শ্বশুরের কাটা মাথার খোঁজে পুত্রবধূকে নিয়ে তল্লাশি
০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম
চট্টগ্রামে আলোচিত মো. হাসান আলী হত্যার ঘটনায় তার পুত্রবধূ আনারকলিকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। তবে এখনও পর্যন্ত হাসান আলীর বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করা যায়নি। আনারকলিকে নিয়ে গতকাল সোমবার দ্বিতীয় দিনের মত পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় মাথার খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় হাসান আলীকে তার পুত্র শফিকুর রহমানের ইপিজেড থানার আকমল আলীর বাসায় এনে শ^াসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর তার দুই পুত্র শফিকুর রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমান মিলে লাশ ১০ টুকরো করে। ১২ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে আট টুকরো এবং আকমল আলী রোডের একটি নালা থেকে শরীরের অংশ উদ্ধার করে পিবিআই। তবে খ-িত মস্তকটি উদ্ধার করা হয়নি।
আগেই হাসান আলীর স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম ও পুত্র মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়ে পিতা হত্যার দায় স্বীকার করে লোমহর্ষক খুনের বর্ণনাও দেন মোস্তাফিজ। মোস্তাফিজ জানায়, খ-িত মস্তকটি একটি শপিং ব্যাগে ভরে তার ছোট ভাই শফিক পতেঙ্গা এলাকায় ফেলে দেয়। শফিকের স্ত্রী আনারকলিকে গ্রেফতারের পর সেও ঘটনা স্বীকার করে। তাকে নিয়ে রোববার দিনভর পতেঙ্গা সৈকতে তল্লাশি অভিযান চালায় পিবিআই। গতকাল দ্বিতীয় দিনের মত তল্লাশি করেও মাথাটি পাওয়া যায়নি বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান। তিনি বলেন, কাটা মাথা উদ্ধারে পতেঙ্গা সৈকতে অভিযান চালানো হয়। গত শুক্রবার হাসান আলী হত্যা মামলায় তার পুত্রবধূ আনারকলিকে কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পরদিন শনিবার আদালতে হাজির করলে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। পিবিআই জানায়, আনারকলি হাসান হত্যাকা-ে সরাসরি জড়িত নয়। তবে তিনি হত্যার আলামত গোপনে সহযোগী। প্রথমে তাকে নিয়ে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত ধারালো দা বাসার পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আনারকলি দাবি করেন, তার বাসায় স্বামী ও ভাসুর মিলে শ^শুরকে হত্যা করলেও হত্যাকা-ের সময় তিনি বাসায় ছিলেন না। এ বিষয়টি তার স্বামীও তার কাছে গোপন রাখেন। তবে শ^শুরের লাশ হাত-পা বেঁধে বস্তায় ঢোকানোর সময় আনারকলি তা দেখে ফেলেন। এরপর স্বামীর কথামতে, লাশ কেটে গুম করার জন্য দামা এবং স্কচ টেপ এনে দেন।
আনারকলি জানায়, লাশ কাটার সময় তিনি পাশের বাসায় চলে যান। পরে লাশের আটটি টুকরো তার ট্রাভেল ব্যাগে ঢুকানো হয়। কাটা মাথাটি ঢুকানো হয় একটি শপিং ব্যাগে। গলা থেকে উরু পর্যন্ত অংশ বস্তায় ভরে ফেলা হয় বাসার পাশের নর্দমায়। হত্যাকা-ের পরদিন স্বামীর সাথে গিয়ে পতেঙ্গা সৈকতে কাটা মাথাটি পাথরের ফাঁকে ফেলে কক্সবাজার পালিয়ে যান আনারকলি। আনারকলি দাবি করেন, হত্যাকা-ে তিনি জড়িত ছিলেন না। তবে নিজের এক বছর বয়সী সন্তান ও স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়ে তিনি স্বামীর কথামতে শ^শুরের লাশ গুমে সহযোগিতা করেছেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান
ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল
অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের
গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা
রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি
বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান
২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৪৭
প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
শক্তিশালী অর্থনীতি ও গর্বিত জাতি গড়তে শহীদ জিয়ার দর্শন ধারণ করতে হবে : আমির খসরু
কী আছে তৌফিকার লকারে?
ঘটনার তিনদিন পর থানায় মামলা
অনিয়ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের পাঁয়তারা
শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দুরবস্থা
৯৬টি সিএনজি ভাঙ্গাড়ি হিসাবে সাড়ে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি
৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে রূপগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ