ঈদের ছুটিতে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৬০ রোগীর মৃত্যু
০৩ জুলাই ২০২৩, ১১:২৬ পিএম | আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
ঈদুল আজহার চার দিনের সরকারি ছুটিতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬০ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে স্বাভাবিক বললেও রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, চার দিন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের ওপর ভরসা করে চলতে হয়েছে। সিনিয়র চিকিৎসক কেউ সেবা দিতে আসেননি।
হাসপাতালের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারি ছুটির প্রথম দিন ২৭ জুন হাসপাতালে ১ হাজার ১৬৭ জন রোগী ভর্তি হন। ওই দিন নতুন ১৩ জনসহ মোট ৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর মধ্যে একজন ডেঙ্গু আক্রান্তসহ মোট ১৫ জন বিভিন্ন ওয়ার্ডে মারা যান।
সরকারি ছুটির দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ঈদুল আজহার আগের দিন ২৮ জুন ১ হাজার ২০৫ জন রোগী ভর্তি হন। এর মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৯ জন রোগী ছিলেন। ওই দিন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত সর্বাধিক ২০ জনের মৃত্যু হয়। আর ঈদের দিন ২৯ জুন হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন ১ হাজার ৬৫ জন রোগী। এর মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন রোগী ছিলেন ২৬ জন। ওই দিন ডেঙ্গু আক্রান্ত একজনসহ ১৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়। এছাড়া ঈদের দ্বিতীয় দিন ৩০ জুন চিকিৎসাধীন ছিলেন ১ হাজার ১৬৭ জন। ডেঙ্গুর লক্ষণ নিয়ে নতুন ১০ জন ভর্তি হন। ওই দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর মধ্যে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ১২ জন মারা যান।
মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, রোগীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঈদের সময় আমাদের হাসপাতালেই থাকতে হয়েছে। দুর্ভাগ্য হচ্ছে এই চার দিনে কোনো চিকিৎসক আসেননি। মাঝেমধ্যে দুয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক এসে ঘুরে যেতেন আর অল্প কয়েকজন নার্স ছিলেন। সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় ছিলাম, হাসপাতালে এসেও আমার বাবাকে যেন বিনা চিকিৎসায় মারা যেতে না হয়।
গাইনি ওয়ার্ডের আরেক রোগীর স্বজন মহিমা বেগম বলেন, ঈদের ছুটির সময়ে বড় কোনো ডাক্তার তো আসেননি তার উপর নার্সদের সঙ্গে কথা বলাও যেত না। কিছু বলতে গেলেই ধমক দিতেন। বলতেন, ঈদের সময়ে ডিউটি করি এটাই বড় কথা। এছাড়া রোগীর অবস্থা সিরিয়াস না হলে কেউ যেন তাদের অহেতুক বিরক্ত না করি সেজন্য ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নির্দেশ দিয়েছেন। তখন এক রোগীর স্বজন প্রশ্ন তোলেন, হাসপাতালে কি সুস্থ রোগী ভর্তি হন?’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। ঈদের বন্ধের সময় যে সংখ্যক রোগীর মৃত্যু হয়েছে তা হাসপাতালের স্বাভাবিক ঘটনা। ডাক্তার-নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রোস্টার অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছেন। চিকিৎসায় অবহেলার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
অতিসত্বর নির্বাচন হওয়ার দরকার : আমীর খসরু
দুর্নীতিগ্রস্ত লুটেরা মাফিয়াদল যাতে বাংলাদেশে আর ফেরত না আসতে পারে : মেজর হাফিজ
বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিচ্ছে সরকার
ক্যাডার বর্হিভূত রাখার সুপারিশ প্রত্যাখ্যান শিক্ষা ক্যাডারের
শেখ হাসিনাসহ ৬৩ জনের নামে মামলা
অভিযানের খবরে পালাল শ্রাবণধারা কারখানার পরিচালক-ম্যানেজার
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নেই আশানুরূপ সাড়া
একতাই পারবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে
তিতাস গ্যাস টি.এন্ড ডি. পিএলসি’র ৫% নগদ লভ্যাংশ অনুমোদিত
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা সাজিদুর নির্বাহী সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ
‘আপনারা আমার খালেদকে ফেরত এনে দেন’ : নিখোঁজ সহ-সমন্বয়কের বাবা লুৎফর
২৮ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খেলাফত মজলিসের অধিবেশন প্রেস ব্রিফিংয়ে নেতৃবৃন্দ
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
ইনসেপ্টার বিক্রয় প্রতিনিধির ২২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
পিকে হালদারের পাঁচ সহযোগীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের নির্দেশ
ভূমধ্যসাগরে ৮ বাংলাদেশি নিহত
মুক্তি পেলেন ভারতের সমুদ্রসীমায় গ্রেফতার ১২ বাংলাদেশি
আ.লীগকে পুনর্বাসনকারীদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়বে গণঅধিকার পরিষদ
অন্তর্বর্তী এ সরকারের মধ্যে দুটি সরকার রয়েছে : মাহমুদুর রহমান মান্না
হাসিনার নভোথিয়েটার দুর্নীতি মামলার পুনঃতদন্ত শুরু