বৃষ্টি এলেই যাত্রীদের বেকায়দায় ফেলেন সিএনজিচালকরা
২৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম | আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম
বৃষ্টির মধ্যে মানুষ যখন বেকায়দায় পড়েন, তখন যাত্রীদের আরও বেকায়দায় ফেলেন সিএনজিচালকরা। যে পথের ভাড়া ২০০-২৫০ টাকা, বৃষ্টির সময় সে পথে আদায় করা হয় ৫০০ টাকা। বাধ্য হয়ে যাত্রীদের সেই ভাড়া দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। বৃষ্টিতে সাধারণ মানুষের মতো ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরাও যখন কোণঠাসা হন, তখন সুযোগ নেন সিএনজিচালকরা। এ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ থাকলেও সচরাচর যাত্রীরা অভিযোগ করেন না। যে কারণে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন না ট্রাফিক সংশ্লিষ্টরা।
বৃষ্টির কারণে অন্যদিনের তুলনায় রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা ছিল কম। রিকশাও ছিল হাতেগোনা। যারা ছিলেন, তারাও ভাড়া চাইছিলেন অনেক। রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলোতেও প্রাইভেটকারের চাহিদা ছিল বেশ। বৃষ্টির কারণে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের ব্যবহার ছিল খুবই কম। অন্যদিকে মধ্যবিত্তের ব্যক্তিগত বাহন সিএনজি অটোরিকশা নিমিষেই পরিণত হয়েছিল উচ্চবিত্তের বাহনে।
মগবাজার মোড় থেকে যাত্রাবাড়ীর যাবেন এক যাত্রী। এ পথে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে যাতায়াত করা যায় নিয়মিত। ওই দিন সকাল ১০টায় তিনি ৫০০ টাকায় সিএনজি ভাড়া করে রওনা হন। তিনি বলেন, বৃষ্টি নামলেই যেন ঈদের আনন্দ নামে সিএনজি চালকদের মনে। এখান থেকে আমি প্রায়ই যাত্রাবাড়ীতে যাই ২০০-২৫০ টাকায়। কিন্তু বৃষ্টির দিন ভিজে ভিজে কয়েকজন সিএনজি চালকের কাছে গেলাম, সবাই ৫০০-৬০০ টাকা ভাড়া চায়।
সিএনজির চালক বলেন, বৃষ্টির দিনে খ্যাপ কম হয়, আমাদের জমার টাকা তুলতে হবে তো। যখন ঢাকা শহরে বৃষ্টি হয়, তখন পুরো শহরের রাস্তায় পানি জমে যায়। এমনিতেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে অন্তত এক ঘণ্টা সময় লাগে। যখন জ্যাম লাগে, ওই একই জায়গায় যেতে তখন দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে।
তিনি বলেন, সিএনজি নিয়ে বের হলে সারা দিনে শুধু খরচই হয় দুই হাজার টাকা। বাসায় অন্তত কিছু টাকা নিয়ে ফিরতে হলে তিন হাজার টাকা ইনকাম করতে হয়। এক বেলার জন্য মালিককে জমা দিতে হয় ১২০০ টাকা। গ্যাস, খাবার ও অন্য খরচসহ এই খরচ দাঁড়ায় দুই হাজার টাকায়। ১২ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত তিন ঘণ্টা সময় এদিক-সেদিকেই চলে যায়। বাকি ৯ ঘণ্টার মধ্যে তিন হাজার টাকা ইনকাম করতে হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) ট্রাফিক রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. সাকিব হোসাইন বলেন, রাস্তায় যখন পানি জমে যায়, তখন কোনো যানবাহন পানির ওপর দিয়ে যেতে চায় না। কোথাও যদি পানির নিচে গর্ত থাকে, সেখানে আমরা সাইন দিয়ে দেই। কিন্তু ফিডার রোডগুলোতে দেওয়া সম্ভব হয় না। সেখানে ডিপ্লয়মেন্ট থাকে না আমাদের। কারণ ট্রাফিকের জনবল খুবই কম।
আমাদের কাজ হচ্ছে অভিযোগের ভিত্তিতে কাজ করা। স্বপ্রণোদিত হয়ে আমাদের তেমন কিছু করার সুযোগ নেই। এত যানবাহনের মধ্যে, এত মানুষের মধ্যে কে কোন সমস্যা ফেস করছে সেটা তো আমরা বলতে পারব না। আমাদের কাছে যখন কেউ ভাড়া নিয়ে সরাসরি অভিযোগ করেন, তখন আমরা দেখি যে ওই গাড়ি মিটারে যাচ্ছে না কেন। কেউ মিটারে না গেলে তখন আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারি। যাত্রীরা অভিযোগ না করলে আমাদের জানার সুযোগ নেই কোথায় সমস্যাটা হচ্ছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
টেকনাফ জিবির অভিযানে ২লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার
মোংলায় স্কুল থেকে ফেরার পথে ট্রেনে কাটা পড়ে শিক্ষার্থী নিহত
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এমডি ও পিডিকে অপসারণ সহ ৯ দফা দাবিতে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের মানববন্ধন
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসা সহজ করল বাংলাদেশ
ওজন কমাও মাসুদ, না হলে মানুষ মাংস কেটে নেবে!
৭৫-এর বীরদের নিয়ে যে বার্তা দিলেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন
সম্মেলন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিএনপি সভাপতি নিহত
কিশোরগঞ্জে অটোরিকশা চালকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
জামায়াতের ৫-১৫% বেশি ভোট নিয়ে আমার সন্দেহ আছে, যা বললেন ফাহাম
বিকাশের দোকানে হামলা করে ১০ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ
ঝালকাঠিতে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের মানববন্ধন
মাগুরায় সরিষা ক্ষেতে মৌমাছির মাধ্যমে মধু আহরণ জনপ্রিয় হচ্ছে
নগরকান্দায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে দুইজন নিহত
হাত বদলে দাম বাড়ে সবজিতে, নিরুপায় ক্রেতা
সিরিয়ার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির
না ফেরার দেশে সংগীতশিল্পী স্যাম মুর
এবার বাংলাদেশেও এইচএমপিভি শনাক্ত
৫ আগস্ট থেকে মর্গে কাবিলের লাশ, পরনের কাপড় দেখে শনাক্ত করলেন স্ত্রী
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি বেসিসের
সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় না ইসি