে অপরকে পরাস্ত করার চেষ্টা করা। এ জন্যই আরবি ভাষায় বড় রকমের বিবাদকে জিদাল বলা হয়। কিন্তু এহরামের অবস্থায় জিদালের পাপ খুবই গুরুতর। কেননা, পবিত্র দিনসমূহে ও পবিত্র স্থানসমূহে যেখানে শুধুমাত্র আল্লাহর এবাদতের জন্য আগমন করা হয়েছে এবং লাব্বাইকা লাব্বাইকা ধ্বনি উচ্চারিত করা হচ্ছে। আর এহরামের পোশাক তাদের সবসময় একথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, তোমরা এখন আল্লাহর এবাদতে ব্যস্ত। এমতাবস্থায় স্ত্রী সম্ভোগ, অন্যায় আচরণ ও কলহ-বিবাদ ইত্যাদি অত্যন্ত অন্যায় ও চরমতম নাফরমানির কাজ। মোটকথা, হজ্জের পবিত্র সময় ও মাসগুলোতে শুধু নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকাই যথেষ্ট নয়, বরং এ সময়কে সুবর্ণ সুযোগ মনে করে আল্লাহর জিকির ও ইবাদত করা এবং সৎকাজে সদা আত্মনিয়োগ করা একান্ত দরকার। এ জন্যই আল কুরআনে ঘোষণা করা হয়েছে যে, ‘তুমি যে কাজই করো না কেন আল্লাহ তায়ালা তা জানেন, আর এর বিনিময়ে তোমাদের উত্তম প্রতিদান প্রদান করা হবে’। মহান আল্লাহপাক এ নেয়ামত ও বরকত আমাদের নসিব করুন, আমীন!
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ঝিকরগাছায় মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে চলছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
কেবল সেবন নয় মাদক ব্যবসায়ও জড়িত তারকারা, ডিসেম্বরের পরে দেখে নেবে কে?
গাবতলীতে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্নামেন্ট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি লালু
যমুনার ভাঙনের মুখে আলোকদিয়াবাসীর বসতবাড়ি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
নোবিপ্রবির সঙ্গে নেদারল্যান্ডের ইউট্রিচ বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি স্বাক্ষর
৯ দফা দাবীতে নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালরে সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
এলজিইডির এক প্রকল্পে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
আবাসিক হোটেলের নামে মাদকের আড্ডা
নোয়াখালীতে মসজিদের ইমাম ও খতিবকে বিদায়ী সংবর্ধনা
খুলনাকে বিদায় করে ফাইনালে মেট্রো
কালিয়াকৈরে চাঁদাবাজের হামলায় চাঁদাবাজ কালামের মৃত্যু
বিরল উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত- ১
কামালপুর সড়কের ব্রিজ ভেঙ্গে মরণফাঁদ চরম দুর্ভোগে পথচারীরা
মেয়েদের ক্রিকেটে যুক্ত হলো যেসব সুযোগ-সুবিধা
বাড়ছে শীতের প্রকোপ, সাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
জকিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
খালিশপুরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
যুব এশিয়া কাপজয়ীরা পাচ্ছেন আর্থিক পুরস্কার
আদমদিঘীতে বিএনপি কার্যালয় উদ্বোধন