সউদী আরবে বিস্তার ঘটছে নতুন জাতীয়তাবাদের
০১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
সউদী আরব একটি জাতীয়তাবাদী রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যেতে শুরু করেছে। সউদী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) তার দেশকে তেল রপ্তানীকারক থেকে একটি বৈচিত্র্যময় অর্থনীতির একটি প্রধান ভূ-রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে বড়মাপের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সম্প্রতি সউদী আরব ইরানের সাথে চীনের মধ্যস্থতায় একটি সমঝোতায় সম্মত হয়েছে। দেশটি কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সাথে আলোচনায় প্রবেশ করেছে, প্রধান উদীয়মান অর্থনীতির ব্রিকস জোটে যোগ দিয়েছে এবং ইয়েমেনে যুদ্ধ শেষ করার প্রচেষ্টা শুরু করেছে।
সউদী আরব অভ্যন্তরীণভাবেও এমবিএস-এর অধীনে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ এবং একত্রীকরণ অন্তর্ভুক্ত করে একটি বড় পরিবর্তন অনুসরণ করেছে। বিশেষ করে সহিংস ইসলামপন্থীদের কট্টর মতবাদ দমন এবং একটি বিকল্প রাজনৈতিক মডেল উপস্থাপন করতে সউদী ইতিহাস এবং স্কুল পাঠ্যক্রমে সংশোধন এনেছে। ইতিমধ্যে, দেশটি সউদী আরব কার্বনহীন শহর নিওম এর বেশ কয়েকটি ‘মহা প্রকল্প› চালু করেছে, আন্তর্জাতিক খেলাধুলায় (বিশেষ করে গল্ফ এবং সকার) ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে এবং তার দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক চাহিদার সাথে আরও সংগতিপূর্ণ একটি তেল-উৎপাদন নীতি গ্রহণ করেছে।
এমবিএস সউদী আরবের পূর্বেকার কট্টর ইসলামবাদের অনুমোদনকে আংশিকভাবে এবং ইরানে ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের দ্বারা সৃষ্ট হুমকিকে একটি গুরুতর ভুল হিসাবে বিবেচনা করেন। স্থিতিশীলতা বাড়ানোর পরিবর্তে, এটি মুসলিম ব্রাদারহুড, আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের মতো কট্টরপন্থী ইসলামপন্থীদের মতো শত্রু তৈরি করেছে, যারা অবশেষে আল সউদী রাজবংশের শাসনের অবসান ঘটাতে চাইছে। এমবিএস বিশ্বাস করেন যে, রাজবংশের শাসন নিশ্চিত করার উপায় হিসাবে ধর্মের পরিবর্তে জাতীয়তাবাদের উপর নির্ভর করা উচিত ছিল।
একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে এমবিএস বলেছেন যে, তিনি সউদীু আরবকে বিশ্বের দশটি বৃহত্তম অর্থনীতির একটিতে পরিণত করতে চান। উল্লেখ্য যে, দেশটি ইতিমধ্যেই জি২০ এর সদস্য, সম্প্রতি ১৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। তিনি এমনকি যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নকরণ এবং নতুন শাসন ব্যবস্থা স্থাপনের চেষ্টা এই সময়ে একটি বিশ্বব্যাপী উদারনৈতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পক্ষে।
এমবিএস জাতীয় নিরাপত্তা এবং কৌশলগত ক্ষেত্রে এমবিএস দৃঢ়ভাবে মার্কিনপন্থী হলেও, তিনি একই সাথে যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং ভারত তিনটি দেশের প্রতিটির সাথে শক্তিশালী বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন, যা সম্ভবত একবিংশ শতাব্দীকে রূপ দেবে। সউদী সামরিক বাহিনী মূলত যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা সজ্জিত এবং প্রশিক্ষিত। এমবিএস-এর সাম্প্রতিক পররাষ্ট্রনীতির পদক্ষেপগুলি বলছে যে, তিনি একটি ব্যতিক্রমী চ্যালেঞ্জিং ভূ-রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে পারদর্শী হয়ে উঠছেন। সূত্র: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান
ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল
অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের
গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা
রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি
বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান
২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৪৭
প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
শক্তিশালী অর্থনীতি ও গর্বিত জাতি গড়তে শহীদ জিয়ার দর্শন ধারণ করতে হবে : আমির খসরু
কী আছে তৌফিকার লকারে?
ঘটনার তিনদিন পর থানায় মামলা
অনিয়ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের পাঁয়তারা
শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দুরবস্থা
৯৬টি সিএনজি ভাঙ্গাড়ি হিসাবে সাড়ে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি
৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে রূপগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ