রোড মার্চে জনতার সুনামি হবে
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৪৬ পিএম | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম
আগামী ৫ অক্টোবর এক দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিভাগে বিএনপির রোডমার্চে জনতার সুনামি সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, জনতা এ সরকারের পতন ঘণ্টা বাজাবে।
গতকাল বুধবার নগরীর কাজির দেউড়ির নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভোট চোরদের উপর তী² দৃষ্টি রাখার আহŸান জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, বিএনপির যে রোডমার্চ সেটার মূল লক্ষ্য হচ্ছে এক দফা দাবি আদায়। এক দফা হচ্ছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ। নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। তার মাধ্যমে দেশে একটি নির্বাচিত সংসদ হবে, সরকার হবে। যে সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহি থাকবে, দায়বদ্ধ থাকবে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রোডমার্চে কুমিল্লায় একটি বড় জনসভা হবে ও চট্টগ্রামেও একটি জনসভা হবে। মাঝখানে যেগুলো হবে সেগুলো পথসভা। আমাদের পথসভাগুলো জনসভার মতই। আমরা বগুড়া থেকে যখন যাচ্ছিলাম পথসভাগুলো জনসভায় রূপ নিয়েছিল। রাস্তাঘাট সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আশেপাশে দোকানপাট, মানুষের বাড়িঘর এমন অবস্থা সেগুলো জনসভা থেকে বেশি হয়ে গিয়েছিল। কাল থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে, ঝড় তুলতে হবে। আগামী ৫ অক্টোবর হবে সুনামি। চট্টগ্রাম আগেও ঝড় তুলেছে। এবারও ঝড় তুলতে পারবে। এ ঝড়ে ফ্যাসিস্ট সরকার উড়ে যাবে।
বাংলাদেশের জেল নিয়ে জনগণের মনে প্রশ্ন জেগেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। উনাকে বিনা বিচারে, মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে ভোট চুরি প্রকল্পের অংশ হিসেবে জেলে নিয়ে গিয়েছিল। এখন বাড়িতে আটকে রেখেছে। বাংলাদেশের জেলখানায় বর্তমানে কি হচ্ছে সে ব্যাপারে জনগণের সন্দেহ জেগেছে। বেগম খালেদা জিয়ার শরীর কি পর্যায়ে এভাবে এসেছে, এটা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। অনেকেই জেলখানায় মারা যাচ্ছেন। অনেকে জেলখানা থেকে বের হয়ে মারা যাচ্ছেন। তাহলে বাংলাদেশের জেলের ভেতরে কি হচ্ছে? এই প্রশ্নগুলো জনমনে এসেছে আজ।
তিনি বলেন, বেগম জিয়ার জেলে যাওয়ার পর থেকে প্রত্যেক ঘণ্টা, দিন, সপ্তাহ ও মাস আপনাদের বুঝিয়ে দিতে হবে। তিনি কি অবস্থায় ছিলেন, ওনার শরীর কি কারণে এই অবস্থায় এসে দাঁড়াল এটাও আপনাদের বুঝিয়ে দিতে হবে। কড়ায় গন্ডায় প্রতিটি ক্ষণের হিসাব নেওয়া হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, বাংলাদেশের জনগণের মুখে এখন একটাই সেøাগানÑ ‘এক দফা এক দাবি, হাসিনা তুই কবে যাবি।’ এই সেøাগান এখন প্রত্যেক ঘরে ঘরে। আমাদের এক দফার আন্দোলন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ও তারেক জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা আন্দোলনে এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হতে হবে। শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে। শেষ পর্যন্ত লড়তে হবে। আমরা প্রয়োজনে প্রতিরোধ করব। জীবন দিয়ে হলেও এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। দুর্নীতিবাজদের এদেশ থেকে বিতাড়িত করব।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করেনি, দুর্নীতি, লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকেও ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার বিদ্যুৎ নিয়ে অনেক ঢাকঢোল পিটিয়েছে। কিন্তু আজকে সারাদেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত। বাংলাদেশ এখন চরম সঙ্কটে পতিত হয়েছে। এ সঙ্কট থেকে উদ্ধার করতে হলে অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারকে পতন করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেন, সরকার দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে হত্যা করে দেশবাসীকে উন্নয়নের কথা বলছে। মূলত তারা উন্নয়নের নামে দুর্নীতি লুটপাটে ব্যস্ত। আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় বসে মানুষের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আজকে মানুষের ভোটাধিকার নাই। বিগত দুটি নির্বাচনে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারিনি। আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকার আবার নতুন খেলা শুরু করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, বাংলাদেশের অস্তিত্বের সঙ্কট চলছে। ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। স্বাধীনতার মূল চেতনা ধ্বংস করেছে। প্রতিনিয়ত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নষ্ট করছে। নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে। জনগণ নির্বাচন বিমুখ হয়ে গেছে।
এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভ‚ঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ য়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় বিএনপির উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক মিসেস ম্যা মা চিং, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, হারুন অর রশিদ, রেহেনা আকতার রানু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহŸায়ক আবু সুফিয়ান, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ ভ‚ঁইয়া, কক্সবাজার জেলা সভাপতি শাহাজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ফেনী জেলা বিএনপির আহŸায়ক শেখ ফরিদ বাহার, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপেন তালুকদার দিপু, ল²ীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাবুদ্দীন সাবু, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান।
২ গ্রূপের মারামারি
প্রস্তুতি সভা চলাকালে সভাস্থল দলীয় কার্যালয় মাঠে বিএনপির দুই গ্রæপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত আট জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক এনামুল হক এনাম গ্রæপ ও সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান গ্রæপের কর্মীদের মধ্যে এ মারামারি হয়। এ সময় মোস্তাক আহমদ খানকে লাঞ্ছিত করেন এনাম গ্রæপের কর্মীরা। তবে এতে সভা পরিচালনা করতে কোনো সমস্যা হয়নি বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জুলাই বিপ্লবে আহত ১৪ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হচ্ছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ পদে এখনো ভারতীয়রা
ভারতে নির্যাতনের ভিডিও বাংলাদেশের সা¤প্রতিক ঘটনা হিসেবে প্রচার
দাদাবাড়ি বেড়াতে এসে খুন হলো শিশু সাফওয়ান, আটক ২
নরসিংদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে লক্ষ্য করে বালুদস্যুদের গুলিবর্ষণ
নরসিংদীতে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মানববন্ধন
রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
আখাউড়ায় মর্টার সেল উদ্ধার
রাজবাড়ীতে আ.লীগ দুই নেতা কারাগারে
কমলগঞ্জে ৮২ শতক সরকারি খাস জমি উদ্ধার
প্রিমিয়ার ভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন চসিক মেয়র
কুষ্টিয়ায় প্লাইউড বোর্ড কারখানায় আগুন
বিএনপি নেতা কায়কোবাদের দারুল উলূম হাটহাজারীসহ বিভিন্ন মাদরাসা পরিদর্শন
মাদারীপুরে পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত
গফরগাঁও সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
ময়মনসিংহে পুলিশ রেঞ্জ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন
নওফেল পরিবারের ২৫টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
নিজ বাড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত বন্ধুদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ
ট্রাভেল ব্যান্ড হ্যালির ধুমকেতুর দুই গান