তথ্যমন্ত্রী

এটি কোনো বিচারকের ভাষা হতে পারে না

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১২ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ এএম

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমি পত্রিকায় দেখেছি, আমি আইনজীবী না হলেও আমার বাবা-মা ও শ্বশুর আইনজীবী। আমিও কয়েকদিন আইন কলেজে ঘোরাঘুরি করেছি। আইনজ্ঞদের সঙ্গে আমারও কথাবার্তা হয়, তাদের মতে, এটি কোনো বিচারকের ভাষা হতে পারে না। অথচ বিচারপতি বিচার কাজের সময় এমন ভাষা ব্যবহার করেছেন।

গতকাল বুধবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলমান বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরাম নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। হাইকোর্টে অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমানের জামিন শুনানিতে একজন বিচারপতির বক্তব্য নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। বিচারকের দেশকে তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি সংবাদটি কিছু পত্রপত্রিকায় দেখেছি এবং কিছু টেলিভিশেনেও এ সংবাদটি প্রচারিত হয়েছে। আমি একজন আইনজীবী পরিবারের সদস্য। সেজন্য মাঝেমধ্যে আইনজ্ঞদের সঙ্গে আমার কথা হয়। তাদের মতে এটি কোনো বিচারিক ভাষা বা বিচারকের ভাষা হতে পারে না। বিচারকার্য চলাকালে বিচারপতি যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, সেটি অবিচারক সুলভ ভাষা বলে আইনজ্ঞরা মতপ্রকাশ করেছেন। যেহেতু বিষয়টি বিচারালয়ের, সেজন্য বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নজরে এসেছে। বিষয়টি প্রধান বিচারপতি দেখবেন। তিনি যদি মনে করেন, এটা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে পাঠাবেন, তাহলে সেটা তার এখতিয়ার।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, কারো বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলে, তিনি যদি আওয়ামী লীগ নেতাও হন, তবুও তাকে গ্রেপ্তার করা হবে, এমনটিই স্বাভাবিক। দুটি মামলায় পরোয়ানা থাকায় বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন এ্যানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাকে ডাকাতের মতো ধরে নেওয়া হয়েছে এবং সরকার একতরফা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি মহাসচিব কি বলতে চাচ্ছেন যে, পরোয়ানা থাকলেও তাকে গ্রেপ্তার করা যাবে না? পরোয়ানা থাকলে তো আওয়ামী লীগ নেতাও গ্রেপ্তার হবেন। কারও বিরুদ্ধে ভাঙচুর কিংবা অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আছে, তাকে তো গ্রেপ্তার করা হবে, এটাই স্বাভাবিক। কাজেই তারা (বিএনপি নেতারা) যে আইন ও বিচার মানেন না, তারই প্রমাণ হচ্ছে ফখরুলের এই বক্তব্য।

আইএমএফ এক গবেষণাপত্রে জানিয়েছে, সারা বিশ্বে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ হবে, তখনও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ হবে এবং এটা বেড়ে ২০২৮ সালের মধ্যে ৭ শতাংশ হবে অপর প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী মন্দা চলছে। এর মধ্যেও আমাদের প্রবৃদ্ধি বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো। এখন নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে অনেক কথা হয়। পৃথিবীর সব দেশে নিত্যপণ্যের দাম বেশি। নিত্যপণ্যের দাম বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে। সরকার চেষ্টা করছে টিসিবির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সহায়তা করার জন্য, যে কারণে বাংলাদেশে কোনো হাহাকার নেই। নিত্যপণ্যের ঘাটতি ঘটেনি। ইউরোপ আমেরিকায় নিত্যপণ্যের ঘাটতি দেখা দেয়নি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর সুপারমলে এক লিটারের বেশি তেল কিনতে দেওয়া হয়নি। ছয়টির বেশি ডিম কিনতে দেওয়া হয়নি। আমাদের দেশে সে ধরনের পরিস্থিতি হয়নি। করোনার সময় ২০টি দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তিন নম্বরে। তিনি বলেন, এখনও বিশ্বময় প্রবৃদ্ধি নিচে। সেখানে বিশ্বের গড় প্রবৃদ্ধির থেকে আমাদের প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণেরও বেশি। এটি আইএসএফ এর প্রতিবেদন। এখন আমি অপেক্ষায় আছি এই প্রতিবেদনের ওপর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব কি বলবেন। বা বিএনপির নেতারা কি বলবেন সেটা শোনার অপেক্ষায় আছি।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বদলে যাচ্ছে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যদের পোশাক
সাবেক এমপি মোস্তফা জালাল গ্রেপ্তার
সারা দেশে কমবে রাতের তাপমাত্রা,জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর
অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন মামুন
সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
আরও

আরও পড়ুন

কম মূল্যে জমি বিক্রি না করায় দাউদকান্দিতে ছাত্রদলের নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ

কম মূল্যে জমি বিক্রি না করায় দাউদকান্দিতে ছাত্রদলের নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ

ঈশ্বরগঞ্জে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা

ঈশ্বরগঞ্জে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা

বনানীতে সড়কে সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ, রাস্তা বন্ধ

বনানীতে সড়কে সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ, রাস্তা বন্ধ

বগুড়া সেনানিবাসে সাঁজোয়া কোরের ৪৪তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে যোগ দিলেন সেনা প্রধান

বগুড়া সেনানিবাসে সাঁজোয়া কোরের ৪৪তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে যোগ দিলেন সেনা প্রধান

গাজীপুরে এ্যাপারেলস্ কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে আহত ১২

গাজীপুরে এ্যাপারেলস্ কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে আহত ১২

ব্যবহারকারীদের আশ্বাস ট্রাম্পের, যুক্তরাষ্ট্রে ফের চালু টিকটক

ব্যবহারকারীদের আশ্বাস ট্রাম্পের, যুক্তরাষ্ট্রে ফের চালু টিকটক

পদ্মায় ধরা পড়লো ৪২ কেজির মহা বিপন্ন বাঘাইড় মাছ

পদ্মায় ধরা পড়লো ৪২ কেজির মহা বিপন্ন বাঘাইড় মাছ

আরও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রিয়ালের প্রেসিডেন্ট পেরেজ

আরও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রিয়ালের প্রেসিডেন্ট পেরেজ

সিলেটে প্রখ্যাত আলেম ইসহাক আল মাদানির ইন্তেকাল!

সিলেটে প্রখ্যাত আলেম ইসহাক আল মাদানির ইন্তেকাল!

গাজার ধ্বংসস্তূপে নতুন স্বপ্ন বুনছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষ

গাজার ধ্বংসস্তূপে নতুন স্বপ্ন বুনছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষ

গাজা চুক্তিকে যেকারণে ‘হামাসের জয়’ বলছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম

গাজা চুক্তিকে যেকারণে ‘হামাসের জয়’ বলছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম

সত্যিকারের সুখী হওয়া অনেক কঠিনঃ মিশা

সত্যিকারের সুখী হওয়া অনেক কঠিনঃ মিশা

গাজায় ব্যাংক সেবা পুনরায় চালুর প্রস্তুতি শুরু ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের

গাজায় ব্যাংক সেবা পুনরায় চালুর প্রস্তুতি শুরু ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের

বদলে যাচ্ছে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যদের পোশাক

বদলে যাচ্ছে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যদের পোশাক

লক্ষ্মীপুরে ড্রামট্রাকের চাপায় প্রাণ গেল দুই অটোরিকশা যাত্রীর

লক্ষ্মীপুরে ড্রামট্রাকের চাপায় প্রাণ গেল দুই অটোরিকশা যাত্রীর

মানিকগঞ্জে পদ্মায় বড়শিতে ধরা পরল ৯ কেজি ওজনের বোয়াল

মানিকগঞ্জে পদ্মায় বড়শিতে ধরা পরল ৯ কেজি ওজনের বোয়াল

রাজশাহী নার্সিং কলেজের ১৪ শিক্ষার্থী ফেল করে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দিলেন

রাজশাহী নার্সিং কলেজের ১৪ শিক্ষার্থী ফেল করে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দিলেন

মেলানিয়া ট্রাম্প বাজারে আনলেন নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি

মেলানিয়া ট্রাম্প বাজারে আনলেন নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি

সাবেক এমপি মোস্তফা জালাল গ্রেপ্তার

সাবেক এমপি মোস্তফা জালাল গ্রেপ্তার

শরীয়তপুর পৌরসভার বিএনপি কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

শরীয়তপুর পৌরসভার বিএনপি কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা