বিল বিতর্কে প্রেসিডেন্ট সচিবকে সরিয়ে দিলেন আলভি
২১ আগস্ট ২০২৩, ১১:৩২ পিএম | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২৩, ১২:০৩ এএম
প্রেসিডেন্ট ডা. আরিফ আলভির রোববারের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট সচিবালয় গতকাল প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকে চিঠি দিয়েছে যে, প্রেসিডেন্টের বর্তমান সচিবের পরিষেবার আর প্রয়োজন নেই। প্রেসিডেন্টের সচিবালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্টের সচিব জনাব ওয়াকার আহমেদের পরিষেবার আর প্রয়োজন নেই এবং অবিলম্বে সংস্থাপন বিভাগে আত্মসমর্পণ করতে হবে’।
বিবৃতিতে যোগ করা হয়েছে, ‘পাকিস্তান প্রশাসনিক পরিষেবার একজন বিপিএস-২২ অফিসার মিসেস হুমাইরা আহমেদকে প্রেসিডেন্টের সচিব হিসাবে নিয়োগ করা যেতে পারে’।
প্রেসিডেন্ট আলভি রোববার অফিসিয়াল সিক্রেটস (সংশোধন) বিল এবং পাকিস্তান আর্মি (সংশোধন) বিলে স্বাক্ষর করেননি বলে দাবি করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে প্রেসিডেন্ট তীব্রভাবে দুটি বিলের প্রতি তার সম্মতি দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি অবশ্য স্বীকার করেছেন যে, তার কর্মীরা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭৫-এর ধারা অনুযায়ী নির্ধারিত ১০ দিনের সময়সীমার মধ্যে সংসদে বিলগুলো ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি তার কর্মীদের অভিযুক্ত করে বলেছেন যে, তারা কেবল তার সাথে প্রতারণাই করেনি বরং তার কর্তৃত্বকে ক্ষুণœ করেছে, কার্যকরভাবে বিলগুলো ফেরত দেয়া হয়নি তা গোপন করেছে।
আলভি বলেন যে, তিনি রোববার জানতে পেরেছিলেন যে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বিলগুলো ফেরত দেয়া হয়নি। তিনি যোগ করেছেন যে, তার কর্মীদের কাছ থেকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদে তিনি প্রতিবার বিল ফেরত দেয়ার আশ্বাস পেয়েছিলেন।
এদিকে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলগুলোর পক্ষাবলম্বন করে বলেছে যে, বিলগুলো প্রেসিডেন্টের সম্মতির জন্য ১০ দিনের মেয়াদে আইনে পরিণত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি আইনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে সম্মতি দেয়ার কিছুক্ষণ পরেই তত্ত্বাবধায়ক আইনমন্ত্রী আহমেদ ইরফান আসলাম তত্ত্বাবধায়ক তথ্যমন্ত্রী মুর্তজা সোলাঙ্গির সাথে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন। আসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বিলগুলোর বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন করার সুযোগ প্রেসিডেন্টের ছিল, কিন্তু তিনি তা না করার সিদ্ধান্ত নেন, যার ফলে বিলগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইনে পরিণত হয়’।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আর্মি (সংশোধন) বিল ২ আগস্ট প্রেসিডেন্ট কর্তৃক গৃহীত হয়েছিল, আর সরকারি গোপনীয়তা (সংশোধন) বিল ৮ আগস্ট প্রেসিডেন্টের কাছে পৌঁছে।
‘প্রেসিডেন্টের কাছে কেবল দুটি বিকল্প ছিল [বিলগুলি পাওয়ার পরে] : বিলগুলো অনুমোদন করা বা আপত্তিসহ ফেরত পাঠানো। কোনো তৃতীয় বিকল্প ছিল না এবং বিলগুলো ফেরত না দেয়া হলে তা ১০ দিন পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইন হয়ে যায়’ -তিনি যোগ করেন। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত
অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে
দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১
নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে
অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন
ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ
মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি
রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী
বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের
আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া
ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী
সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির
রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার