শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অব্যবস্থাপনা : অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের যাত্রীদের দুর্ভোগ

ইনকিলাব

০৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০২ এএম

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের অব্যবস্থাপনা চরমে। চেকিং মেশিন নষ্ট হওয়াসহ নানা সমস্যায় সাধারন যাত্রীরা হয়রানির শিকার হলেও দ্রæত প্রতিকারের কোন উদ্যোগ নেই। অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের অব্যবস্থাপনা দেখারও তেমন কেউ নেই। বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার সময় অনেক যাত্রীই সমস্যায় পড়েন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রæত প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহন করতে না পারায় সাধারন যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়। এ সময় অনেকেই প্রতিকার চেয়েও দীর্ঘ সময়ে কোন সহযোগিতা পাননি সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাচ্ছেন এমন একজন যাত্রী অভিযোগ করেন, প্রতিদিন গড়ে আড়াই হাজার বিমান যাত্রী অভ্যন্তরীণ রুটে ঢাকা ছাড়েন। অথচ অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীদের সেবা অত্যন্ত নি¤œমানের। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটার ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তিনি বিমানবন্দরে উপস্থিত হন। কিন্তু বেলা ৩টায় বিমানে উঠার আগে লাগেজ চেকিং করতে গেলেই ঘটে বিড়ম্বনা। তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের দু’টি চেকিং মেশিনে দুটিই নষ্ট বলে জানানো হয়। দীর্ঘ সময় এ নিয়ে যাত্রীদের হয়রানীতে পড়তে হয়। শিশু ও বৃদ্ধদের ভোগান্তিপোহাতে হয়। দ্রæত সমস্যা সমাধানের জন্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগীরা বলেছেন, কাউন্টারে যারা থাকেন তারা বেশিরভাগ সময় মোবাইল বা টেলিফোনে ব্যস্ত থাকে। একটি ফোন এলে ১০-১৫ মিনিটের আগে ফোন রাখছে না। অহেতুক কথা বলছে। এ নিয়ে যাত্রীরা প্রতিবাদ করলেও ভোগান্তির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। তারা কাউকে পরোয়া পর্যন্ত করছে না। এ ব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। তাই তাদের বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।

বিভাগ : জাতীয়