হাড়িভাঙ্গা আম রাজ্যে চাষিদের হতাশা
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৭ এএম
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পদাগঞ্জ হল হাড়িভাঙ্গা আমরাজ্যের প্রাণকেন্দ্র। যশোরের গদখালি যেমন ফুল রাজ্যের রাজধানী মিঠাপুকুরের পদাগঞ্জও ঠিক তাই। আমের মওশুমে এই পদাগঞ্জ আম ব্যাপারী,পাইকার ও খুচরা ক্রেতাদের ভীড়ে গমগম করে। উত্তর ও দক্ষিণ, পুর্ব ও পশ্চিম মিলিয়ে দুই আড়াই কিলোমিটার জুড়ে বসে আমের হাট। মধ্যজুনে শুরু হয়ে আগষ্টের শেষ পর্যন্ত একান থেকে প্রতিদিন শতাধিক আম বোঝাই ট্রাক যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। রাজশাহী, নাটোর,চাঁপাইনবাবগঞ্জের পর রংপুরের পদাগঞ্জ হলো বৃহত্তম আমের আড়ত।
একানকার াাম ব্যবসার ট্রেন্ড অনুযায়ি ফালগুনের শুরুতেই আমের বাগানগুলো মহাজনেরা অগ্রিম বায়না করে কিনে নেয়। মে’ জুনে বকেয়া শোধ করতে হয় চাষীদের। মে থেকেই অল্প বিস্তর আম কেনাবেচা শুরু হয়।
গত কয়েক বছর ধরে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের আগে আম বাজারজাত করন বন্ধ রয়েছে। গত বছর ১০ জুন থেকে হাড়িভাঙ্গা আম হাটে তোলার অনুমতি মিলেছিল বলে জানা যায়।
স্থানীয় আমবাগান ব্যবসায়ীদের ধারণা, এবার হয়তো জুনের ১৫ / ২০ তারিখ থেকেই হাঁড়িভাঙ্গা বাজারে তোলার অনুমতি মিলবে।
গত শনিবার দুপুরে পদাগঞ্জ হাট চত্বরের সামনে বাগান মালিকদের সাথে কথা বললে তারা হতাশা ও ক্ষেদের সাথে বললেন, ডেট দিয়া কি হইবে বাহে। গাছোত কি আম আছে, সব হিটে (গরমে) শুকে শুকে পড়ি গাছ সাফ হয়্যা গেছে। আম কোটে পাবে, বেচিবেই বা ক্যামনে। ‘
আমচাষীদের সাথে কথা বলার সময়, ইনকিলাব পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে অনেকেই খাতির যত্ন করেন। কারণ তাদের ভাষায় এইটা ( ইনকিলাব ) ভালো পত্রিকা। তাদের ভাষায় তাদের অনুরোধ, আমাদের সমস্যার কথা লেইখেন বাহে।
কয়েকজন বাগান মালিক তাদের বাগানে নিয়ে দেখালেন দৃষ্টি নন্দন বাগানে সারিসারি আমের গাছ আছে, কিন্তু আম নেই।
কেন নেই, জানতে চাইলে বলেন, তারা জানান, খরায়,তাপদাহে এবার আমের মুকুল শুকিয়ে গেছে। যেটুকু আমের গুটি বেঁধেছিল সেগুলো শুকিয়ে অকালে পেকে ঝরে পড়েছে।
তারা জানারেন ,রংপুরের এই হাড়িভাঙ্গা আম ইতোমধ্যে রংপুরের জি আই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই হাড়িভাঙ্গা আমম পাঠিয়েছেন ভারতের প্রধানমনত্রী,পশ্চিম বঙ্গ ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে। এটা নিয়ে আমচাষীরা গর্বিত। কিন্তু গাছেই যদি
আম না থাকে তাহলে তাদের পেট চলবে কিভাবে ? প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন তারা।
পদাগঞ্জের একটি আমবাগানে গিয়ে দেখা যায়, শাহাদাত (৩০) নামের এক বাগান মালিক তার গাছের নিচে বসে ঝরে পড়া আম দেখছে গভীর মনোযোগের সাথে। সাংবাদিক শুনে কাছে এসে জানালেন, আম বাগান করা তাদের পারিবারিক ব্যবসা। তার তিরিশ বছরের জীবনে এমন খরায় আম চাষের বিপর্যয় তিনি দেখেননি।
তার মতে সরকারিভাবে কৃষি প্রনোদনা দিয়ে আমচাষীদের পাশে দাঁড়ানো উচিত সরকারের।
মিঠাপুকুরের কৃষি সম্প্রসারন অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা মোঃ জাবের আলী প্রামানিক বলেন, খরায় সব ফসলের সাথে এবার আমেরও ক্ষতি হয়েছে। তবে তারা খরায় করনীয় সম্পর্কে সব সময় কৃষি বিভাগের ব্লক সুপারভাইজারদের মাধ্যমে আম চাষীদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যোগাযোগ করা হয়েছে সব সময়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
নতুন করে রিজার্ভ চুরি হয়নি : বাংলাদেশ ব্যাংক
উই ওয়ান্ট টু রিবিল্ড দ্য ট্রাস্ট- সালমান এফ রহমানকে লু
আনন্দঘন পরিবেশে ক্রিকেট আইকন মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে উপায় এজেন্টদের সাক্ষাৎ
সরকার জলবায়ু ঝুঁকি হতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের সুরক্ষায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে : পরিবেশমন্ত্রী সাবের চৌধুরী
উইলসন ডিজিজের’ জিন থেরাপি দিচ্ছে বিএসএমএমইউ
কাদের-চুন্নু জাতীয় পার্টিকে বিক্রি করে দিয়ে নেতাকর্মীদের ক্রীতদাস বানানোর চেষ্টা করেছে : কাজী মামুন
কোলকাতায় এখন মণিপাল হসপিটাল
ইসলামি দলগুলোর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশ্ন
ইউক্রেনের ১৬ হাজারেরও বেশি সাঁজোয়া যান ধ্বংস
সিঙ্গাপুরে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্টের বিনিয়োগ রোডশো
এসবিএসি ব্যাংকের ১১তম বর্ষপূর্তিতে স্মার্ট ব্যাংকিং সার্ভিস উদ্বোধন
কুষ্টিয়ায় কুলখানির আয়োজন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে একজন নিহত
রংপুরে কলেজ ছাত্র হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
চাকরিতে বয়স বাড়ানো হোক
তিস্তা বহুমুখী ব্যারাজ নির্মাণ নিয়ে ভারত-চীনের স্নায়ুযুদ্ধ
বাসযোগ্য সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি অন্তরায়
বনাঞ্চল রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে হিজবুল্লাহ
আইসিজেতে গণহত্যা মামলার পক্ষে অবস্থান নিল মালদ্বীপ
ইউক্রেন যুদ্ধে গোপনে ভূমিকা রাখছে ব্রিটিশ কমান্ডো দল