বিরোধী দলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে
০৯ আগস্ট ২০২৩, ১১:১৩ পিএম | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশের শতকরা ৯২ ভাগ বলেছেন, তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে চান। কিন্তু নির্বাচনী ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোগ দিতে যেতে চান। তবে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো পাতানো নির্বাচন হলে অন্যকথা।
তবে শতকরা ৫৭ ভাগ বলেছেন তারা এবার খুব বেশি আশাবাদী ভোট দেয়ার ব্যাপারে। দেশজুড়ে নতুন এক জরিপ পরিচালনা করে এসব কথা বলেছে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সেন্টার ফর ইনসাইটস ইন সার্ভে রিসার্চ (সিআইএসআর)। এতে বলা হয়েছে, দেশ যে পথে অগ্রসর হচ্ছে তাতে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার শীতকালীন জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকার তার জনসমর্থন ধরে রেখেছে। অন্যদিকে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিরোধীদের জনপ্রিয়তা। জরিপে বলা হয়, দেশ যেপথে অগ্রসর হচ্ছে তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বেশির ভাগ বাংলাদেশি। তারা প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করলেও একই সঙ্গে বিরোধী দলের সমর্থনও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আহ্বানও সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই জরিপ রিপোর্টটি ৫৮ পৃষ্ঠার। এতে দাবি করা হয়েছে, ২০১৪ সালের পর প্রথমবার আইআরআইয়ের জরিপে দেখা যাচ্ছে, বেশির ভাগ বাংলাদেশি বিশ্বাস করছেন দেশ ভুলপথে এগুচ্ছে। শতকরা মাত্র ৪৪ ভাগ মানুষ বলেছেন দেশ সঠিক পথে এগুচ্ছে। ২০১৯ সালে এমনটা মনে করতেন শতকরা ৭৬ ভাগ মানুষ। এই হতাশা বৃদ্ধির প্রাথমিক কারণ পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। জরিপে অংশগ্রহণকারী একজন বলেছেন, তার স্বামীর বেতন বৃদ্ধি পায়নি। কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিদিনই।
জরিপে আরো বলা হয়েছে, বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের পারফরমেন্সকে সমর্থন করেন বেশির ভাগ বাংলাদেশি। এতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পারফরমেন্স অনুমোদন করেন শতকরা ৭০ ভাগ বাংলাদেশি। অন্যদিকে বিরোধীদের পারফরমেন্স ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে অনুমোদন বা সমর্থন করতেন শতকরা ৩৬ ভাগ বাংলাদেশি। সেই সমর্থন এই জরিপে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে শতকরা ৬৩ ভাগ।
এই জরিপ রিপোর্টে বলা হয়েছে, নির্বাচনী ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোগ দিতে আগ্রহী বাংলাদেশিরা। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শতকরা ৯২ ভাগ বলেছেন, তারা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে চান। শতকরা ৫৭ ভাগ বলেছেন তারা খুব বেশি আশাবাদী ভোট দেয়ার ব্যাপারে। যারা ভোট দিতে আগ্রহী নন তারা কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন- নির্বাচনে জালিয়াতি এবং ভোটার রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত ইস্যু। শতকরা ৪৪ ভাগ মানুষ নির্বাচন পরিচালনার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সমর্থন করেন। বেশির ভাগই মনে করেন, নির্বাচনকালীন প্রশাসন যা-ই হোক, নির্বাচনে অংশ নেয়া উচিত বিরোধীদের।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

নীতি-নৈতিকতা জ্ঞান সম্পূর্ণ মানুষ তৈরি হলেই সমৃদ্ধ দেশ গঠন করা সম্ভব -সাইদুল ইসলাম

মাহিন্দ্র চলাচল নিষিদ্ধের দাবিতে সালথায় অবস্থান কর্মসূচি

হামাসের সঙ্গে মার্কিন দূতের বৈঠক ছিল এককালীন: মার্কো রুবিও

কচুয়ায় নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

রাখাল রাহাকে নিয়ে যা বললেন সারজিস আলম

নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে শাহবাগে ৩০ কলেজের শিক্ষার্থীরা

গাজীপুরে ১০কারখানায় ছুটি ঘোষণা

রাতে সীমান্ত এলাকা থেকে ট্রাক-ট্রলিতে বালির নীচে কি ভারতীয় অবৈধ মালামাল পাচার হচ্ছে?

নন্দীগ্রামে উপজেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটিতে বকুল আহ্বায়ক ও দয়া সচিব নির্বাচিত

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠক

হুমায়ুন স্যার থাকলে খুশিতে কাঁদতেন–এজাজ

রমজান মাসে আমিরাতি সংস্থার দৈনিক ৭ হাজার ইফতার বিতরণ

দুই মহাসড়কে শ্রমিকদের অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল শুরু

দশ বছরে সীমান্তে ৩০৫ বাংলাদেশিকে হত্যা : এইচআরএসএস

২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে মিডিয়ার ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি-ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ

সিংগাইরে নিখোঁজের ৫ দিন পর অটো চালকের লাশ পাওয়া গেলো ভুট্টা ক্ষেতে

সিরিয়ায় সহিংসতা থেকে বাঁচতে লেবাননে ১০ হাজার আলাওয়ি শরণার্থী

রাশিয়ার কাছে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ২ ব্রিটিশ কূটনীতিক বহিষ্কার

মারা গেলেন 'হ্যারি পটার' খ্যাত তারকা সাইমন ফিশার বেকার

রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু