মশার পেটে হাজার কোটি টাকা
২৬ আগস্ট ২০২৩, ১১:৪৩ পিএম | আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম
নাগরিক সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১২ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগ করা হয়। কিন্তু নাগরিক সেবা বৃদ্ধির বদলে গত কয়েক বছরে দুর্ভোগ বেড়েছে। এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন গড়ে ১০ জন মারা যাচ্ছে। অথচ দুই সিটি করপোরেশন মশা নিধণের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। দুই করপোরেশন মশা মারার নামে বিপুল পরিমান টাকা খরচ (কার্যত লুটপাট) করেছে। দুই সিট করপোরেশন গত ১১ বছরে মশা মারতে প্রায় এক হাজার ৮০ কোটি টাকার বাজেট করেছে। কিন্তু রাজধানী ঢাকায় মশার উৎপাত নির্মূল করা যায়নি। পৃথক হিসেবে দেখা যায় এই সময়ে মশা মারতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) খরচ করেছে ৫৮৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) খরচ করেছে ৪৯৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
অসুসন্ধান করে দেখা যায়, এই ১১ বছরে দুই সিটি করপোশেনের মশা মারতে কীটনাশক ক্রয়ের পাশাপাশি ড্রেনে তেলাপিয়া মাছ, গাপ্পি মাছ, হাঁস, ব্যাঙ অবমুক্ত করে মশক নিধনের এবং ড্রোনের মাধ্যমে মশার উৎসস্থল চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছে। অথচ কীটতত্ত্ববিদদের মতে মাছ-ব্যাঙ-হাঁস মশা নিধন করতে পারে এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। কিন্তু ‘সরকারি মাল দরিয়া মে ডাল’ প্রবাদের মতো টাকা খরচ করা হয়েছে। তাছাড়া মশা মারার বাজেট করতে দুই মেয়র যত উৎসাহী মশা মারতে তত আগ্রহী নন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সাবেক সভাপতি কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, টাকা দিয়ে হাঁস কেনা হয়েছে কত টাকার? ব্যাঙ কেনা হয়েছে কত টাকার? আরও ফড়িং-টড়িং আরও কী কী যেন কিনল মশা মারতে। এগুলো তো সম্পূর্ণ অপচয়। এটা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে কারণ দুই মেয়র মশা মরতে বৈজ্ঞানিক উপায়ে কিছুই করছেন না। কারও কোনো কথাও তারা শুনছেন না। এসব কার্যক্রম খুবই হাস্যকর, লোক দেখানো। এসব কার্যক্রমের কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
মশা নিধনে প্রতি বছরেই বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করেও দৃশ্যমান কোনো উপকার পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু অর্থেরই অপচয় হচ্ছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন মশা নিধনে কাজ করলেও নগরবাসী এই মশার কামড় থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। প্রতিদিনই এডিস মশার কামড়ে মৃত্যুবরণ করেছে অনেকে। হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা। এই রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। তবে এডিস মশা দমনে মাঠে নেমেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। রাজধানীতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ায় এই দুই করপোরেশনের বাজেটও বাড়ানো হয়েছে। তবে মশা নিধনে সিটি করপোরেশনগুলো যেসব কর্মসূচি নিচ্ছে, সেগুলোর কোনও কার্যকারিতা নেই। সুতরাং এসব ফগিং করলেও যা, না করলেও তা। বিটিআই আমদানির জন্য যারা নিবন্ধন পেয়েছে, তারা প্রথমে আবেদন করেছে। এরপর অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তারা নিবন্ধন পায়। কিন্তু মার্শাল অ্যাগ্রোভেট তো আবেদনই করেনি। এটা নিয়ে ফৌজদারি মামলা করা দরকার।
এর অগেও তেলাপিয়া মাছ, গাপ্পি মাছ, হাঁস, ব্যাঙ অবমুক্ত করে মশক নিধনের এবং ড্রোনের মাধ্যমে মশার উৎসস্থল চিহ্নিত করার ঘোষণা দেন মেয়ররা। চলতি বছর স্কুল শিক্ষক, মসজিদের ইমাম ও মশককর্মীদের নিয়ে সভা করেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। তা ছাড়া লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ নানা কর্মসূচিও বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু এর কোনো সুফল মিলছে না। ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশা নিধন করতে সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় যেসব কার্যক্রম পরিচালনা করছে, সেগুলোর বাস্তব কোনও কার্যকারিতা ও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই বলে অভিমত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, দেশে প্রাকৃতিক কারণে যেভাবে মশার বৃদ্ধি ও ডেঙ্গু সংক্রমণ হচ্ছে তা প্রাকৃতিকভাবেই কমে আসছে। ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মশা নিধনে চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
এদিকে, মশা মারার ওষুধ ব্যাসিলাস থুরিনজেনসিস সেরোটাইপ ইসরায়েলেন্সিস (বিটিআই) নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠেছে। এ অভিযোগ ওঠার পর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মার্শাল এগ্রোভেটকে কলো তালিকাভুক্ত করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। মশা মারতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) একটি বেসরকারি কোম্পানির মাধ্যমে ব্যাসিলাস থুরিনজেনসিস সেরোটাইপ ইসরায়েলেন্সিস (বিটিআই) নামক কীটনাশক ব্যাকটেরিয়া আনে। প্রতি কেজির দাম পড়ে ৩ হাজার ৩৮৫ টাকা। সে হিসাবে পাঁচ টনের দাম পড়ে ১ কোটি ৬৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা। ওইদিন সব মিলিয়ে ৫ কোটি টাকার বিটিআই আমদানির কথা জানিয়েছিল ডিএনসিসি। অভিযোগ রয়েছে, ডিএনসিসিকে মার্শাল অ্যাগ্রোভেট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কোম্পানি নামক প্রতিষ্ঠানটি বিটিআই সরবরাহ করছে। কিন্তু তাদের এটি আনার জন্য সরকারি নিবন্ধন ও লাইসেন্স কোনোটিই নেই। অন্যদিকে সিঙ্গাপুরের যে কোম্পানির কাছ থেকে বিটিআই আনা হয়েছে বলে ডিএনসিসি দাবি করেছে, সেই বেস্ট কেমিক্যাল বলছে পণ্যটি তাদের নয়। শুধু তাই নয়, কীটনাশক আইন অনুযায়ী দেশে প্রয়োগের জন্য কীটনাশকের প্যাকেটের গায়ে যেসব তথ্য থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, ডিএনসিসির কাছে থাকা বিটিআইয়ের প্যাকেটে সেসব তথ্য পাওয়া যায়নি।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সম্প্রতি সিটি করপোরেশনের ওষুধ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে স্প্রে জোরদার করতে হবে, ভেজাল ওষুধ ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে হবে। সিটি করপোরেশনগুলো যেন ভেজাল ওষুধ না ছিটায় সেই আহ্বানও জানান তিনি। দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণ না কমার পেছনে মশা নিধনে ব্যর্থতাকে দায়ী করে তিনি বলেন, আমরা যতোই রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেই, মশা না কমলে দেশে ডেঙ্গু রোগীও কমবে না। আশপাশের দেশের থেকে বাংলাদেশে পরিস্থিতি খারাপ। সবাইকে যার যার জায়গায় দায়িত্ব পালন করতে হবে।
জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে এবার বাজেটে মশা নিয়ন্ত্রণে মোট ১১৪ কোটি ৫০ লাখ বরাদ্দ রেখেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মশা মারতে ব্যয় নির্ধারণ করেছে ৪৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা টাকা।
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে এবার ৮৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করবে। গত অর্থবছরে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ব্যয় ছিল ৫২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ এই অর্থ বছরে এই খাতে বাড়ানো হয়েছে ৬১ শতাংশ। মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ২০২৩-২০২৪ বাজেটে ধরা হয়েছে ৮৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। মশক ওষুধ বাবদ ৪৫ কোটি টাকা, আগাছা পরিষ্কার ও পরিচর্যা ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ফগার হুইল স্প্রে মেশিন পরিবহন ৫ কোটি টাকা, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে বিশেষ কর্মসূচি ১ কোটি টাকা, আউটসোর্সিং-এর মাধ্যমে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ৩০ কোটি টাকা, মশক নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযান পরিচালনার জন্য রাখা হয়েছ ২ কোটি টাকা। এছাড়া মশক নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ব্যয় করবে ৩০ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরে ছিল ১৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই অর্থবছরে এ খাতে খরচ বৃদ্ধির হার শতভাগ। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ৮৪ কোটি ৫০ লাখ এবং মশক নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রপাতি কিনতে ব্যয় করবে ৩০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে মশার সঙ্গে যুদ্ধে এই অর্থবছরে ১১৪ কোটি টাকা খরচ করবে উত্তর সিটি করপোরেশন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মশা মারতে ব্যয় নির্ধারণ করেছে ৪৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা টাকা। এরমধ্যে মশক নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ব্যয় হবে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। মশক নিধন কীটনাশক ক্রয়ে ব্যয় হবে ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এছাড়াও ফগার, হুইল, স্প্রে মেশিন পরিবহন বাবদ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
১১ বছরের বেশি সময় হলো ভাগ হয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ। এই সময়ে শুধু মশা নিধনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন খরচ করেছে ১ হাজার ৮০ কোটি টাকা। এই সময়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কীটনাশক কেনা ও প্রয়োগ, যন্ত্রপাতি আর বেতন-ভাতা বাবদ খরচ করেছে ৫৮৬ কোটি ৫২ লাখ। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) খরচ করেছে ৪৯৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ ১১ বছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কীটনাশক ক্রয় ও প্রয়োগ, যন্ত্রপাতি আর বেতন-ভাতাসহ মোট খরচ করেছে ৪৯৩ কোটি ২৪ লাখ। এর মধ্যে কীটনাশক ক্রয় ও প্রয়োগ বাবদ ১৭৯ কোটি ৮১ লাখ, যন্ত্রপাতি বাবদ ২৩ কোটি ৭৬ লাখ এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ ২৮৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা খরচ করে সংস্থাটি।
অন্যদিকে ১১ বছরে ঢাকা উত্তর সিটি কীটনাশক কেনা ও প্রয়োগ, যন্ত্রপাতি আর বেতন-ভাতাসহ মোট খরচ করেছে ৫৮৬ কোটি ৫২ লাখ। এর মধ্যে কীটনাশক ক্রয় ও প্রয়োগ বাবদ ৩২২ কোটি ২০ লাখ, যন্ত্রপাতি বাবদ ৩৯ কোটি ৮৯ লাখ এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ ২২৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা খরচ করে সংস্থাটি।
দুই সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ব্যয় হয় ১১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) মশা নিধনে বরাদ্দ ছিল ১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সামান্য কমে দক্ষিণ সিটিতে বরাদ্দ ছিল ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, পরের বছর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ খাতে দক্ষিণ সিটিতে বরাদ্দ হয় ২৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মশক নিধন খাতে ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে খরচ হয়েছে ৩২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২০ কোটি ২ লাখ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩১ কোটি ২ লাখ, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৭ কোটি টাকা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মশা নিধনে ব্যয় হয় ১০ কোটি টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ঢাকা উত্তর সিটির বাজেট ছিল ১৪ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে উত্তর সিটিতে মশক নিধন খাতে বরাদ্দ ১১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উত্তর সিটিতে মশক নিধনে বরাদ্দ ২০ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে উত্তর সিটি করপোরেশন করেছে ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ, উত্তর সিটিতে মশক নিয়ন্ত্রণে ২০১৯-২০ অর্থবছরে খরচ হয়েছে ৭০ কোটি টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৫ কোটি ৫০ লাখ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫৯ কোটি ৮৫ লাখ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১০১ কোটি টাকা।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ব্যাসিলাস থুরিনজেনসিস সেরোটাইপ ইসরায়েলেন্সিস (বিটিআই) নিয়ে মার্শাল এগ্রোভেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মশার প্রজাতি ও মশার আচরণ নির্ণয় করে সঠিক ও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে গবেষণা করার জন্য চুক্তি করা হয়েছে। এ বছরের বাজেটেও মশা নিধনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সর্বস্তরের জনগণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সম্পৃক্ত হতে হবে।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে প্রতিদিনকার কার্যক্রমের মাধ্যমে ডেঙ্গুর রোগে প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হলো মশক প্রজননের আধার বিনষ্ট করা। মার্শাল এগ্রোভেট নিয়ে তিনি বলেন, আমরা কারো মাধ্যমে কীটনাশক আমদানি করি না। ২০১৯ সালের পর থেকে আমরা সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী উৎপাদনকারীর কাছ হতে সরাসরি আমদানি করি। সে প্রতিষ্ঠানও কিন্তু সরকার কর্তৃক নির্ধারিত। সেখানে সকল অনুমতি যেমন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অনুমতি, কীটনাশক যারা নিয়ন্ত্রণ করেন তাদের অনুমতি নেয়া রয়েছে এবং কীটনাশক কমিটি আমাদের যে কীটনাশক নির্ধারণ করে দেয় এর বাইরে কোনো কীটনাশক ব্যবহার করি না। শুধু আমদানিকৃত কীটনাশকের মিশ্রনটা উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে করে থাকি। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে যথাযথভাবে এবং নির্ধারিত মূল্যের চাইতে কম মূল্যে তারা কাজ পেয়েছে। আমাদের সাথে তাদের যে চুক্তি এখন পর্যন্ত আমরা সেটির কোনো ব্যত্যয় লক্ষ্য করিনি। সুতরাং অন্য কোথাও ঘটনা ঘটলেও আমাদের এখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর কোনো সুযোগ নেই।##
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সিলেটের টানা জয়ে উচ্ছ্বসিত স্বাগতিক দর্শকরা
সংবিধানে জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি লিপিবদ্ধ থাকতে হবে - সারজিস আলম
মুরাদনগরে শীতার্ত মানুষের মাঝে পীরসাহেব চরমোনাই'র পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ
লিটনকে সেরা ছন্দে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাতে চাই: প্রধান নির্বাচক
মাস্তুল ফাউন্ডেশন বিতরণ করলো ১ লক্ষ কেজি চাল
লক্ষ্মীপুরে রঙ-কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে শিশুখাদ্য, ২ ফ্যাক্টরি সিলগালা
সীমান্তে বিএসএফের কর্মকাণ্ড নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশ
উৎসব মুখর পরিবেশে পালিত হলো জাবির ৫৪ তম দিবস
২ হাজার কেজি পলিথিন জব্দ, কারখানা সিলগালা
কুষ্টিয়ায় স্কুল কমিটি নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত ৩০
জুলাই বিপ্লবে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ির চাকার পিষ্ট হয়ে নিহত মাহবুব আলমের পরিবারের পাশে তারেক রহমান
ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ষড়যন্ত্রকারী বিএনপির ক্ষতি করতে পারবে না : আমিনুল হক
যায়যায়দিন পত্রিকায় নির্বাহী সম্পাদক হলেন খুরশীদ আলম
বিধ্বংসী শতকে লিটনের জবাব, ঝড়ো সেঞ্চুরি তানজিদেরও, বিপিএলে রেকর্ড
ফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন দিনে মোট ১১ জন নিহত, আহত ৩৫
চলমান সংস্কার গতিশীল করতে হবে, যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে : মান্না
ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৬ হাজার প্রতিষ্ঠান: বিপিজিএমইএ
পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে বিএসএফের গুলি, আহত ১
ওসি মুহিবুল্লাহকে বাঁচাতে স্বজনদের মানববন্ধন
ব্র্যাক ব্যাংকের টপ টেন রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড জয় ২০২৪ সালে ১.৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স সংগ্রহ