ক্ষমতার বাইরে থেকেই সংগ্রাম করেছেন বঙ্গবন্ধু
১১ আগস্ট ২০২৩, ১১:২৬ পিএম | আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম
মানব ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড হিসেবে পরিগনিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বেদনাবিধুঁর সেই আগষ্ট মাসের আজ ১২তম দিন। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজও মহানায়ক হয়ে রয়েছেন প্রজন্মের হৃদয়ে। বঙ্গবন্ধুর সামগ্রিক জীবন দেখা গেলে জানা যায়, তিনি ছিলেন উঁচু মানের একজন রাজনীতিবিদ।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তিনি প্রথমে বিট্রিশ ও পরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জনগণের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের জন্য লড়াই করেছেন। তিনি সারা জীবন ক্ষমতার বাইরে থেকে কর্তৃত্ববাদী ও অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধু তরুন বয়সে রাজনীতি শুরু করার পর আমৃুত্য এ দেশের মানুষের মুক্তি ও অধিকার ফিরিয়ে আনতে সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। তিনি কখনো ক্ষমতার মোহে অন্ধ হননি। বরং ক্ষমতাকে জনগণের সেবার হাতিয়ার হিসেবে দেখেছেন। সব সময় তিনি চেষ্টা করে গেছেন এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য। ফাঁসির হুমকিতেও তিনি ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবোধ কিংবা এ জাতির অধিকার আদায়ের পক্ষে অবস্থান থেকে এক চুলও পিছপা হননি।
সারা জীবন শান্তিতে বিশ্বাসী এ নেতা অহিংস আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাঙালির সংগ্রামকে স্বাধীনতার সংগ্রামে রূপান্তরিত করেছিলেন। কিন্তু পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর অপসাশনের বিরোধীতা করার জন্য বঙ্গবন্ধুর পুরো রাজনৈতিক জীবনের উল্লেখযোগ্য অংশ কারগারে কেটেছে। পাকিস্তানে শাসকগোষ্ঠী তাঁকে কারাগারে রেখে মৃত্যুর ভয় দেখিয়েও এ দেশের মানুষের অধিকারের বাইরে অন্য কিছুতেই রাজি করাতে পারেন নি।
বঙ্গবন্ধু তরুন বয়সে রাজনীতি শুরু করেন বৃট্রিশ সা¤্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এদেশের স্বাধীনতার জন্য। সে সময়ের ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে বা প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসের কর্মসূচি বিষয়ে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘কংগ্রেস ও হিন্দুমহাসভার নেতারা এই প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস তাদের বিরুদ্ধে ঘোষণা করা হয়েছে বলে বিবৃতি দিতে শুরু করলেন। আমাদের আবার ডাক পড়ল দিনটি সুষ্ঠুভাবে পালন করার জন্য। হাশিম সাহেব আমাদের নিয়ে সভা করলেন। আমাদের বললেন, ‘‘তোমাদের মহল্লায় মহল্লায় যেতে হবে, হিন্দু মহল্লায় তোমরা যাবে। তোমরা বলবে, ‘আমাদের এই সংগ্রাম হিন্দুদের বিরুদ্ধে নয়, ব্রিটিশের বিরুদ্ধে, আসুন আমরা জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এই দিনটা পালন করি।’’
বঙ্গবন্ধু তাঁর অসমাপ্ত আতœজীবনীতে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর অল্প সময়ের ব্যবধানে কিভাবে তৎকালীন পাকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে মানুষের মোহভঙ্গ হয়েছিল সে কথা লিখেছেন। মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে ১৯৪৯ সালে তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠনের প্রক্রিয়ার সাথেও ছিলেন। এর আগের বছর তিনি জেলে থেকেই বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম একজন সংগঠকের ভূমিকা পালন করেছিলেন। পুরো পাকিস্তানী আমলের অল্প কিছু দিন ছাড়া তিনি কিংবা তার দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল না। কিন্তু বিরোধী দলে থেকে দেশের মানুষের মুক্তির কথা বলে গেছে তিনি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
দেশের হয়ে আর খেলবেন না তামিম
গোপালগঞ্জে বিএনপি-আওয়ামীলীগ সংঘর্ষ
হেরেই চলেছে ঢাকা, পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙল সিলেট
মুকসুদপুরে ক্যালেন্ডার বিতরনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ আহত ২০ জন
১০ জেলায় শৈত্যপ্রবাহসহ সারাদেশে তীব্র শীত
আ.লীগ ক্রীড়াঙ্গনেও ব্যাপক দলীয়করণ করেছিল : মির্জা ফখরুল
নালিতাবাড়ীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযানে ড্রেজার মেশিন ও পাম্প জব্দ
ছাগলনাইয়ায় এসএসসি ব্যাচ-২০০০’র বন্ধুদের মেজবান ও মিলনমেলা
রাতের আধারে দুস্থ রোগীদের শীতবস্ত্র দিলেন ইউএনও
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল : চিকিৎসক
ঝগড়ার সময় স্ত্রীকে বাপের বাড়ী চলে যেতে বা মন ইচ্ছামতো চলতে বলা প্রসঙ্গে।
ফারুক হাসানের উপর হামলা ও আসামিদের জামিন পাওয়া অত্যন্ত নিন্দনীয় : খসরু
মানিকগঞ্জে ওয়ারেন্টের ৫ আসামী গ্রেফতার
আশুলিয়ায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পিঠা উৎসব
সন্ধান মিললো ফ্যাসিস্ট গণহত্যার শিকার আরও ৬ শহীদের লাশ!
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাভলু হত্যার বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ
ছাগলনাইয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ
কেরানীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হাতে নিহত ১
ত্রিশাল সরকারি নজরুল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহন
বিএআরএফ'র ইজিএম ও ফ্যামিলি ডে অনুষ্ঠিত