হরিয়ানায় গেরুয়া সরকারের ‘বুলডোজার অভিযান’
০৬ আগস্ট ২০২৩, ১১:১৫ পিএম | আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম
হারিয়ানার নুহতে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা মোকাবেলায় রাজ্যের বিজেপি সরকার বুলডোজার অভিযান চালানোয় সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
নুহের বাসিন্দা জামিল খান উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, তার বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। মিছিলে যেসব সশস্ত্র হিন্দু জঙ্গীরা উস্কানিমূলক সেøাগান দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পরিবর্তে, পুলিশ মুসলিমদের সম্পত্তি ধ্বংসে অভিযান শুরু করেছে। দৃশ্যত এটি হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলোকে সন্তুষ্ট করার গেরুয়া সরকারের প্রচেষ্টা।
‘মুসলিম জনগণ কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করে বলেছেন : ‘কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র মুসলমানদের বাড়িঘর ও দোকান ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন তারা সহিংসতার জন্য দায়ী এবং সমাবেশে যারা প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি?
নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন এমন এক হিন্দু বাসিন্দা স্বীকার করেছেন যে, উভয় সম্প্রদায়ের দরিদ্র লোকেরা সহিংসতার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনি নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য এলাকা ছেড়ে তার স্ত্রী এবং তিন সন্তান নিয়ে উড়িষ্যায় তার গ্রামে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নুহের একটি মেডিকেল কলেজের কাছে ফার্মেসি স্টোর সমন্বিত প্রায় ৪৫টি অবৈধ বাণিজ্যিক দোকান মাটিতে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ নলহার রোডে এসকেএইচএম সরকারি মেডিকেল কলেজের আশেপাশে ২ দশমিক ৬ একর জমির কথিত অবৈধ স্থাপনাগুলোকে বুলডোজ করেছে।
সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট অশ্বিনী কুমার গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘এগুলো সবই অবৈধ নির্মাণ। স্থাপনা ভাঙার জন্য মালিকদের নোটিশ দেয়া হয়েছে। বেআইনি কাঠামোর কিছু মালিকও সহিংসতার সাথে জড়িত ছিল’।
গত শুক্রবার হরিয়ানা সরকার সরকারি জমি দখলের জন্য দাঙ্গাবিক্ষুব্ধ নুহ থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে তাউরুতে বসবাসকারী অভিবাসীদের ঝুপড়ি ভেঙে দিয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী বন বিভাগের জমিতে বেআইনিভাবে ঝুপড়ি গড়ে তোলা হয়েছিল। প্রায় এক একর জমিতে ২৫০টিরও বেশি ঝুপড়ি তৈরি করা হয়েছিল এবং তারা গত চার বছর ধরে এখানে বসবাস করছিল বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও প্রশাসন অভিযোগ করেছে যে, কথিত অনুপ্রবেশকারী ‘বহিরাগতরা’ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা ভিএইচপির মিছিলে হামলায় জড়িত ছিল বুলডোজারের পদক্ষেপকে অবশ্য কথিত দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হিসাবেও দেখা হচ্ছে, কারণ জেলা প্রশাসন এবং মন্ত্রী উভয়েই আগে থেকে বহিরাগতদের সংঘর্ষে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ। জানা যায়, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর ‘বুলডোজার অভিযান’-এর নির্দেশ দিয়েছেন।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ দাবি করেছেন, নুহতে সংঘর্ষের পেছনে সহিংসতা একটি ‘বড় গেম প্ল্যান’-এর অংশ ছিল। সূত্র : আইএএনএস।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
চীনের অবিশ্বাস্য সামরিক উত্থানে টনক নড়েছে ভারতের
পারমাণবিক বোমা সজ্জিত নতুন যুদ্ধজাহাজে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন কিম
ধর্ষণের প্রতিশোধে বাবাকে হত্যা, গ্রেফতার ২ কিশোরী
আমাকে ধর্ষণ করার ভিডিও দেখে স্বামী
হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই
ফিলিপাইনে ৪০০ বিদেশি অনলাইন প্রতারক গ্রেফতার
ইসরাইলি ৪শ’ সেনা নিহত গাজায় স্থল অভিযানে
কুষ্টিয়ায় কৃষি যন্ত্র বিতরণে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক
জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা করতে হবে
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজ ড্র করল বাংলাদেশ
ভোলায় শীতার্তদের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ
গাজীপুরে বিএনপি নেতার উপর হামলা
চাঁদপুরে হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা জসিম গ্রেপ্তার
বিভিন্ন বিভাগ ছোট হচ্ছে পাকিস্তানে
আশুলিয়ায় চাঁদার দাবিতে প্রকাশ্যে দিবালোকে দোকানীকে গুলি
গ্রিনল্যান্ড দখলের হুমকি নিয়ে ট্রাম্পকে সতর্ক করল জার্মানি-ফ্রান্স
৪ ভূখ-কে অন্তর্ভুক্ত করে ইসরাইলি মানচিত্র প্রকাশ
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
চলতি বছর বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমার পূর্বাভাস
যুক্তরাষ্ট্রের নাম মেক্সিকান আমেরিকা রাখার পরামর্শ