বিএনপি যেন ফিনিক্স পাখি
২৫ জুলাই ২০২৩, ১১:৫৪ পিএম | আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৩, ১২:০৩ এএম
ফিনিক্স পাখির মতোই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিএনপি। ফিনিক্স পাখি যেমন ছাঁইভষ্মে পুড়ে সেখান থেকে উঠে দাঁড়ায়, বিএনপি যেন সেই ফিনিক্স পাখি। জেল-জুলুম-লাখো মামলায় চরম বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে রাজপথে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এক দফা দাবি আদায়ে এখন ‘ডু অর ডাই’ প্রস্তুতি নিয়েই দলটির নেতাকর্মীর মাঠে নেমেছে। সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের আন্দোলনে রয়েছে রাজপথের প্রধান বিরোধীদলটি। দলটি সভা-সমাবেশের কোনো কর্মসূচি দিলেই জার্মানির হেমিলিয়নের বাঁশিওয়ালার বাঁশির সুরে যেমন যেমন লাখ লাখ ইঁদুর রাস্তায় নেমেছিল, তেমনি বিএনপির শীর্ষ নেতার ডাকে সাড়া দিয়ে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। লাখো মামলা, হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে, পথে পথে পুলিশী বাধা, ক্ষমতাসীন দলের লাঠিয়াল বাহিনীর রক্তচক্ষু সবকিছুই দলটির নেতাকর্মীদের কাছে যেন তুচ্ছ। ইতোমধ্যেই ২৭ জুলাই মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে দলটি। আর সেই ডাকে সারা দিয়ে ঢাকামুখে রওয়ানা দিয়েছে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরের মানুষ। এ যেন গণতন্ত্র এবং জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের যুদ্ধ যাত্রা। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সমর্থক নির্ভর বিএনপির নেতাকর্মী সমর্থকদের বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মতো উদ্দীপনা দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নানান মন্তব্য করছেন। তাদের বেশির ভাগই মনে করছেন ২৭ জুলাইয়ের মহাসমাবেশে হচ্ছে চলমান এক দফার আন্দোলনের টার্নিং পয়েন্ট। এই মহাসমাবেশে থেকেই রাজপথে বিএনপির আবির্ভাব ঘটছে অন্যরুপে।
বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যেকোন বাধা, প্রতিকূল পরিস্থিতি, হামলা, মামলা, গ্রেফতার কোন কিছুতেই ভীত বা তোয়াক্কা না করে দাবি আদায় করে ঘরে ফিরবে না বলে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাই এক দফার এই আন্দোলনে আগামীকালকের মহাসমাবেশটিকে দেয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব। এই মহাসমাবেশের মাধ্যমে চূড়ান্ত পর্যায়ের আন্দোলন নতুন মোড় নেবে বলে মনে করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। এই সমাবেশ থেকেই ঢাকাকে ঘিরে আসতে পারে আল্টিমেটাম, ঘেরাওসহ লাগাতার কর্মসূচি। ২৭ জুলাই ঢাকার মহাসমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যেই দফায় দফায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর কাছ থেকে বার্তা পেয়েই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাকর্মীদের সর্বশক্তি নিয়ে ঢাকায় আসতে দেয়া হয়েছে নির্দেশনা। দলের নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণে ঐতিহাসিক মহাসমাবেশের প্রত্যাশা বিএনপির। মহাসমাবেশের জন্য নয়াপল্টন অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি চেয়ে পুলিশকে চিঠি দেয়া হলেও গতকাল রাত পর্যন্ত সমাবেশের স্থান নির্ধারণ করে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার ১ দফা দাবিতে আগামী ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিএনপির উদ্যোগে মহাসমাবেশ সফল ও সার্থক করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ১ দফা দাবির সাথে দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও শ্রমজীবী মানুষসহ সর্বস্তরের জনগণ সমর্থন জানিয়েছে। বিএনপি’র মহাসমাবেশে মানুষের স্বত:স্ফূর্ত ঢল নামবে। লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে সেদিন ঢাকা শহর সমাবেশের নগরীতে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রিজভী।
গতবছরের আগস্ট থেকে বিভাগীয় সমাবেশ, ঢাকার সমাবেশ, তারুণ্যের সমাবেশ ও পদযাত্রাসহ সকল কর্মসূচির পরিধি বেড়েই চলছে। পরিবহন বন্ধ, পথে পথে বাধা, হামলা, মামলা, গ্রেফতারের পরও মানুষ বিএনপির ডাকে বার বারই ছুটে আসছে। যেটি আন্দোলনকে বেগবান করতে দলের নীতিনির্ধারকদের মনে সাহসের সঞ্চার করেছে। এছাড়া বিগত সাড়ে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের দমন, পীড়ন, নির্যাতন, দুর্নীতি, লুটপাট, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণে সাধারণ মানুষ এই সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ। তারা পরিবর্তনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। তাদের আস্থা অর্জনে এবং তাদেরকে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত করতে ঢাকায় সর্বোচ্চ শক্তি প্রদর্শনের পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। যা আগামীকালকের সমাবেশের মাধ্যমেই দেখাতে চান দলের নেতারা। তারা মনে করেন, যেভাবে একটির পর আরেকটি সমাবেশে মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ছে তাতে করে আরো বেশি সংখ্যক সাধারণ মানুষ সরকার পতনের আন্দোলনে শরিক হবেন। যা এক পর্যায়ে গণআন্দোলনে রূপ নেবে। যেটি মোকাবেলা করা সরকারের পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব হবে না।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ঢাকার সমাবেশকে চলমান আন্দোলনে একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবেই নিচ্ছেন তারা। এই সমাবেশ থেকে ঢাকা কেন্দ্রীক লাগাতার এবং কঠোর কর্মসূচির প্রস্তুতি ও ঘোষণা আসতে পারে। কর্মসূচি নির্ধারণে গতকাল বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত যুগপৎ আন্দোলনে থাকা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, লেবার পার্টি, গণতন্ত্র মঞ্চসহ ৩৫টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। বৈঠকে এসব দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিএনপি নেতারা তাদের কাছ থেকে কর্মসূচি প্রস্তাব ও আন্দোলন পরিচালনায় পরামর্শ নিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে পাওয়া পরামর্শ নিয়ে পরবর্তীতে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তারেক রহমান। সকলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিকে ২৭ জুলাই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি ও যুগপতের একাধিক দলের নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২৭ জুলাই সমাবেশ থেকে সরকারকে পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ৪৮ অথবা ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হতে পারে। অথবা সচিবালয় কিংবা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দেয়া হতে পারে। আবার আল্টিমেটাম বা ঘেরাও দুটি কর্মসূচিই একসঙ্গে ঘোষণা হতে পারে।
তারা বলেন, বিএনপির আন্দোলনে এখন ঢাকাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কারণ ২০১৪-১৫ সালের আন্দোলনে ঢাকার বাইরের নিয়ন্ত্রণ ছিল বিএনপির হাতে। কিন্তু ঢাকায় তেমন কিছুই করতে পারেনি দলটির তৎকালীন নেতারা। এজন্য এবার ঢাকাতে আন্দোলন সফল করে সেটি ঢাকার বাইরে ছড়িয়ে দিতে চান তারা। যা সরকারের মনে ভীতির সঞ্চার করবে এবং ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য করবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ২৭ জুলাই ঢাকায় সরকারবিরোধী সমাবেশের একটি ওয়েভ তৈরি হবে। সেই ওয়েভ দেখেই পরবর্তী কর্মসূচির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, বিগত দিনে ঢাকায় কিছুটা শূণ্যতা ছিল, এবার সেটি কাটিয়ে উঠেছে। আর ঢাকা থেকেই যেহেতু সকল সিদ্ধান্ত হয় তাই ঢাকাকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
গয়েশ্বর রায় বলেন, বিএনপির সমাবেশগুলো এখন শুধু আর দলের নেতাকর্মীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। একেকটি সমাবেশে যে পরিমাণ মানুষ উপস্থিত হয়, এতো নেতাকর্মী আমাদের নেই। প্রতিটি কর্মসূচিতে এখন নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষ অংশ নিচ্ছে। কারণ আওয়ামী লীগ সরকারের অপশাসন, দুঃশাসনে দেশের প্রত্যেকটি শ্রেণি-পেশার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাতেগোনা ১০-২০জন মানুষ ধনী হয়েছে কিন্তু সেটি বাংলাদেশের চিত্র না। আজকে রিক্সাচালক, কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক, চাকরিজীবী সকলেই পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। যা আয় করছেন তার থেকে ব্যয় বেশি। এজন্য তারাও পরিবর্তনের আশায় বিএনপির সমাবেশগুলোতে অংশ নিচ্ছে।
বিএনপির সমাবেশ নিয়ে কোন ফন্দি আটলে তা রুখে দেয়া হবে সতর্ক করে দিয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, এক দফা দাবী আদায়ের আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ২৭ জুলাইয়ের মহাসমাবেশ যেকোন মূল্যে সফল করা হবে। অবৈধ আওয়ামী সরকার মহাসমাবেশ বিঘিœত করার জন্য নানান রকমের ফন্দি-ফিকির করছে, কিন্তু ঢাকার বীর জনতা তাদের সকল অপকৌশল রুখে দিবে।
ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, ২৭ জুলাইয়ের মহাসমাবেশ সফল করতে আমরা প্রত্যেকটি ওয়ার্ড ও থানার নেতাদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা করেছি। অন্য যেকোন সমাবেশের চেয়ে এই সমাবেশে যাতে বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত হয় সেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের নির্দেশনা হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি সফল করার। তবে যদি কোথাও বাধা বা হামলা করা হয় তাহলে পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নিবে সেটি বলা কঠিন। সেক্ষেত্রে যেকোন পরিস্থিতির জন্য সরকারই দায়ী থাকবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা ২৭ তারিখে মহাসমাবেশ ডেকেছি সেই মহাসমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ। কোনো চক্রান্ত করে, কোনো ষড়যন্ত্র করে, কোনো সহিংসতা করে এই মহাসমাবেশকে নশসাত করা যাবে না।
তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত যত আন্দোলন করে এসেছি প্রতিটি আন্দোলন আমাদের শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আপনারা দেখেছেন যে, আমাদের ওপর বহু আক্রমন করেছে, আমাদের বহু লোককে আহত করেছে, নিহত হয়েছে, তারপরও আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোল চালিয়ে যাচ্ছি।
মহাসমাবেশে আশঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক কিছু তারা করেছে কিন্তু আমাদের কোনো সমাবেশকে তারা আটকাতে পারেনি। নৌকায় পার হয়েছে, ভেলায় পার হয়েছে, হেটে এসেছে। মানুষের আগ্রহ এতো বেশি যে পরিবর্তনের জন্য তারা যেভাবে হোক এই মহাসমাবেশে উপস্থিত হবেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণ আন্দোলনে নেমে পড়েছে, এটা জনগণের আন্দোলন। এই আন্দোলন অবশ্যই সফল হবে। আমার বিশ্বাস জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকার বাধ্য হবে যে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহত আরও ৩২,মানবিক সংকট চরমে
চাটমোহর পৌর বিএনপির কাউন্সিলে আরশেদ-তাইজুল-সিন্টু নির্বাচিত
‘একদল খাইছে আরেকদল খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আছে’ কথাটি ছিল ভেরি জেনারেল: আজহারী
নোয়াখালীর মাইজদী হর্কাস মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড
ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশে দিল জাবি ছাত্রদল
গরু চুরি করে বিএনপি নেতা ও তার স্ত্রীর ভূরিভোজ, অতঃপর...
মানসিক ভারসাম্যহীন বোনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ভাই আটক
থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সেই যুবদল নেতা গ্রেফতার
এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত
অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে
দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১
নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে
অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন
ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ
মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি
রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী