আমার নাম ব্যবহার করে সেন্ট্রাল হসপিটাল অনিয়ম করেছে ডা. সংযুক্তা সাহা
২০ জুন ২০২৩, ১১:২৯ পিএম | আপডেট: ২১ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
সেন্ট্রাল হসপিটাল আমার নাম ব্যবহার করে অনিয়ম করেছে।সেন্ট্রাল হসপিটালে ভুল চিকিৎসা ও প্রতারণার কারনে মাহবুবা রহমান আঁখি ও সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় নিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে একই হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহা এ দাবি করেন। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর পরীবাগে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। ডা. সংযুক্তা সাহা বলেন, সেন্ট্রাল হসপিটাল আমার নাম ব্যবহার করে এমন অনিয়ম করবে, আমি ভাবতেও পারিনি। মারা যাওয়া আঁখি আমার রোগী ছিলেন না। তিনি কুমিল্লার একটি স্থানীয় হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়েছেন। এ বছরের মার্চে তিনি দুইবার সেন্ট্রালে এসে আমাকে দেখিয়েছিলেন। নিয়মিত রোগী হতে হলে একজন গর্ভবতীকে গর্ভাবস্থার শুরুতে প্রতি মাসে একবার এবং শেষের দিকে দুই সপ্তাহে একবার দেখাতে হয়। আঁখি আমার নিয়মিত রোগী ছিলেন না। আঁখি যখন হাসপাতালে আসেন, তখন আমি দেশে ছিলাম না। আমার টিকিট ও বোর্ডিং পাস আমার কাছে আছে। আমি ভিডিও কলেও অপারেশন মনিটর করিনি। সব মিথ্যা।
যে মানুষটা দেশেই নাই তার নাম করে কেন রোগী ভর্তি করবেন। এটা কার স্বার্থে? আমি যদি অপারেশনে না করি; যদি নাই থাকি তাহলে রোগী ভর্তি করালেন কোন আক্কেলে? এটা অবশ্যই একটা বে-আইনি ব্যবস্থা। আমি সবাইকে আহ্বান জানাব আপনারা এই অনিয়মের সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
ডা. সংযুক্তা সাহা বলেন, এই অবহেলাজনিত মৃত্যু কাম্য নয়। আসুন আমরা এই সমস্যাটি এড়িয়ে না গিয়ে প্রকৃত দোষীকে খুঁজে বের করি।
সংযুক্তা আরও বলেন, স্বার্থান্বেষী মহল প্রকৃত ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চাইছে এবং নিজেদের দোষ আড়াল করার জন্য সব রকম পন্থা অবলম্বন করছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে। তাদেরকে খুঁজে বের করা উচিত। আমিও একজন সন্তানের মা, আমি একজন চিকিৎসক। আমি এদেশেরই লোক। দেশ এবং সমাজের প্রতি আমার যে দায়বদ্ধতা, সেখান থেকেই আমি সঠিক তথ্যটা তুলে ধরতে চাই।
এই চিকিৎসক বলেন, প্রকৃত ঘটনা বলতে গেলে এই হাসপাতালটিতে আমি ২০০৭ থেকে কনসালট্যান্ট হিসেবে কর্মরত আছি। সেন্ট্রাল হসপিটালে কোনো চিকিৎসকের অধীনে রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়মাবলী নেই। বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা প্রচলিত প্র্যাকটিসের ওপর নির্ভর করেই এই হসপিটালটি চলছে। কোনো চিকিৎসকের লিখিত সম্মতি না নিয়ে কোনো রোগী চিকিৎসকের অধীনে ভর্তি হয় না। কিন্তু প্রয়াত মাহবুবা রহমান আঁখিকে সেন্ট্রাল হসপিটাল ১০ জুন ভর্তির প্রাক্কালে আমার কাছ থেকে মৌখিক বা লিখিত কোনো ধরনের সম্মতি তারা গ্রহণ করেনি।
এদিকে গত সোমবার সন্ধ্যায় মৃত আাঁখি ও তার সন্তানের লাশ নিজ বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভার গাইনের ডহরা গ্রামে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। বাদ এশা বাবার কবরের পাশে আঁখিকে দাফন করা হয়। পাশে দাফন করা হয় নবজাতককে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কালিহাতীতে মারামারির সন্ধিগ্ধ মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ড দলে নেই স্টোকস, ফিরলেন রুট
ঝিকরগাছায় মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে চলছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
কেবল সেবন নয় মাদক ব্যবসায়ও জড়িত তারকারা, ডিসেম্বরের পরে দেখে নেবে কে?
গাবতলীতে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্নামেন্ট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি লালু
যমুনার ভাঙনের মুখে আলোকদিয়াবাসীর বসতবাড়ি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
নোবিপ্রবির সঙ্গে নেদারল্যান্ডের ইউট্রিচ বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি স্বাক্ষর
৯ দফা দাবীতে নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালরে সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
এলজিইডির এক প্রকল্পে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
আবাসিক হোটেলের নামে মাদকের আড্ডা
নোয়াখালীতে মসজিদের ইমাম ও খতিবকে বিদায়ী সংবর্ধনা
খুলনাকে বিদায় করে ফাইনালে মেট্রো
কালিয়াকৈরে চাঁদাবাজের হামলায় চাঁদাবাজ কালামের মৃত্যু
বিরল উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত- ১
কামালপুর সড়কের ব্রিজ ভেঙ্গে মরণফাঁদ চরম দুর্ভোগে পথচারীরা
মেয়েদের ক্রিকেটে যুক্ত হলো যেসব সুযোগ-সুবিধা
বাড়ছে শীতের প্রকোপ, সাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
জকিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
খালিশপুরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন