মহাকাশে হাতুড়ি ও চাপাতি বাহিনীর কাজ কী প্রশ্ন রিজভীর
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম
সরকার দলীয় ছাত্রসমাবেশের কড়া সমালোচনা করে বিএনপি›র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ছাত্রলীগ নাকি মহাকাশ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। তাদের নেতা যদি একটু বলতেন তারা মহাকাশে গিয়ে কি করবে? হাতুড়ি ও চাপাতি বাহিনীর সেখানে কাজ কি? সেখানে তো বিশ্বজিৎ নেই। সেখানে তো আবরার নেই। তাহলে চাপাতি ও হেলমেট বাহিনী সেখানে গিয়ে কি করবে? গতকাল শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ছাত্রলীগের ছাত্র সমাবেশে শেখ হাসিনা মনে মনে বলছে তার শোনার ছেলেরা ভালো কথা বলতে পারে। কিন্তু তিনি ভাবছেনা যে তার পায়ের নিচে মাটি নেই। এতদিন তো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার নির্যাতন করেছে। এক বছরে বিএনপির ২০ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। অসংখ্য নেতাকর্মী পঙ্গু হয়েছে চোখ চলে গেছে, হাত চলে গেছে। এতদিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে কাজ হয়নি এখন ছাত্রলীগ দিয়ে করবে। সরকারের টাকা খরচ করে সারাদেশে অলিখিত হরতাল করে ঢাকায় নিয়ে আসার পরে অশ্বের ডিম ছাড়া আর কিছুই পাইনি।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের সমাবেশ হয়েছে। আমাদেরও প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে এত লোকজন হয়েছে যে সামনের রাস্তায় জায়গা হচ্ছিল না। আমাদের একদিনের প্রস্তুতি ছিল। এই যে ২৪ ঘন্টার প্রস্তুতিতে মানুষের এত উপচে পড়ার ঢল ব্যাপক তরঙ্গের সৃষ্টি হয়েছিল এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কোন রকমে কষ্ট করে আমাদের অনুষ্ঠানে এসেছিল লোকজন। আর ছাত্রলীগের সমাবেশে আসার জন্য গাড়ি ফ্রি করে দেয়া হয়েছিল। হোটেলের সিট ফ্রী করে দেয়া হয়েছিল। লঞ্চ ফ্রি করে দেয়া হয়েছিল। হলের খাবার বন্ধ করে দিয়ে সেই খাবার সোহরাওয়ার্দীতে আনা হয়েছিল ছাত্রলীগকে খাওয়াবে বলে।
রিজভী বলেন, ঢাকা শহরে এত বাস এসেছে ঢাকা শহরে জায়গা হচ্ছিল না ছাত্রলীগের সমাবেশে যে বাসগুলো এসেছে তার মধ্যে তিন চার জন করে লোক এসেছে। তার মানে হল যত লোকজন এসেছে তার চেয়ে বাস বেশি আর এই জন্যে ঢাকা শহরে জনগণের স্বাভাবিক চলাচলের বিঘœ হয়েছে। বিএনপির এই নেতা বলেন, রাষ্ট্রীয় টাকা খরচ করে সমাবেশ করে জোর করে বাস এনে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ানো যাবে কিন্তু জনগণের সাড়া পাওয়া যাবে না। দেশের জনগণ বুঝে গেছে জনগণের টাকা কিভাবে খরচ করছে তারা। জনগণের উপর ১৪০ ধারা জারি করে নিজেরা জমিদারের মত চলে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, শেখ হাসিনা তার নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে তাড়াতাড়ি তফসিল ঘোষণা করাতে চাইবে। কিন্তু আপনি মনে রাখবেন দেশের জনগণের যে দাবি সুষ্ঠু নির্বাচন ভোটের অধিকার এই দাবিকে অগ্রাহ্য করলে জনগণ সেটা মানবে না।২০১৪ এবং ১৮ সালের নির্বাচন ছিল বিতর্কিত বিশ্বের কোথাও সেই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নেই। দেশে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন আর হবে না।যেদিন তফসিল ঘোষণা করা হবে সেদিনই হবে এই সরকারের অন্তিম যাত্রা। জনগণের তীব্র আন্দোলনে নিশি রাতের সরকারের পতন ঘটবে। প্রধানমন্ত্রীর সামনে একটি রাস্তাই খোলা, সেটি হলো অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম,বিএনপি›র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পিলখানা হত্যাকাণ্ড তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস সেনাপ্রধানের
সন্ত্রাসী হামলায় সিকিউরিটি গার্ড নিহত, আহত ১০
ইবির আইন প্রশাসক হলেন ড. নুরুন নাহার
নাটকীয় জয়ে রংপুরের সাতে সাত
নতুন ফেসবুক পেইজের ঠিকানা দিলেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন
ভক্তদের হঠাৎ কি বার্তা দিলেন ঢালিউড কুইন শাবনূর?
পেকুয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান কারামুক্ত
ধ্বংস হওয়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনের জন্যই ৩১ দফা কার্যকর প্রয়োজন: আমিনুল হক
বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা জানাল ভারত
হাসিনার এপিএস লিকুর ১৫০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, দুদকের ৪ মামলা
মারের কোচিংয়ে জোকোভিচের প্রথম জয়
উত্তরখানে ভূয়া পুলিশ গ্রেফতার
মাত্র ৯৫ দিনে মুহিব্বুল মুরসালিন খানের পবিত্র কুরআন হিফয সম্পন্ন
চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
হাজীগঞ্জে ননদ ভাবির ঝগড়া থামাতে গিয়ে বাবার মৃত্যু
মাসরুর আরেফিন পুনরায় সিটি ব্যাংকের এমডি
নতুন বছরে টেকনোর অসাধারণ অফার
‘১৫ জানুয়ারি ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ'র ঈসালে সাওয়াব মাহফিল সফল করুন’
মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে চায় বাংলাদেশ
বিদ্যালয়ের পাশে হাসপাতালের আবর্জনা, মালিককে অর্থদণ্ড