মোরেলগঞ্জের জেলে পল্লীতে ট্রলার তৈরির ব্যস্ততা
১২ আগস্ট ২০২৩, ১১:০৫ পিএম | আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম
শীত মৌসুমে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের জেলে পল্লীগুলোতে নতুন ট্রলার তৈরি ও মেরামতের ধুম পড়েছে। দিনরাত কাজ আর ব্যস্ততায় মৎসপাড়ার উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
মোরেলগঞ্জ উপজেলার সোনাখালী, বহরবুনিয়া, বলইবুনিয়া, বারইখালী খাওলিয়া, হোগলাবুনিয়াসহ কয়েকটি ইউনিয়নের জেলে পল্লিতে নতুন ও পুরোনো ট্রলার তৈরির কাজে ধুম পড়েছে। নৌকা তৈরিতে কাঠমিস্ত্রি ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিনরাত কাঠ বানানো, তক্তা ও গুঁড়া বানানো, কাঠ মসৃণ করা, তক্তা জোড়া লাগানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কাঠ মিস্ত্রিরা। মিস্ত্রিদের হাতুড় বাটালের আওয়াজে মুখরিত হচ্ছে মালোপাড়া।
গতকাল শুক্রবার উপজেলার বারইখালী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নতুন ট্রলার তৈরির কাজ চলছে ও পুরোনো ট্রলারগুলো মেরামত করার কাজ চলছে পুরোদমে। মিস্ত্রীরা দিনরাত ট্রলার তৈরির কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। ট্রলার তৈরি করতে বিভিন্ন স্থান থেকে মিস্ত্রী আনতে হয়। ট্রলার তৈরিতে মিস্ত্রীদের থাকা-খাওয়া বাদে প্রতিটি নতুন ট্রলার তৈরি বাবদ মজুরি ১ লাখ ১০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।
৫০-৬০ ফুট লম্বা ১৭ ফুট চওড়া একটি ট্রলার তৈরি করতে প্রায় ৫শ’ সেফটি কাঠ লাগছে। সব কাট দিয়ে ট্রলার তৈরি হয় না। এলাকায় পাওয়া যায় এমন চম্বল, মেহগনি, কাঠ দিয়ে তারা ট্রলার তৈরি করছে। নতুন ট্রলার তৈরির পর তাতে রং করতে প্রায় ২শ’ কেজি আলকাতরা লাগে। পুরোনো ট্রলার মেরামত করতে ৩০-৭০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। একটি নতুন ট্রলারে প্রায় ৩ মণ পেরেক, ১শ’ কেজি পাতাম সুতা প্রয়োজন হয়। ট্রলার তৈরি পর ইঞ্জিন বসাতে প্রায় লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। পানগুছি নদের দুই পাশে এই ট্রলার তৈরি ও মেরামতের কাজ চলছে।
বারইখালী ইউনিয়নের একজন মৎস্যজীবী ইনকিলাবকে বলেন, সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে ১টি ট্রলার তৈরি করছে। নতুন ট্রলার তৈরি করতে সর্বমোট খরচ পড়ছে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। মহাজনের কাছ থেকে কড়া সুদে টাকা নিয়েছে, সাগরে মাছ ধরে তা বিক্রি করে টাকা শোধ করবে বলে তিনি জানান।
মোরেলগঞ্জের প্রান্তিক জেলেরা মাছ ধরার জন্য গভীর সমুদ্রে ভয়ঙ্কর, বিক্ষুব্ধ উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে জাল ফেলে মাছ ধরতে হয়। এই উপজেলার কয়েকশত পরিবারের আয়ের উৎস্য সমুদ্রে মাছ ধরা। এত বিপদের সঙ্গে লড়াই করে তাদের জীবিকা অর্জন করতে হয়। এ নিয়ে এখানকার মৎসজীবিদের সাগরযাত্রার মহাকর্মযজ্ঞের প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় ইনকিলাবকে বলেন, উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের মৎস্যজীবিদের মুল আয়ের উৎস গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া, সে লক্ষে তারা প্রতি বছর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গভীর সমুদ্রে শুটকি আহরণ করতে যায়, সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া এসব জেলেরা যদি সরকারের পক্ষ থেকে কোন সুবিধা নিতে চায়. তাহলে তারা লিখিত আবেদন করলে আমি সেটা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো এবং সরকারের পক্ষ থেকে তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ আর্থিক সহায়তা দেয়ার চেষ্টা করবো।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ঝিনাইদহে নিখোঁজের ৭দিন পর সেপটি ট্যাংকে মিললো যুবকের লাশ
ইসলামী আইনজীবী পরিষদের ১৩তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন রবিবার
কমলনগরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ আহত ৩
কুড়িগ্রামে জেলা বিএনপির ১২টি ইউনিট বিলুপ্ত ঘোষণা
তারাকান্দায় বাসের ধাক্কায় আহত-৪
কুয়েটে অনুষ্ঠিত হলো ন্যাশনাল আইডিয়া কেস কম্পিটিশন ‘বিজব্যাটেল’
ভারতের ড্রেসিংরুম চ্যাপেল যুগের মতো বিধ্বস্ত: হরভজন
জুনে জাফর-২ ও পায়া উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করবে ইরান
আন্দোলনের ইমেজ বিশ্বকে জানাতে হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে বাঁশ ও বেত শিল্প প্রায় বিলুপ্ত
দুই যাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ৪ সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে- গ্রেপ্তার- ১
হবিগঞ্জে সাড়ে ৭ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি
ছাত্রদলের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি শুরু
শুরু হয়েছে 'শার্ক ট্যাঙ্ক বাংলাদেশ সিজন–২ এর রেজিষ্ট্রেশন; কি থাকবে এবারের পর্বে?
‘২০ বছরের অধিক সাজাখাটা বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি দিন’
বাংলাদেশে ঢুকে গাছের ডাল কাটল বিএসএফ, সীমান্তে উত্তেজনা
নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় ৬ জন গ্রেফতার, ড্রেজার জব্দ
ইরানের সুপ্রিম কোর্টের সামনে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত দুই বিচারক
কলাপাড়ায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, প্রকল্প পরিচালকের গাড়ী বহর আটকে দিল বিক্ষোভকারীরা
সাজিদ-নোমানের ঘূর্ণিতে ১৩৭ রানেই শেষ উইন্ডিজ