ফেসবুকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা
২৬ আগস্ট ২০২৩, ১১:২৩ পিএম | আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম
দুই ডিপ্লোমা প্রকৌশলী চাকরি না করে দুই বছর আগে গড়ে তোলেন ফেসবুকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের চক্র। দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাদের সদস্য রয়েছেন। দুই বছর ধরে তারা এভাবে ফেসবুকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা করে আসছেন। াঁরা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের নামে প্রতারণা ছাড়াও বছরজুড়ে অনলাইন জুয়া ও ভার্চ্যুয়াল মুদ্রার (ক্রিপ্টোকারেন্সি) কারবার করেন। এইচএসসি পরীক্ষা এলেই ফেসবুকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিজ্ঞাপন দেন তারা। বিজ্ঞাপন দেখে কোনো শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা আগ্রহী হলে টাকা নিয়ে পেজে যুক্ত করা হয় তাকে। পরীক্ষার আগে শতভাগ নিশ্চয়তাসহ প্রশ্ন দেয়ার কথা বলে আরেক দফায় নেয়া হয় টাকা। টাকা নেয়ার পর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দেয়া হয় ভুয়া প্রশ্ন। চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে এভাবে টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছে চক্রটি।
গত মঙ্গল ও বুধবার ঢাকা, নারায়গঞ্জ ও জামালপুর এলাকা থেকে এই চক্রের পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। তারা হলেন-আবদুল আহাদ ওরফে রাফিন খান, স্বাগতম চন্দ্র ওরফে মো. বাবুল মিয়া, সাব্বির আহমেদ, মইনুদ্দিন ও বাসুদেব চন্দ্র রায়। তাদের মধ্যে সাব্বির কিশোরগঞ্জ পলিটেকনিক থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে এবং স্বাগতম রংপুরের একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ইলেকট্রনিকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছেন।
ডিবির কর্মকর্তারা বলছেন, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপন প্রচার করে মানুষকে ফাঁদে ফেলে প্রতারণার নতুন নতুন কৌশল সম্পর্কে জানা যাচ্ছে। ঘরে বসে আয়, অ্যাপের মাধ্যমে বিনা জামানতে ঋণ দেয়া ও অল্প টাকা বিনিয়োগে লোভনীয় লভ্যাংশ দেয়ার কথা বলেও হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে দেশি-বিদেশি চক্র।
তদন্ত–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ‘এইচএসসি সকল বোর্ডের প্রশ্নফাঁস ২০২৩,’ ও ‘এইচএসসি প্রশ্ন উত্তর ২০২৩-সহ এ ধরনের নামে ছয়টি ফেসবুক পেজ খুলে বিজ্ঞাপন দেয় চক্রটি। এই বিজ্ঞাপন দেখে তদন্ত শুরু করে ডিবির লালবাগ বিভাগ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিজ্ঞাপন ও অনলাইন জুয়ার কাজে ব্যবহৃত সাতটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, কয়েক সেট ভুয়া প্রশ্নপত্র, ফেসবুক পেজে প্রশ্নপত্র ফাঁস–সংক্রান্ত আলাপচারিতা উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বাড্ডা ও দারুস সালাম থানায় দুটি মামলা হয়েছে।
ডিবির লালবাগ বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান বলেন, ২০২১ সাল থেকে এই চক্রের সদস্যরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের নামে প্রতারণা করে আসছিলেন। ফেসবুকে শতভাগ প্রশ্নপত্র ফাঁসের নিশ্চয়তা দিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। যারা বিজ্ঞাপন দেখে আগ্রহী হতেন, তাদের কাছ থেকে মুঠোফোনে আর্থিক সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টাকা নিতেন। ডিবি জানায়, স্বাগতম চন্দ্র গ্রেফতার এড়াতে ফেসবুকে মো. বাবুল মিয়াসহ এক ডজন ছদ্মনামে এসব অপরাধ করে আসছিলেন। অন্যদের মধ্যে আবদুল আহাদ মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজের স্নাতকের ছাত্র। সাব্বির আহমেদ জামালপুরের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাস করে অনলাইন জুয়া চালাতেন। মইনুদ্দিন নারায়ণগঞ্জ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন। আর বাসুদেব চন্দ্র রায় স্বাগতম চন্দ্রের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মুরাদনগরে শীতার্ত মানুষের মাঝে পীরসাহেব চরমোনাই'র পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ
লিটনকে সেরা ছন্দে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাতে চাই: প্রধান নির্বাচক
মাস্তুল ফাউন্ডেশন বিতরণ করলো ১ লক্ষ কেজি চাল
লক্ষ্মীপুরে রঙ-কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে শিশুখাদ্য, ২ ফ্যাক্টরি সিলগালা
সীমান্তে বিএসএফের কর্মকাণ্ড নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশ
উৎসব মুখর পরিবেশে পালিত হলো জাবির ৫৪ তম দিবস
২ হাজার কেজি পলিথিন জব্দ, কারখানা সিলগালা
কুষ্টিয়ায় স্কুল কমিটি নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত ৩০
জুলাই বিপ্লবে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ির চাকার পিষ্ট হয়ে নিহত মাহবুব আলমের পরিবারের পাশে তারেক রহমান
ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ষড়যন্ত্রকারী বিএনপির ক্ষতি করতে পারবে না : আমিনুল হক
যায়যায়দিন পত্রিকায় নির্বাহী সম্পাদক হলেন খুরশীদ আলম
বিধ্বংসী শতকে লিটনের জবাব, ঝড়ো সেঞ্চুরি তানজিদেরও, বিপিএলে রেকর্ড
ফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন দিনে মোট ১১ জন নিহত, আহত ৩৫
চলমান সংস্কার গতিশীল করতে হবে, যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে : মান্না
ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৬ হাজার প্রতিষ্ঠান: বিপিজিএমইএ
পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে বিএসএফের গুলি, আহত ১
ওসি মুহিবুল্লাহকে বাঁচাতে স্বজনদের মানববন্ধন
ব্র্যাক ব্যাংকের টপ টেন রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড জয় ২০২৪ সালে ১.৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স সংগ্রহ
শেখ হাসিনা ভারতের সাথে বৈষম্যমৃলক চূক্তি করেছিলেন-মৌলভীবাজারে সারজিস আলম
শেখ হাসিনার চোখ ছিল শুধু ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত : সারজিস