দিনভর চরম দুর্ভোগের পর চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৭ এএম
দিনভর সীমাহীন জনদুর্ভোগের পর গতকাল রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৫ জেলায় ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত ঘোষণা করেছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। তার আগে বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামানসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে বসেন ঐক্য পরিষদের নেতারা। সেখানে তারা তাদের চার দফা দাবি তুলে ধরেন। পরে পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ মুসা ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দেন। তিনি ইনকিলাবকে বলেন, জেলা প্রশাসক আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। আর তাই আমরা ধর্মঘট স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই ঘোষণার পর সন্ধ্যায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
তার আগে গতকাল ভোর ৬টা থেকে বন্দরনগরীসহ চট্টগ্রামের ৫ জেলায় ধর্মঘট শুরু হয়। ধর্মঘটে নগরীতে গণপরিবহন চলাচল কমে যায়। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটিসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তাতে চরম দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রীরা। কর্মদিবসের প্রথম দিনে রাস্তায় নেমে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় কর্মজীবীদের। বেশি বিপাকে পড়েন স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। ঈদ ও তীব্র গরমের কারণে দীর্ঘ ছুটির পর গতকাল স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় ক্লাশ শুরু হয়।
প্রখর রোদ উপেক্ষা করে যাত্রীদের রাস্তায় অপেক্ষা করতে দেখা যায়। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও মিলেনি গণপরিবহন। একটি বাস আসতেই তাতে উঠতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন অনেকে। নগরী থেকে জেলা-উপজেলায় গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকে। একইভাবে জেলা-উপজেলা থেকে কোনো গণপরিবহণও নগরীতে ঢুকতে পারেনি। দূরপাল্লার গণপরিবহণেরও একই পরিস্থিতি। এর ফলে কার্যত চট্টগ্রাম অঞ্চল সড়ক পথে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গাড়ির অভাবে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে কর্মস্থল ও গন্তব্যে যাওয়ার জন্য শত শত মানুষকে অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। অনেকে গণপরিবহণ না পেয়ে ট্রাকে করে গন্তব্যে ছুটেন। নগরীতে রিকশা, অটোরিকশা চলাচল করলেও বেশি ভাড়া আদায় করেন চালকরা।
এর মধ্যে সকালে ধর্মঘট আহ্বানকারী সংগঠনের শ্রমিকরা নগরীতে বাস-মিনিবাস চলাচল ঠেকাতে রাস্তায় নামেন। নগরীর বহদ্দারহাটসহ কিছু এলাকায় বাস ভাঙচুরের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপর থেকে বাস-মিনিবাস চলাচল সীমিত হয়ে পড়ে। ২২ এপ্রিল বিকেলে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের জিয়ানগর এলাকায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে শাহ আমানত পরিবহণের একটি বাস মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। মোটরসাইকেলে আরোহী ছিলেন চুয়েটের তিন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই শান্ত সাহা (২০) ও তৌফিক হোসেন (২১) নামে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। একই ঘটনায় আরেক শিক্ষার্থী জাকারিয়া হিমু গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন। দুর্ঘটনার পর ২২ এপ্রিল বিকেল থেকে ২৫ এপ্রিল রাত পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন। এসময় কয়েকটি বাসে আগুন ও ভাঙচুর করা হয়। বাসে আগুন ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে এই ধর্মঘট আহ্বান করা হয়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মোটরসাইকেলের গতিসীমা নিয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার
লু নিয়ে বিএনপি নয়, আ. লীগ অতি-উৎসাহী : ফারুক
সাভারের বিরুলিয়ায় ইয়াবা ও নারী সহযোগীসহ যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাকে ইসরাইলি সেটলারদের হামলা, নিন্দা যুক্তরাষ্ট্রের
‘সর্বজনীন’ পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে জাবির বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের মানববন্ধন
ভারতের নির্বাচনের পরই দীর্ঘমেয়াদি ভিসা ইস্যুতে ব্যবস্থা নেয়া হবে : নানক
উচ্চ আদালতে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত
শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদের পুকুর থেকে আদিবাসী বাগদীর লাশ উদ্ধার
নিজের উদ্ভাবন দিয়েই ক্যানসারমুক্ত হলেন অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসক
শার্শায় পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩টি হাতবোমা উদ্ধার
উৎপাদনে ফিরেছে চাঁদপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র
ইরানের সঙ্গে বন্দর চুক্তি, ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি আমেরিকার!
চিকিৎসার জন্য সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরে গেলেন মির্জা আব্বাস
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এবার নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণের অভিযোগ
দলের সভাপতিত্বের পদ ছাড়লেন শাহবাজ শরিফ
বাগেরহাট অটোচালক হত্যার ঘটনায় ভ্যানচালক ফাহাদ আটক
স্ত্রীকে হত্যার দায়ে কাজাখস্তানের সাবেক মন্ত্রীকে ২৪ বছরের কারাদণ্ড
জার্মানিতে সাইবার হামলা বেড়েছে
ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেলে অর্ধেক মূল্যছাড় পাবেন পুলিশ সদস্যরা
গাজা যুদ্ধে ১৯০ জনের বেশি জাতিসংঘ কর্মী নিহত