আরো ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৫৯৬
০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একদিনে সারাদেশে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল এক হাজার ১৭ জনে। একই সময়ে নতুন করে আরও দুই হাজার ৫৯৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত মারা যাওয়া ১১ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা সাতজন এবং ঢাকার বাইরের চারজন। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৫৯৬ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬০৭ জন এবং ঢাকার বাইরের এক হাজার ৯৮৯ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ আট হাজার ৮৮৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮৪ হাজার ৪৫৮ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ ২৪ হাজার ৪২৬ জন। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক লাখ ৯৮ হাজার ৫৮৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮০ হাজার ৬৮৩ জন এবং ঢাকার বাইরের এক লাখ ১৭ হাজার ৯০১ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নয় হাজার ২৮৩ জন ডেঙ্গুরোগী। তাদের মধ্যে ঢাকায় তিন হাজার ১২০ জন এবং ঢাকার বাইরে ছয় হাজার ১৬৩ জন।
দেশে প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয় ২০০০ সালে। এরপর থেকে প্রতিবছর বর্ষাকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, রাজধানীসহ সারা দেশের হাসপাতালগুলোয় মূল রোগী ডেঙ্গু। ডেঙ্গু রোগীর চাপে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। আক্রান্ত প্রিয়জনদের হাসপাতালে ভর্তির আকুতি চোখে পড়ার মতো। আগে যেখানে এককভাবে ঢাকায় প্রায় সব সংক্রমণ হতো এখন ঢাকা সিটি চাপা পড়ে গেছে ঢাকার বাইরের ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যায়। মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে রেকর্ড করেছে। সিটি করপোরেশনগুলো নানা ব্যবস্থা নেয়া সত্ত্বেও রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যুর রাশ টানা যাচ্ছে না। এতদিন মহানগরীগুলোর মানুষ ডেঙ্গু ঝুঁকিতে ছিল। সব জেলায় ছড়িয়ে পড়ায় এখন ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী হলো ১৬/১৭ কোটি।
সেই ২০০০ সালে যে প্রথম ব্যাপকহারে ঢাকায় ডেঙ্গু হলো তারপর ২২ বছর কেটেছে, এখনো আমরা ডেঙ্গুর কাছে হেরে যাচ্ছি, এডিস মশা আমাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে, তার বিরুদ্ধে আমরা একটা নিয়ন্ত্রণ কাঠামো গড়ে তুলতে পারলাম না দুই দশকেও। তিনি বলেন, যখন ডেঙ্গু অনেক বেড়ে যায়, মিডিয়ায় হইচই শুরু হয়, তখন স্থানীয় সরকার, সিটি করপোরেশনের বাড়তি কিছু উদ্যোগ দেখা যায়। কিন্তু ততদিনে যা হওয়ার তা হয়েই যায়।
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ডেঙ্গু নগরায়ণের রোগ, বিশেষত অপরিকল্পিত নগরায়ণের। আমাদের নগরায়ণের উপাদানের মধ্যে আছে এডিস মশার প্রজনন স্থান। পাকা বাড়িঘর ও অন্যান্য স্থাপনা তৈরির সময় জমে থাকা স্বচ্ছ পানি এডিস মশার আঁতুড়ঘর। নগরায়ণে গাড়ির চাকা বেশি ঘোরে, টায়ার পুরনো হয়, ফেলে রাখা পুরনো টায়ারে দিব্যি ঘর-সংসার পাতে এডিস মশা। ###
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান
ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল
অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের
গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা
রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি
বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান
২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৪৭
প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
শক্তিশালী অর্থনীতি ও গর্বিত জাতি গড়তে শহীদ জিয়ার দর্শন ধারণ করতে হবে : আমির খসরু
কী আছে তৌফিকার লকারে?
ঘটনার তিনদিন পর থানায় মামলা
অনিয়ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের পাঁয়তারা
শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দুরবস্থা
৯৬টি সিএনজি ভাঙ্গাড়ি হিসাবে সাড়ে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি
৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে রূপগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ