জালেম সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবো না
২৪ জুন ২০২৩, ১১:১০ পিএম | আপডেট: ২৫ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
সরকার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে আয়োজন করার পাঁয়তারা করছে এবং মানুষকে ধোকা দিয়ে বোকা বানানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা আগেও বলেছি এবং এখনও বলছি- দলীয় সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করবে না। বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, জামাত, এবি পাটিসহ ১৫ রাজনৈতিক দল ভোট চোর শ্বৈর শাসক এই জালেম সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না। তাই সরকারের পতন এখন সময়ের দাবী। ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই’র আহবানে দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণ এবং একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় গতকাল শনিবার গুলিস্তানস্থ হোটেল ইম্পেরিয়াল মিলনায়তনে সভাপতির বক্তব্যে দলের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন।
পীর সাহেব চরমোনাইর সভাপতিত্বে এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ দিকনির্দেশনামূলক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন। উদ্বোধীনী বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, স্বাধীনতার পর ৪ পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থার মাধ্যমে জাতীয় সংসদসহ বিভিন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটি হচ্ছে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, সামরিক সরকারের অধীনে নির্বাচন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং সেনা সর্মথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন।
পীর সাহেব বলেন, বাস্তবতা হল দলীয় সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনই সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ হয় নাই। রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের উপর দমন পীড়ন চালিয়ে এক তরফা নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করাই দলীয় সরকারের মূল উদ্দেশ্য থাকে। কাজেই স্বাধীনতা পরবর্তী কোন নির্বাচনই দলীয় সরকারের অধিনে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও বিতর্কহীন হয় নাই। তাই ভবিষ্যতেও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার আশা করা যায় না। ১৯৭৩ সালে, ২০১৪ সালে এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন তার বাস্তব প্রমান। রাজনৈতিক একটি বিশেষ প্রেক্ষাপটে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে প্রথম নির্বাচন হয় ১৯৯১ সালে। ঐ নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তৎকালীন বিরোধীদল বলেছিল নির্বাচনে সুক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে। এ অজুহাতে বিরোধী দল অনেকদিন পার্লামেন্ট বর্জন করেছিল। আবার ২য় বার ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় গেলে ঐ সময়ের বিরোধী দল বলেছিল ভোটে স্থুল কারচুপি হয়েছে এবং তারাও লাগাতার সংসদ বর্জন করেছিল। কাজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন সত্যিকারার্থে গ্রহণযোগ্য হয় না, নিরপেক্ষও হয় না।
২০০৭ সালে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে গঠিত হয় সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ৩ মাসের পরিবর্তে ২ বছর স্থায়ী হয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় গেলে তৎকালীন বিরোধী দল বলেছিল সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচনে মারাত্মক পক্ষপাতিত্ব করেছে। পীর সাহেব বলেন, সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দেখতে পাই দলীয় সরকার, সামরিক সরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সেনাসমর্থিত সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনই নিরপেক্ষ ও গ্রহণ যোগ্য হয় নাই। তাই আমরা বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, আলেম-ওলামাগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই- বর্তমানে রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে এবং বিগত পদ্ধতির নির্বাচনগুলোর ত্রুটির কারণে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নিবন্ধিত সকল দলের পরামর্শক্রমে এবং অংশগ্রহণে জাতীয় সরকার গঠন করে তার অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে নির্বাচনটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং সকল দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে।পীর সাহেব জাতীয় সরকারের প্রস্তাবিত রূপরেখা ঘোষণা করেন। রূপরেখা হচ্ছে, আপিল বিভাগের একজন বিজ্ঞ, সৎ যোগ্য গ্রহণযোগ্য বিচারপতিকে প্রধান করে নিবন্ধিত দলগুলোর প্রতিনিধি নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন হবে।যারা জাতীয় সরকারে থাকবেন তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেবেন না। জাতীয় সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। জাতীয় সরকার গঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বর্তমান জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। সংসদ ভেঙ্গে দেয়ার পাশাপাশি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। জাতীয় সরকার গঠিত হওয়ার পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবেন। কোনো কারণে তা সম্ভব না হলে পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে অবশ্যই নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। জাতীয় সরকার গঠিত হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন ভেঙ্গে দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। বর্তমান মন্ত্রীসভার কেউ‘ই নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারে থাকতে পারবেন না। সকল দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে নির্বাচনটি সকল দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। অনেক দলই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা দলীয় সকারের অধীনে নির্বাচনের কথা যেহেতু পূর্ব থেকে বলে আসছেন, তাই হয়তো এ পদ্ধতিগুলো তারা পরিবর্তন করতে চান না। আমরা বলি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারও তো সময়ের প্রেক্ষিতে এসেছে। ১৯৯১ সালের আগে কোনো দিনই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামে কোনো সরকার ছিল না এবং এ নামে নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়নি। এ পদ্ধতিও শেষ পর্যন্ত অবিতর্কিত থাকেনি। আর দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন তো স্বাধীনতার পর কোনো কালেই গ্রহণযোগ্য হয়নি। সামরিক সরকারের অধীনে নির্বাচন ছিল ফরমায়েশী নির্বাচন। সামরিক সরকার জনমতের তোয়াক্কা’ই করে নাই। তাই জাতীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আমরা রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ ও আলেম-ওলামাগণের নিকট এ ব্যাপারে সুচিন্তিত মতামত প্রদানের অনুরোধ জানাচ্ছি। সর্বোপরি জাতীয় এবং রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে দলীয় সরকারের অধীনে নয়; বরং জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক পতিনিধিত্ব (চজ) পদ্ধতিতে সংসদে প্রতিনিধিত্ব এবং সিইসি’র পদত্যাগের দাবিতে সকল দেশপ্রেমিক দল ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দাবী জানাচ্ছি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, বাংলাদেশ জমিয়তুল মুছলেহীনের আমীর প্রিন্সিপাল মাওলানা খলিলুর রহমান নেছারাবাদী, বাংলাদেশ কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, ইনসাফ পার্টির সদস্য সচিব সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আবদুল কাদের, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, মুসলিম লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুল ইসলাম, মোকামিয়া দরবারের পীর সাহেব মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস, খেলাফতে রব্বানী পার্টির চেয়াম্যান মুফতী ফয়জুল হক জালালাবাদী, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, বাংলাদেশ মসজিদ মিশন ও সেন্ট্রাল মসজিদ মিশন সেক্রেটারি ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আবদুল লতিফ মাসুম। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস হাফিজ ইব্রাহিম, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, খন্দকার গোলাম মাওল, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, কেএম আতকির রহমান, আহমদ অবাদুল কাইয়ূম ও মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু ইসলামী আন্দোলনের ৯ দফা প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন করে বলেন, এই রূপরেখা বিএনপি রূপরেখার সাথে অনেকাংশেই মিল আছে। তবে তিনি (পি.আর) পদ্ধতির সাথে ভিন্নমত প্রকাশ করেন। তিনি বরিশালে সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফয়জুল করীমের উপর আওয়ামী বর্বরতার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইসলামী আন্দোলন ইচ্ছা করলে পুরোদেশ অচল করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু সেটা তারা করেননি। এটা অত্যন্ত দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে। তিনি ইসলামপন্থিদের অনৈক্যের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, জালিম সরকার হটানোর আন্দোলনে যাদের অবদান থাকবে, বিএনপি তাদের সাথে নিয়ে সরকার গঠন করবে। বুলু বলেন, শহীদ জিয়া দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছেন। আর শেখ মুজিবের রক্ষী বাহিনী প্রায় ৪০ হাজার যুবককে হত্যা করেছিল। তিনি বলেন, এই দেশে তলোয়ারের মাধ্যমে ইসলাম আসেনি। পীর মাশায়েখ আলেম ওলামাদের আধ্যাতিক ত্যাগের মাধ্যমেই ইসলাম এসেছে। বরিশাল সিটি নির্বাচনে হাতপাখার প্রার্থী একজন আলেমের গায়ে হাত দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। তিনি বলেন, আজ ইরাক, সিরিয়া ও জর্ডানের অবস্থা কী তা’ লক্ষ্য করতে হবে। দেশটাকে রক্ষার দায়িত্ব সবার। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আলেম,ওলামা পীর মাশায়েখদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা এককভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে চাই না। তিনি হযরত আলী (রা.) উপমা দিয়ে বলেন, তিনি বলেছিলেন, আলেম ও বিচারকরা যখন বধির হয়ে যাবে তখন গজব আসবে। দশ হাজার কোটি টাকা সুইস ব্যাংকে পাচার করা হয়েছে। আমেরিকা থেকে ¯্রােতের ন্যয় পাচারকৃত টাকা আসছে। পাচারকৃত টাকায় দুবাইতে শত শত বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। ইসলামী মূল্যবোধের সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক এই দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বুলু বলেন, শেখ হাসিনার সরকার পতনের আন্দোলনে এক সাথে রাজপথে থাকবো। মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, গোটা প্রশাসন বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী প্রার্থীকে মেয়র বানাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। জনগণের ভোটে সরকার গঠন করা সম্ভব হয়ে বিদেশিরা বাংলাদেশেও ওপর প্রভাব ফেলতে পারে না। দেশের অর্থ পাচার হবে না। তিনি বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সম্মিলিতভাবে সরকারের পতন ঘটাতে হবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিসের বিনিময়ে ভারতকে সব দিয়ে দিয়েছেন জনগণ জানতে চায়। জনগণ রুখে দাঁড়ালে আপনারা পালাবার পথ পাবেন না। ফেরাউন, নমরূদ সাদ্দাত ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। আপনারাও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না। তিনি বলেন, এক দফা এক দাবি এই সরকারের অধীনে আর নির্বাচন নয়। গণঅভূত্থান ছাড়া এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো যাবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন। মেজর জেনারেল (অব.) ইব্রাহিম বীর প্রতীক বলেন, আইন মেনে গণঅভূত্থান হয় না। র্বাংলাদেশের নিরাপত্তা এখন হুমকির সম্মুখীন। দেশ জনগণকে বাঁচাতে হলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে। কাউকে কাফের বলা যাবে না। ফরায়েজী জামাত এর সভাপতি ও বাহাদুরপুরী পীর সাহেব মাওলানা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান বলেন, সকল ইসলামী দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কুফরি বেদাতি মতবাদকে দূর করতে হবে। রক্তের বিনিময়ে এদেশে ইসলাম কায়েম হবেই। খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের বলেন, বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে প্রমাণিত দলীয় সরকারের অর্ধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। ইসলামী দলগুলোর মধ্যে কুৎসা গালাগালি বন্ধ করতে হবে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে। অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, আজ জাতির অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন। দূতাবাস কেন্দ্রিক রাজনীতি জনগণ মেনে নিবে না। জনগণের মতামত নিয়ে দেশের রাজনীতি করতে হবে। জাতীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। এনডিএম এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, বরিশাল সিটি নির্বাচনে মুফতি ফয়জুল করীমের ওপর সন্ত্রাসীদের আঘাত গণতন্ত্রের ওপরই আঘাত। জনগণের কল্যাণে প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ পরিষ্কার করতে হবে। আগামী ১৫ জুলাই এনডিএম নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা দেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
নাটোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চালকসহ এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নিহত
এবার সাদপন্থিদের ১০ দফা দাবি
সা'দ পন্থীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও আশুলিয়া থানায় স্মারক লিপি প্রদান
লক্ষ্মীপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
বাংলাদেশ নিয়ে কটুক্তি করা বিজেপি নেতা শুভেন্দুকে জুতাপেটা
সিকদার গ্রুপের ১৫ প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
শীতের তীব্রতায় বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ,বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা
চিরিরবন্দরে আগাম জাতের আলুর ভালো ফলন ও দাম পেয়ে কৃষকেরা খুশি
‘রেমিট্যান্স এ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ পেল হংকংয়ে বসবাসরত ১০ বাংলাদেশি নারী
বিডিআর বিদ্রোহ : ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিশন গঠন
মার্কিন সিইও হত্যাকাণ্ড, সামাজিক মাধ্যমে ভুল তথ্যের বিপজ্জনক প্রভাব
গাজীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
ঝিনাইদহে বেসিক জার্নালিজম বিষয়ক প্রশিক্ষণ শেষে সনদ বিতরণ
বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার কাজগুলো করে যাব : উপদেষ্টা আসিফ নজরুল
সান্ধ্য আইন বাতিলের দাবি ইবি ছাত্র ইউনিয়নে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী সরকারের পুনরাবৃত্তি করবে না আশাবাদ রিজভীর
আফগানিস্তানে ফের দূতাবাস চালু করছে সৌদি
হাজারো বিঘা জমিতে পুকুর খনন: ছোট হয়ে যাচ্ছে সালথা-নগরকান্দার মানচিত্র!
প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান, সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবি
শুধু মুর্শিদাবাদ-মালদহ নয়, শিলিগুড়িও লক্ষ্যবস্তু