কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে না সরকার তবে আইন ভাঙলে ব্যবস্থা : ক্র্যাবের অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২৩ জুলাই ২০২৩, ১১:৩৫ পিএম | আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৩, ১১:৩৫ পিএম
কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিচ্ছে না, তবে যারা আইন অমান্য করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) চার দশক উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
অন্যদিকে একই অনুষ্ঠানে তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে রাজনৈতিক অপরাধ বেড়েছে। রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ানো ও আগুন দেওয়া পৃথিবীতে অন্য কোথাও ঘটে কি না জানা নেই। আগুন দেওয়া ও মানুষ পোড়ানো এগুলো অপরাধ। রাজনৈতিক অপরাধ দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত বিএনপির যত নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়েছেন, তারা সবাই পরোয়ানাভুক্ত আসামি। আমাদের কথা খুব সুস্পষ্ট। যারাই দুর্ভোগ সৃষ্টি করবেন, আইন অমান্য করবেন, আইন মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এটাই স্বাভাবিক। বিএনপির কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিচ্ছে না, তাদের অভিযোগ মিথ্যা। বিনা অপরাধে কাউকে আটকও করা হচ্ছে না। যারাই অপরাধ করছেন, আইন অমান্য করছেন, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক টর্চার নয়, রাজনৈতিক চর্চার কথাই সবসময় বলছেন। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা প্রদান করছে না। কর্মসূচির নামে আগুন, ভাঙচুরের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে, ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি হঠাৎ করে আন্দোলনে এসেছে। কিন্তু তাদের বিগত দিনের কার্যকলাপের কারণে জনগণ তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ২০০৮ ও তার পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে জনগণ তাদের বিরুদ্ধে মতামত দিয়েছে। নির্বাচনে এলে তারা নির্বাচিত হবে না, নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোট দেবে না। এজন্য তারা জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা না করেই প্রতিদিন কোনো না কোনো কর্মসূচি দিচ্ছে, আন্দোলন করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সুস্পষ্ট, একটি রাজনৈতিক দল আন্দোলন করতেই পারে। তাদের দলীয় নীতি অনুযায়ী তারা জনগণের কাছে যেতে চাইতেই পারে, সেজন্য তাদের বাধা দেয়া হয় না। তারা রাজনৈতিক কর্মসূচি করছে, আবার বলছে যে, আমরা নাকি তাদের বাধা দিচ্ছি।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, তারা আমাদের কাছে অনুমতি চাইল, ডিএমপি কমিশনারের কাছে গেল। তারা তারুণ্যের সমাবেশ করতে চায়, আমরা বলেছি আমাদের কোনো আপত্তি নেই, কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা যাবে না। রাস্তাঘাট বন্ধ ও যান চলাচল চলাচল বিঘিœত করা যাবে না। তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চাইল, সেখানেই তাদের অনুমতি দেয়া হলো। এরপরও তারা কীভাবে বলে, সরকার তাদের সহযোগিতা করছে না!
ল²ীপুরে বিএনপি কর্মী নিহতের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, গোয়েন্দা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে যতটুকু জানতে পেরেছি, দুই গ্রæপ বা ব্যক্তির কর্তৃত্ব ও অংশীদারত্ব নিয়ে অসন্তোষ ছিল অনেকদিন থেকে। এই দুই গ্রæপের সম্পর্কটা এমন জায়গায় গিয়েছিল, যাতে একজন নিহত হয়েছেন। বিএনপি বলছে তিনি নাকি তাদের কর্মী। তাদের স্পষ্ট করে বলতে চাই, নিহত ব্যক্তি বিএনপির কর্মী নয়। তাদের পরিবারও সেটি বলেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশ, র্যাবসহ যারা আইনশৃঙ্খলায় কাজ করেন, তাদের কাজটা সহজ হয়ে যায় ক্রাইম রিপোর্টারদের রিপোর্টিংয়ের কারণে। কারণ ক্রাইম রিপোর্টাররা অনেক গভীরে যান, খবরের অন্তরালের খবর বের করে নিয়ে আসেন। তাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজটা সহজই হয়।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ক্রাইম রিপোর্টিং একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিট। কারণ যখন অপরাধ বিটের সাংবাদিকরা কোনো অপরাধীর বিরুদ্ধে নিউজ করেন তখন সে ক্ষেপে যায়। ক্রীড়া ও বিনোদন বিটের সাংবাদিকদের কোনো ঝুঁকি নেই। তবে রাজনৈতিক বিটেও ঝুঁকি আছে।
বাজার মূল্যবৃদ্ধির পেছনে মুনাফাখোররা দায়ী জানিয়ে তিনি বলেন, সংকটের কারণে সব সময় বাজারদর বাড়ে তা নয়। অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবৃদ্ধিও অপরাধ। এগুলো নিয়েও রিপোর্টিং করা দরকার। যারা মজুত করে, দাম বাড়ায় তাদের বিরুদ্ধেও রিপোর্ট হওয়া দরকার। তবে এ রিপোর্টিংগুলো করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ যারা ব্যবসায়ী তাদেরও গণমাধ্যম রয়েছে। আর এসব বিষয়ে রিপোর্টিং করা হলে সমাজ সঠিক পথে হাঁটবে।
অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সচিবালয়ে বেশ কটি ঘটনা ঘটেছে। বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য এত কার্ড নেই। তাহলে এত কার্ড কেন! সবাই এটা বাতিলের পক্ষে বলেছে, একমাত্র আমি বলেছি এটার পক্ষে। এখন আগের তুলনায় অ্যাক্রিডেশন কার্ড অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। কারণ অনেক পত্রিকার মালিক সরাসরি রিপোর্টিং করেন না, তাহলে তাদের কার্ড কী দরকার। অনেকে জেলায় কাজ করেন তাদেরও কার্ড ছিল। এসব কারণে এখন কার্ড কমিয়ে আনা হয়েছে। এসময় ক্র্যাব নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে তথ্যমন্ত্রী ক্র্যাবের নেতাদের নিয়ে ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কেক কাটেন। শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পথশিশুদের নিয়ে বিপিএলের ট্রফি উন্মোচন
তামিমকে বিসিবির ধন্যবাদ
গণহত্যাকারীদের বিচারিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে: সারজিস
দ্বিতীয় চালানে ভারত থেকে এলো ২৭ হাজার টন চাল
গাঁজা সেবনের অভিযোগে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীকে শাস্তি
উইন্ডিজ সিরিজে পাকিস্তান দলে ৭ পরিবর্তন, নেই আফ্রিদি
সুইজারল্যান্ডে গ্লোবাল এসএমই সামিট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩-২৫ এপ্রিল
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রবাসীদের ভূমিকা অপরিসিম : সিলেটে কাইয়ুম চৌধুরী
ডার্ক ওয়েবে গ্রাহকের তথ্য বিক্রির অভিযোগ : সিটি ব্যাংকের ব্যাখ্যা
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ‘বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলন-২০২৫’ অনুষ্ঠিত
গফরগাঁওয়ে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধুর মৃত্যু
কর্মীদের বীমা সুরক্ষা প্রদানে ঢাকা ব্যাংক ও মেটলাইফের চুক্তি স্বাক্ষর
পাঠ্যবইয়ে নাম যুক্ত হওয়ায় আমার চেয়ে পরিবার বেশি খুশি: নিগার
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায় সম্মেলন- ২০২৫ অনুষ্ঠিত
শৈত্যপ্রবাহ প্রশমিত হওয়ার আভাস, বাড়বে রাত-দিনের তাপমাত্রা
বগুড়ায় শিবিরের সাবেক কর্মী সাথী ও সদস্যদের মিলন মেলায় রাফিকুল ইসলাম খান
ক্যাম্পাসভিত্তিক জুলাইয়ের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে রাখার আহ্বান প্রেস সচিবের
শিবালয়ে নিখোঁজের ৫ দিন পর পদ্মায় ভেসে উঠলো বারেক মেম্বরের লাশ
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন: যাদের উপর থাকবে নজর
এবি পার্টির কাউন্সিলে মির্জা ফখরুল ভয়াবহ দানবের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি