বেহাল দশায় ঢাকার সড়ক
২২ আগস্ট ২০২৩, ১১:৪২ পিএম | আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২৩, ১২:০৩ এএম
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া/ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া/একটি ধানের শিষের উপরে/একটি শিশিরবিন্দু’। কবির কবিতার মতোই যেন ঢাকার শহরের অবস্থা। তবে ‘ধানের শিষ’ এবং ‘শিশির বিন্দুর’ পরিবর্তে পড়তে হবে সড়কে খানাখন্দ, গর্ত, ম্যানহোল, ময়লার ভাগাড় ইত্যাদি। রাজধানী ঢাকার যে মহল্লায় থাকুন ঘর থেকে বাইরে সড়কে পা দিলেই গর্ত, খানাখন্দ, ঢাকনাবিহীন ম্যানহোল, যত্রতত্র ভাগাড়ের মুখোমুখি হতে হয় নাগরিকদের। দুর্ভোগ, দুর্গতির অপর নাম যেন ঢাকা শহর। শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ, অপরিকল্পিত নগরায়ন, নিত্য যানজটে এমনিতেই চারশ’ বছরের পুরনো শহর ঢাকা পরিত্যক্ত নগরীতে পরিণত হওয়ার উপক্রম।
এর মধ্যেই রাজধানী অধিকাংশ এলাকার সড়কের অবস্থা নাজুক, ভাঙ্গাচোরা, যত্রতত্র গর্ত-ম্যানহোলের ঢাকনাবিহীন। পাড়া-মহল্লার অলি-গলির অবস্থা আরো খারাপ। অলিগলির সড়কের দূরবস্থা দেখার যেন কেউ নেই। ঘর থেকে বের হলেই নগরবাসিকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। ভাঙ্গাচোরা সড়কের কারণে প্রতিদিনই দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরের সাধারণ মানুষকে। নাগরিক সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকাকে দুই সিটিতে বিভক্ত করার পরও অনেক এলাকার সড়কে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বছরের পর বছর এসব এলাকার মানুষ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। সঠিকভাবে সড়কের উন্নয়ন করা হলে দীর্ঘদিন ভালো থাকার কথা। কিন্তু এখন দেড় থেকে দুই বছর না যেতেই ভালো সড়কের অবস্থাও খারাপ হচ্ছে। সড়ক সংস্কারের কাজে দুর্নীতি-অনিয়ম হওয়ার অভিযোগ উঠে। যখন-তখন বিভিন্ন সংস্থা অপরিকল্পিতভাবে সড়ক কাটছে। সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের অপরিকল্পিত রাস্তা কাটার কারণেও সড়কে নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
জানতে চাইলে নগর-পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, সড়ক সংস্কারের ক্ষেত্রে গুণগত মান নিশ্চিত করতে না পারা সিটি করপোরেশনের বড় দুর্বলতা। সড়ক সংস্কারের ক্ষেত্রেও বৈষম্য করছে তারা। দেখা যাচ্ছে, উন্নত এলাকায় মনোযোগ যতটা বেশি থাকে, তার তুলনায় অনেক কম মনোযোগ থাকে অপেক্ষাকৃত অনুন্নত এলাকায়। অথচ সব এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে সিটি করপোরেশন কর আদায় করছে। কোন বছরে কোন এলাকার সড়কের উন্নয়ন ও সংস্কারের কাজ হবে, সেই পরিকল্পনা সিটি করপোরেশনের না থাকায় সমস্যা প্রকট হচ্ছে। তারা এখন অনেকটা অনুমানের ওপর ভিত্তি করে সড়কের উন্নয়ন ও সংস্কারের কাজ করে।
ডিএসসিসি সূত্র বলছে, বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস দায়িত্ব নেওয়ার পর গত তিন বছরে সড়ক সংস্কার ও উন্নয়নে খরচ হয়েছে ২৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে ২৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যয় হয়েছে ১১১ কোটি ১২ লাখ টাকা। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে সড়ক সংস্কারে ব্যয় হয় ১০৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আর চলতি অর্থবছরে সড়কের উন্নয়নে ২৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি।
ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটিতে প্রথমবার ২০১৯ সালে মেয়রের দায়িত্ব নিয়েছিলেন আতিকুল ইসলাম। পরের বছর ২০২০ সালে আবার তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। তার চার বছরের মেয়াদে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতে মোট ব্যয় হয়েছে ৮৫৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৮৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৪৩ কোটি, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৬৪ কোটি এবং সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৫৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে অঞ্চলভিত্তিক সড়ক, ফুটপাত, নালাসংস্কার ও নির্মাণকাজে। আর চলতি অর্থবছরে এই খাতে আরও ৬৮২ কোটি টাকা ব্যয়ের বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকা-কাঁচপুর আট লেনের মহাসড়কটি রাজধানীর প্রবেশ মুখ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কটির কার্পেটিং, পিচ, পাথর, সুড়কি উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তবে সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু হলেও কাজের ধীরগতির কারণে দুর্ভোগ আরও বেড়ে গেছে। এ জন্য পরোক্ষভাবে ফ্লাইওভার কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, ফ্লাইওভার দিয়ে যাতে বেশি গাড়ি চলাচল করে, সে জন্য নিচের সড়ক ঠিক করছে না কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন সড়কের অর্ধেক দখল করে মাছ ও কাঁচা বাজারের দোকান বসানো হয়। এ ছাড়া যাত্রাবাড়ী আড়তের সামনের অংশ পুরোটাই পিকআপ ও পণ্যবাহী ট্রাকের অবৈধ পার্কিংয়ে দখল থাকে। তাই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই সড়কে যানজট লেগেই থাকে। যাত্রাবাড়ী থানার সামনে থেকে কুতুবখালির মোড় পর্যন্ত সড়কের এই পাশে বড় বড় গর্ত। অপর পাশে কংক্রিটের ঢালাই দেওয়া হয়েছে। তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের প্রথম টোলপ্লাজার বাম পাশের রাস্তাটি। বেহাল সড়কের কারণে এক মিনিটের পথ অতিক্রম করতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা লাগে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা তৈরি হয়েছে যাত্রাবাড়ী কাঁচা বাজার আড়তের সামনের অংশে। সড়কে বড় বড় গর্তের কারণে প্রায় সময় পণ্যবাহী ট্রাক, লরি ও পিকআপ উল্টে দুর্ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানান।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রফেসর শামসুল হক বলেন, সারা বছর চলাচলযোগ্য রাখতে হলে মানসম্মত সড়ক বানাতে হবে। পাশাপাশি বর্ষায় পানিবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে হবে। পিচঢালাই দেওয়া সড়ক যত ভালোভাবেই তৈরি করা হোক না কেন, পানিবদ্ধতা হলে তা টিকিয়ে রাখা কঠিন। বর্ষা হলেই যে পানিবদ্ধতা হয় তা নয়, অনেক সময় ড্রেন উপচে, ম্যানহোল উপচেও সড়কে পানি আসে। গুণগত মান ঠিক না থাকায় অলিগলির রাস্তা টেকে না। তদারকির অভাব কমবেশি থাকেই। আমাদের এখানে প্রথমে রাস্তা বানানো হয়। এরপর নিচে যাওয়ার জন্য রাস্তা কাটা হয়। নিচের কাজ থেকে থাকলে তা শেষ করে ওপরের কাজটা করব। এই জায়গায় মেয়ররা যদি সত্যিকারার্থেই সরকারের বলিষ্ঠ হাত হতে চান, তাহলে দর্শনও স্মার্ট হতে হবে। সড়কে কিছুদিন পর কাটাকাটির মানে হলো সঠিক পরিকল্পনার অভাব। আমরা গতানুগতিক উন্নয়নের চিন্তাভাবনার সংস্কৃতিতে আছি।
পুরান ঢাকার বাবুবাজার এলাকার সড়কের বিশাল সব গর্ত থাকার কারণে যানবাহনগুলোকে চলতে হয় হেলেদুলে।
এই সড়কের এক পাশের ঢালাই উঠে গেছে। কিছু দূর পরপরই বিশাল গর্ত। এই সড়কে ঝুঁকি নিয়েই চলছে গাড়ি। বাবুবাজার সেতুর নিচের এই সড়কে রিকশা-মোটরসাইকেল চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বাবুবাজার সেতু থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার দূরে গেন্ডারিয়া নতুন সড়ক। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কও খানাখন্দে ভরা। সড়কের কিছু কিছু জায়গায় গর্তের আকার বড় হওয়ায় বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়।
দয়াগঞ্জ মোড় থোকে জুরাইন রেলগেট পর্যন্ত গেন্ডারিয়া নতুন সড়কে সর্বশেষ সংস্কারকাজ করা হয়েছিল ২০২০ সালে। কাজ শেষ হওয়ার কিছুদিন পরই সড়কের এক পাশ পদ্মা সেতুর রেল প্রকল্পের অধীনে চলে যায়। বর্তমান সড়কের এক পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। এই অংশের প্রায় পুরোটাই ব্যবহারের অযোগ্য বলে বিভিন্ন যানবাহনের চালকেরা বলছেন।
টিকাটুলী এলাকার কে এম দাস লেন এলাকার মূল সড়কের প্রায় পুরোটা খানাখন্দে ভরা। পাশের গোপীবাগ এলাকার বিভিন্ন সড়কের একই অবস্থা। খানাখন্দে ভরা সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে মানুষকে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কমলাপুর বাজার এলাকার রাস্তাটি দীর্ঘদিন ভাঙাচোরা থাকলেও মেরামত করার কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। যাত্রাবাড়ী এলাকার পশ্চিশ মাতুয়াইল হাজী মমিন খান রোড মেরামতের কাজ শুরু করলেও দর্ঘদিনেও শেষ করা হচ্ছে না। একই এলাকার গোবিন্দপুর মোখলেছ মাতবর রোডে খানাখন্দ ও বিভিন্ন জায়গায় গর্ত রয়েছে।
কামরাঙ্গীরচরের দক্ষিণ রসুলপুরের কাজীবাড়ি রোড, ব্যাটারিঘাট মেইন রোড, বড় গ্রাম মেইন রোড, মমিনবাগের মজিবর ঘাট, মধ্য মমিনবাগের আচারওয়ালা ঘাট রোড, আশ্রাফাবাদের কয়লাঘাট, লালবাগের মাক্কি মসজিদ-সংলগ্ন আর এন ডি রোড, রাজনারায়ণ ধর রোড, কাজী রিয়াজউদ্দিন রোড, চকবাজারের ওয়াটার ওয়ার্কস রোড, নাজিমুদ্দিন রোড ও বংশালের বেগমবাজার এলাকার সড়কের অবস্থা বেশি খারাপ। এসব সড়কে পিচঢালাই উঠে গেছে।
পুরান ঢাকার কাজী আলাউদ্দিন রোডের সড়ক ও নালার সংস্কারকাজ ছয় মাসের মধ্যে শেষ করতে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ওই কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ওই কাজ শেষ হয়নি। কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৯ মাস পরও কাজী আলাউদ্দিন সড়ক ও নালার সংস্কারকাজ হয়েছে ৬০ শতাংশ। মীর হাজীরবাগ, পার গেন্ডারিয়া, দোলাইরপাড়, শাহজালাল লেন ও নুরানীনগর নিয়ে গঠিত এই ওয়ার্ড। এখানকার সড়কের বেহাল অবস্থা। এলাকার সড়কগুলোর সংস্কারকাজ শেষ হয়েছিল আড়াই বছর আগে। কিন্তু পাইপ বসানোর জন্য ওয়াসা সড়ক কেটেছে। এরপর আর সড়কের সংস্কার করেনি।
এছাড়া উত্তর সিটির আওতাধীন পুরোনো ৩৬টি ওয়ার্ডের মূল সড়কগুলোর অবস্থা অপেক্ষাকৃত ভালো। তবে অলিগলির সড়কের বেশিরভাগই ভাঙাচোরা। আর উত্তর সিটিতে নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে হাতে গোনা দু-একটি রাস্তা মোটামুটি ভালো। এসব এলাকার বেশির ভাগ সড়ক যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাদেক খান সড়কটি প্রায় সোয়া এক কিলোমিটার দীর্ঘ। এই সড়ক মোহাম্মদপুর-বছিলা সড়কের সঙ্গে যুক্ত। গত ফেব্রুয়ারি গর্ত, খানাখন্দে পিচঢালাই দেওয়া হয়। কিন্তু সড়কের অনেক জায়গায় পিচ উঠে গেছে। খানাখন্দ আর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
রামপুরা প্রধান সড়কের অবস্থা ভালো কিন্তু এই সড়কের সঙ্গে যুক্ত মধ্য বাড্ডা বাজার এলাকার সড়কে যান চলাচলের উপায় নেই। নালা নির্মাণের জন্য এমনভাবে সড়কটি খোঁড়া হয়েছে যে গাড়ি চলাচল এখন পুরোপুরি বন্ধ। সড়কের দুই পাশের দোকানের দেয়াল ঘেঁষে কোনোরকমে চলাচল করছে মানুষ।
মধ্য বাড্ডার পাশের আদর্শনগর সড়কের অবস্থা আরও খারাপ। দক্ষিণ বাড্ডার দারোগা বাড়ির মোড়, উত্তর বাড্ডার আলীর মোড়, ভাটারা নূরের চালা সড়ক, শাহজাদপুর সড়ক, নদ্দা বাজার সড়কগুলোতে খানাখন্দ রয়েছে। মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়া কয়েকটি রাস্তা, মিরপুর ১২ নম্বরের রাস্তা, মিরপুর ১১ নম্বর কাঁচাবাজার সড়ক, রায়েরবাজারের আজিজ খান সড়ক, ইদ্রিস খান সড়ক ও নাদির খান সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। মহাখালী যাওয়ার বীর উত্তম এ কে খন্দকার সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তের কারণে গাড়ি চলে হেলেদুলে।
নতুন ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে সড়কের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ উত্তরখান, দক্ষিণখান ও হরিরামপুর (তুরাগ) এলাকায়। ওই তিন এলাকার প্রধান রাস্তাগুলোর অবস্থাও বেহাল। বৃষ্টি হলেই পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে সড়ক পরিণত হয় নালায়। নতুন ওয়ার্ডগুলোর সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার নির্মাণ ও উন্নয়নে একটি প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করা হয় গত বছর মার্চে। এক বছরের বেশি সময় পর ওই প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি মাত্র প্রায় ১২ শতাংশ।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের বলেন, ডিএসসিসি এলাকার বিভিন্ন অলিগলির রাস্তা দেখা যায় কাজ শেষ হয়েছে কিন্তু রাস্তা কাটিংয়ের কারণে ফিনিসিং করা হয়নি। আর নতুন ওয়ার্ডগুলোতে রাস্তার কাজ পর্যয়ক্রমে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছরই প্রকল্প দেয়া হচ্ছে এবং এসব প্রকল্পের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে বড় রাস্তা ও গলির রাস্তার কাজ চলছে। এসব কাজ শেষ হলে স্থানীয়দের চলাফেরা সহজ হবে।
ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এখন যেসব সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে সেগুলো টেকসই হচ্ছে। ভারী বৃষ্টিতে পিচঢালাই উঠছে না, সড়কে গর্তও হচ্ছে না। আগে তো রাস্তা আরও কম টেকসই হতো। পানির নিচে রাস্তা ডুবে যেত। আগে নালা নির্মাণ করা হচ্ছে, তারপর সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। আর অলিগলির সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। ###
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত
অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে
দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১
নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে
অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন
ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ
মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি
রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী
বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের
আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া
ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী
সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির
রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার