নারী সার্জেন্টকে মারধরের মামলায় মা-মেয়ে কারাগারে
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫১ পিএম | আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম
অবৈধ পার্কিংয়ের দায়ে একটি প্রাইভেটকারকে মামলা দেওয়ায় একজন নারী সার্জেন্ট হেনস্তা ও মারধরের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রাইভেটকারের মালিক পক্ষের দিলারা আক্তার (৫০) ও তার মেয়ে তাসফিয়া ইসলামকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী নারী সার্জেন্টের নাম হাসিনা খাতুন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন শিয়া মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার হাসিনা আক্তার এ ঘটনায় বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে দিলারা ও তার কন্যা তাসফিয়াকে গতকাল বুধবার আদালতে পাঠায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সার্জেন্ট হাসিনা খাতুন বলেন, গত মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত শিয়া মসজিদ ক্রসিং এলাকায় আমার ডিউটি চলছিল। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তাজমহল রোডে রং পার্কিং করা দুটি প্রাইভেটকারকে প্রতিবন্ধকতার মামলা দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর ঢাকা মেট্রো-গ-৪২-১৩০১ মালিক দিলারা আক্তার গাড়িতে কেন ৫ হাজার টাকার মামলা দিয়েছি সে বিষয়ে আমার কাছে জানতে চায়। পরে আমি তাকে বডি ওয়ার্ন ক্যামেরা থেকে রং পার্কিংয়ের ভিডিও দেখিয়ে বিষয়টি বুঝিয়ে বলি। এসময় তিনি ‘ কেন তুই আমার গাড়িতে মামলা দিলি’ -একথা বলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে পুলিশ বক্স থেকে বেরিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর তার মেয়ে তাসফিয়া ইসলাম এসে আমার কাছে ভিডিও দেখতে চায়, আমি তাকেও ভিডিও দেখাই । কিন্তু তারা সে বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে ও মা মেয়ে মিলে আমাকে কিল, ঘুষি, চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। আমার মুখ শরীরে বিভিন্ন জায়গায় খামচি দিয়ে জখম করে। তারা আমার ওয়াকি টকি বডি ওয়ার্ন ক্যামেরা রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেয় এবং আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেয়, সেটি এখনো পাওয়া যায়নি। পরে আমার সঙ্গে ডিউটিরত দুই কনস্টেবল এসে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করলেও তারা আরো চড়াও হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে।
সার্জেন্ট আরো বলেন, পরে ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ আসে। থানা পুলিশ আসার পরে তাদের ওপরেও চড়াও হয় মা মেয়ে। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে তাদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় মোহাম্মদপুর থানায়। এরপর আমি বাদী হয়ে তাসফিয়া ইসলাম ও তার মা দিলারা আক্তারের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করি। পরে আমি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রাইভেটকারটির মালিক দিলারা আক্তার। তার স্বামী মফিজুল ইসলাম একটি সরকারি ব্যাংকের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। প্রাইভেটকারটি স্ত্রীর নামে। এ দম্পতির কন্যা তাসফিয়া ইসলাম। তাসফিয়া বিদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। ঘটনার সময় তাসফিয়া পুলিশের সঙ্গে খুবই দুর্ব্যবহার করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক ভূঞা বলেন, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ এলাকায় ডিউটিরত পুলিশ অফিসারের গায়ে এভাবে তারা কোনভাবেই হাত দিতে পারে না।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
অবিবেচকভাবে ভ্যাট বৃদ্ধি করা হয়েছে: ড. দেবপ্রিয়
‘উন্নয়নের অংশীদার, প্রবাসীরাও দাবিদার’ শ্লোগানে রিয়াদে প্রবাস মেলা’র ১১ বর্ষে পদার্পণ উদযাপন
এবার বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস গ্রেপ্তার
হিলিতে ব্যাডমিন্টন ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে
ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএফডির সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চান না
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি: দোয়া চাইলেন তারেক রহমান
মাঘের শুরুতে আবার আসছে শৈত্যপ্রবাহ
আজহারীর মাহফিলের আগের রাতেই মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ
আজ ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে করাচিতে
পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইকালে বিদেশি অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ নেতা আটক
ফ্যাসিস্টের দোসর সোহানা সাবা পেল ভারতে বড় দায়িত্ব
সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে অসন্তোষ বিএনপির
মাগুরার শ্রীপুরে কৃষক দলের বিশাল কৃষক সমাবেশ
ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী?
টানা তৃতীয় বছরের মতো চীনের জনসংখ্যা কমল
নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় ড্রেজারসহ ৬ জন গ্রেফতার
টিউলিপের পতন, এক রাজনৈতিক অধ্যায়ের অবসান
অভিষেকের আগে শি জিনপিংকে ট্রাম্পের ফোন
সিরিয়ায় আটক নাগরিকদের দেশে বিচার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ফ্রান্স
বিশ্ব ইজতেমার ৭০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন : ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার