পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:১১ পিএম | আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৬ এএম
ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩-এর খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মতামত চেয়ে সার-সংক্ষেপ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী সার-সংক্ষেপটি অনুমোদন দিয়েছেন এবং ‹আইনের খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক মতামত প্রদান সংক্রান্ত কমিটিার নিকট উপস্থাপনের সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। প্রণয়নের লক্ষ্যে বর্ণিত আইনের খসড়ার উপর মতামত প্রদানের জন্য ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩›-এর খসড়া আইনের খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক মতামত প্রদান সংক্রান্ত কমিটি›র নিকট উপস্থাপন করা হচ্ছে। আগামী মঙ্গলাবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩-এর খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা পূর্বক মতামত প্রদান সংক্রান্ত আন্ত:মন্ত্রণালয় কমিটি›র সভায় ডাকা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ এনামুল আহসান স্বাক্ষরিত নোটিশ আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আইনের খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা পূর্বক মতামতসহ চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য যে কোনো সময় মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন স্বাক্ষরিত সার-সংক্ষেপ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়।
এদিকে উপাত্ত সুরক্ষা আইন-২০২৩-এর খসড়া এখনও ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার চেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রণমূলক। এখনও উদ্বেগের অনেক জায়গা রয়েছে বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০১৩›-এর খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মতামত প্রদান সংক্রান্ত কমিটি›র জন্য সার-সংক্ষেপ পাঠানো হলো। সার-সংক্ষেপ বলা হয়, রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, সরকারি, বেসরকারি সকল শিল্প কারখানার প্রক্রিয়া ও উদ্ভাবনী তথ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত দেশীয় প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির গোপনীয় তথ্যের সুরক্ষা দেয়া প্রয়োজন। উপাত্ত সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, ব্যবহার বা পুনঃব্যবহার, হস্তান্তর, প্রকাশ, বিনষ্টকরণ ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধান করার আবশ্যকতা এবং উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত কার্যাবলি তত্ত্বাবধান ও পরিবীক্ষণের জন্য বিদ্যমান প্রশাসনিক ব্যবস্থায় একটি নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা স্থাপন করার প্রয়োজনীয়তার আলোকে এ সম্পর্কিত আইন প্রণয়ন এবং এর প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক ‹ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩ -এর একটি খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। আইনটি প্রণীত হলে উপাত্ত সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত বা ধারণ, অভিযোজন, পরিবর্তন, প্রত্যাবর্তনসহ অন্যান্য বিষয়ের নিশ্চয়তা প্রদানের মাধ্যমে দেশের ডিজিটাল সেক্টরের উন্নয়নের পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন›-এর খসড়া প্রণয়নের কাজ সেপ্টেম্বর, ২০২০ সালে শুরু করা হয়। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সময়ে সভা, কর্মশালা, একাধিকবার ওয়েবসাইটে প্রদর্শনের মাধ্যমে সর্বসাধারণের মতামত গ্রহণ, বিভিন্ন আশীজনের, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ ও সিভিল সোসাইটির সাথে আলোচনার ভিত্তিতে মতামত গ্রহণ এবং সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খসড়াটি সংশোধন করা হয়। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা প্রস্তাবিত আইনের খসড়া পর্যালোচনা করে পরামর্শ প্রদান করেছেন।
ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩-এর খসড়া পরিমার্জন করে চূড়ান্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‹বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষ› কর্তৃক প্রমিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে অংশীজন মতবিনিময়ের মাধ্যমে আইনটির খসড়া পুনরায় পরিমার্জন করা হয়। খসড়া ‹ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩-এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য গুলো হচ্ছে, উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত কার্যাবলি তত্ত্বাবধান ও পরিবীক্ষণের জন্য বিদ্যমান প্রশাসনিক ব্যবস্থায় একটি নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা স্থাপন নিশ্চিত করা, জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণা এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে উপাত্তের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কোনো ব্যক্তির উপাত্ত সুরক্ষা ও উহার প্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত কার্যাদি নিয়ন্ত্রণ ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান করা, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত উপাত্ত সুরক্ষার নীতিসমূহ অনুসরণক্রমে বৈশ্বিক পরিম-লে মুক্ত বাণিজ্যের প্রসার ও বিস্তৃতি ঘটানোর ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত উপাত্তের ব্যবহার নিশ্চিত করা। গত বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে ‘খসড়া উপাত্ত সুরক্ষা আইন-২০২৩-এর ত্রুটিপূর্ণ বিধানসমূহের ওপর পর্যালোচনা ও সুপারিশ’ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, খসড়ায় ব্যক্তিগত তথ্যের সংজ্ঞা পরিষ্কার নয়। ক্ষমতা থাকলেই কোনটাকে ব্যক্তিগত বলব আর কোনটাকে বলব না, সেই এখতিয়ার যেন আইনে না দেওয়া হয়। ব্যক্তিগত তথ্যের সংজ্ঞা স্পষ্ট থাকতে হবে। নয়তো অপব্যবহার ও উদ্দেশ্যমূলক ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রস্তাবিত খসড়ায় উপাত্ত সুরক্ষা বোর্ড গঠন করার কথা বলা হয়েছে। এ বোর্ড সরকারই গঠন করবে। এই বোর্ডকে সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হতে হবে। তিনি বলেন, সরকারের হাতেই যদি নিয়ন্ত্রণ থাকে, তা হলে সরকার যখন ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার করবে, যা অসম্ভব নয়, তখন পরিত্রাণ পাওয়ার সুযোগ থাকবে না। কারণ কর্তৃত্ব সরকারের হাতেই থাকবে। এটা স্বার্থের দ্বন্দ্ব।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জুলাই বিপ্লবে আহত ১৪ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হচ্ছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ পদে এখনো ভারতীয়রা
ভারতে নির্যাতনের ভিডিও বাংলাদেশের সা¤প্রতিক ঘটনা হিসেবে প্রচার
দাদাবাড়ি বেড়াতে এসে খুন হলো শিশু সাফওয়ান, আটক ২
নরসিংদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে লক্ষ্য করে বালুদস্যুদের গুলিবর্ষণ
নরসিংদীতে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মানববন্ধন
রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
আখাউড়ায় মর্টার সেল উদ্ধার
রাজবাড়ীতে আ.লীগ দুই নেতা কারাগারে
কমলগঞ্জে ৮২ শতক সরকারি খাস জমি উদ্ধার
প্রিমিয়ার ভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন চসিক মেয়র
কুষ্টিয়ায় প্লাইউড বোর্ড কারখানায় আগুন
বিএনপি নেতা কায়কোবাদের দারুল উলূম হাটহাজারীসহ বিভিন্ন মাদরাসা পরিদর্শন
মাদারীপুরে পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত
গফরগাঁও সাবেক এমপি বাবেল গোলন্দাজ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
ময়মনসিংহে পুলিশ রেঞ্জ কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের উদ্বোধন
নওফেল পরিবারের ২৫টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
নিজ বাড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত বন্ধুদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ
ট্রাভেল ব্যান্ড হ্যালির ধুমকেতুর দুই গান