সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া প্রকাশ করে নাগরিকদের মতামত গ্রহণ করুন
১০ আগস্ট ২০২৩, ১১:৪৩ পিএম | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২৩, ১১:৪৩ পিএম
‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ নামকরণ পরিবর্তন করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইনের’ খসড়া জনসম্মুখে প্রকাশ করে নাগরিকদের মতামত গ্রহণের আহŸান জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থাটির সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান ও সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই আহŸান জানানো হয়।
সুজন নেতৃবৃন্দ বলেন, বহুল সমালোচিত ও বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে সরকার নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। কেবল নাম পরিবর্তন করে নতুন মোড়কে পুরানো আইন আবার চালানো হবে কি না তা নিয়ে নাগরিকরা উদ্বিগ্ন। আমরা সুজনের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে আমাদের উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করছি। নতুন আইনে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের প্রায় সব বিধানই থাকছে, শুধু কিছু কিছু ক্ষেত্রে শাস্তির পরিমাণ কমানো হয়েছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে। এমনকি বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের বিধানও থাকছে। এর ফলে নতুন আইনটি আগের আইনের মতো নাগরিকদের জন্য নিবর্তনমূলকই রয়ে যাবে বলে আমরা মনে করি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আমরা অতিসত্বর নতুন আইনের খসড়া জনসম্মুক্ষে প্রকাশ করে নাগরিকদের মতামত গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহŸান জানাচ্ছি। আমরা আরো লক্ষ করছি যে, অনেকটা হঠাৎ করেই এই আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিপূর্বে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনের ক্ষেত্রেও বিষয়টি আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। নাগরিক সমাজ দীর্ঘদিন থেকে নির্বাচন কমিশনে নিয়োগের জন্য একটি যুগোপযোগী আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে আসছিল।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল আইন করা সম্ভব নয়। কিন্তু হঠাৎ একদিন জানা গেল আইনের খসড়া সংসদে পাসের জন্য প্রস্তুত। বস্তুত পুরানো প্রজ্ঞাপনই একটি দায়মুক্তির বিধান যুক্ত করে কমিশনে নিয়োগের এ আইন করা হয়েছে। এখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ক্ষেত্রেও সেটি হচ্ছে কিনা তাই আমাদের আশঙ্কা।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, নতুন আইনে বিভিন্ন ধারার সাজা কমানো হবে বলে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। কিন্তু সাজা প্রদান করা হয় বিচারিক প্রক্রিয়া স¤পূর্ণ শেষ হয়ে যাওয়ার পর কেউ দোষী প্রমাণিত হলে। বিচারিক প্রক্রিয়া চলমান থাকার এই দীর্ঘ সময়ে যে হয়রানির শিকার হতে হয়, সেটি কমবে কি না তা নিয়ে আমাদের সংশয় রয়েছে। তাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্ত করে নতুন আইনে নাগরিক হয়রানি যথাসাধ্য কীভাবে কমানো যায় তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহŸান জানাচ্ছি। এছাড়া এই ধরনের আইন আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা, নাকি প্রচলিত বিভিন্ন আইনের আওতায় বিষয়টি সুরাহা করা সম্ভব, তাও নাগরিক সমাজ, আইন বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা দরকার বলে আমরা মনে করি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
লক্ষ্মীপুরে ৫০০ ছিন্নমূল মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ
ঈশ্বরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবলীগ নেতা নিহত, আহত ৪
ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রশিবিরের সভাপতি সুফিয়ান, সেক্রেটারি রাকিব
মনিরামপুরে পলিথিনের বিকল্প পাট জাতীয় পণ্য প্রশিক্ষনে ঝুকছেন নারীরা
‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে আলেমদের অবদান উল্লেখ থাকতে হবে’
কালীগঞ্জে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার অপরাধে জরিমানা
৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একটি কল্যাণমূখী রাষ্ট্র গড়ে তোলা হবে: সাইদ সোহরাব
এবার শেরপুর সীমান্তে সোয়া দুই কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
ইবি’র প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ২৫তম ফ্যামিলি ডে উদযাপন
মাদারীপুরে শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
বগুড়ায় বিএনপি নেতা সাজুর ওপর হামলার প্রতিবাদে সভা
ডিআরইউ সদস্য ও সদস্য সন্তানদের উশু প্রশিক্ষণ শুরু
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ১৫, ভাংচুর ও ব্যাপক লুটের অভিযোগ
গ্রাহকদের টাকা পরিশোধ করে আবারো ঘুরে দাড়াতে চায় ই'কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ
দেবোত্তর বাজারে লিফলেট বিতরণ করলেন জেলা সমন্বয়ক প্রধান ফাহাদ
‘আগস্ট বিপ্লবে ইসলামপন্থিদের বাদ দিয়ে কোনো ইতিহাস রচিত হতে পারে না’
পালালেন এক ওসি, প্রত্যাহার আরেক ওসি
মাগুরার শ্রীপুরের কোদলা গ্রামে দু দলের সংঘর্ষে আহত ১৭ একাধিক ঘরবাড়ি ভাঙচুর
২০১৮ এর কোটা সংস্কার আন্দোলন না হলে ’২৪ এর গণঅভ্যুত্থান হতো না : আবু হানিফ
বগুড়ায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা মামুন