পাকিস্তানে ১০২ জনের বিরুদ্ধে কোর্ট মার্শাল বরখাস্ত ৩
২৭ জুন ২০২৩, ১০:৪৯ পিএম | আপডেট: ২৭ জুন ২০২৩, ১১:৪২ পিএম
পাকিস্তানে গত মাসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেফতারের প্রতিবাদে তার সমর্থকদের সামরিক সম্পদের উপর হামলার অভিযোগে একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল সহ তিন জেষ্ঠ্য সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে দশটির সেনাবাহিনী। সোমবার রাওয়ালপিন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের মেজর জেনারেল আহমদ শরীফ চৌধুরী বলেছেন, ‘অস্থিরতার সময় সেনাবাহিনীর সম্পত্তির নিরাপত্তা ও পবিত্রতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় জেষ্ঠ্য কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। মেজর জেনারেল ও ব্রিগেডিয়ারসহ আরও ১৫ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন যে, সহিংসতার ঘটনায় বর্তমানে সামরিক আদালতে সামরিক ও বেসামরিক মিলিয়ে অন্তত ১শ’ ২ জনের বিচার চলছে। চৌধুরী আরও বলেন, ‘সহিংসতার সহায়তার অভিযোগে মহিলা সহ জেষ্ঠ্য সেনা কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকজন আত্মীয়ও বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন।’
চৌধুরীর মতে, সামরিক আদালতে যাদের বিচার করা হচ্ছে তাদের বেসামরিক আইনজীবী নিয়োগের পাশাপাশি আর্জি করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি বেসামরিক নাগরিকদের সামরিক বিচারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে যে, একটি ন্যায্য আত্মরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে না। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টেও সামরিক ট্রাইব্যুনালকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। গত মাসে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে যে, এটি পাকিস্তানের সামরিক আদালতে বেসামরিক ব্যক্তিদের বিচারের ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি তালিকা নথিভুক্ত করেছে, যার মধ্যে যথাযথ প্রক্রিয়ার জন্য স্পষ্ট অবহেলা, স্বচ্ছতার অভাব, জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি এবং চরমভাবে অন্যায্য বিচারের পরে মৃত্যুদ- রয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, ‘অতএব, সামরিক আদালতে বেসামরিক ব্যক্তিদের বিচার হতে পারে এমন কোনো ইঙ্গিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অধীনে পাকিস্তানের বাধ্যবাধকতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’
উল্লেখ্য, গত ৯ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে দুর্নীতির অভিযোগে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান গ্রেপ্তার হওয়ার পর দেশটিতে ব্যাডক বিক্ষোভ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। দেশটির সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, খানের দলের নেতারা অগ্নিসংযোগের পরিকল্পনা করেছিলেন। এবং তারা এই সহিংসতাকে উস্কে দেয়ার দায়ে কমপক্ষে দুটি ফৌজদারি মামলায় ইমরান খানের নাম দিয়েছে। পিটিআই ৯ মে সহিংসতার পর থেকে একটি উল্লেখযোগ্য নিগ্রহের মুখোমুখি হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলেছেন যে, খানের আটক, যা সুপ্রিম কোর্ট এটিকে বেআইনি ঘোষণা করেছিল, তা সম্ভবত পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ, যারা পাকিস্তানের সশস্ত্র রাজনীতি, অন্তত তিনটি সফল অভ্যুত্থান এবং কয়েক দশক ধরে সামরিক শাসন কায়েম রেখেছে। সূত্র: আল জাজিরা।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কুয়াকাটা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম’র সভাপতি কাজী সাঈদ, সম্পাদক মিজান
শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর চিঠি নিয়ে যা জানাল ভারত
বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে ৭ সদস্যের কমিশনে আছেন যারা
‘বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন’-এ বারের অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রস্তাব
সোনারগাঁওয়ে বাস-অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০
মামলা রেকর্ড করতে ঘুষ গ্রহণ, কুষ্টিয়ায় ওসি ও এসআই ক্লোজ
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় জামায়াতের ২ কর্মী বহিষ্কার
পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের গত ১৭ বছরের নির্যাতন ভুলে যাবার সুযোগ নেই: আমিনুল হক
পাবনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চে প্রাক বড়দিন উৎসব অনুষ্ঠিত
পূর্বধলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে ইসলামী যুব আন্দোলনের কম্বল বিতরণ
ধর্ম-বর্ণ নয়, সমান মর্যাদায় হোক নাগরিক পরিচয়: জোনায়েদ সাকি
এসবিএসি ব্যাংকের শরিয়াহ্ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
আ.লীগের হাতেও নির্যাতিত হয়েছিলেন সেই মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু তুলে ধরেনি গণমাধ্যম!
ভারত বাংলাদেশ থেকে বস্তা বস্তা টাকা লুট করেছে : দুদু
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে সিটিজেন’স চার্টার অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
মতিঝিলে বিশ্বমানের ডায়াগনস্টিক সেবা প্রদান শুরু আইসিডিডিআর,বি’র
স্বামীর অগোচরে স্ত্রী অন্য কারও সাথে কথা বলা প্রসঙ্গে?
চাঁদপুর মেঘনায় মালবাহী জাহাজে ৭ জনকে কুপিয়ে হত্যা, গুরুতর আহত ১
পতিত স্বৈরাচার হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি
যাকাত বোর্ডের ১১ কোটি টাকা বিতরণের প্রস্তাব অনুমোদিত