ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে
০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম
ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ, নীতি ও দর্শন বর্তমান বিশ্বের জঙ্গীবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ দমনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ বন্ধে মহাত্মা গান্ধীর শান্তি ও সম্প্রীতিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু ও মহাত্মা গান্ধী উভয়ে অসাস্প্রদায়িক নেতা। তাদের মতাদর্শ বিশ্বের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। আজ বাংলাদেশে মহাত্মা গান্ধীকে স্মরণ হয়। এটা কেবল অহিংস ও শান্তির বাণীর কারণে। এতে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সুদৃঢ় হচ্ছে। ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। গতকাল সোমবার নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মহাত্মা গান্ধীর ১৫৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে তিন দিনের আন্তর্জাতিক যুব শান্তি ক্যাম্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল সোমবার ভোরে সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নে অবস্থিত গান্ধী আশ্রমে প্রভাত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিবসটির শুরু করা হয়। পরে গান্ধী আশ্রম মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব) জীবন কানায় দাস এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই-কমিশনার শ্রী প্রণয় ভার্মা, নোয়াখালী-১ আসনের সাংসদ এইচ এম ইব্রাহিমসহ অনেকে।
আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবিব। অন্যদের মধ্যে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যাহ খান সোহেল, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন।
শেষে গান্ধী আশ্রম প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী এবং মহাত্মা গান্ধীর ১৫৫তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে নোয়াখালীতে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক যুব পিস ক্যাম্পের সমাপনিও ঘোষণা করা হয়। ক্যাম্পে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সহ ১২টি দেশের ৩৫০জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৪৬ সালের অক্টোবরে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার সর্বত্র সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ঙ্কর সেই দাঙ্গার পর মহাত্মা গান্ধী ‘শান্তি মিশনে’ নোয়াখালীতে ছুটে আসেন। ১৯৪৭ সালে অহিংস ও সম্প্রীতির বার্তা দিতে জয়াগে গান্ধী আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। আশ্রমটি ৭৫ বছর পর আজও নিজের অস্তিত্ব ধরে রেখে শান্তি প্রতিষ্ঠা, সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রেখে যাচ্ছে। পাশাপাশি সংস্থাটি দারিদ্র বিমোচন ও সামাজিক উন্নয়নেও কাজ করে চলেছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান
ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল
অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের
গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা
রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি
বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান
২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৪৭
প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
শক্তিশালী অর্থনীতি ও গর্বিত জাতি গড়তে শহীদ জিয়ার দর্শন ধারণ করতে হবে : আমির খসরু
কী আছে তৌফিকার লকারে?
ঘটনার তিনদিন পর থানায় মামলা
অনিয়ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের পাঁয়তারা
শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দুরবস্থা
৯৬টি সিএনজি ভাঙ্গাড়ি হিসাবে সাড়ে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি
৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে রূপগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ