হালদায় নমুনা ডিম ছেড়েছে রুই-কাতলা মা-মাছ
০৮ মে ২০২৪, ১২:১৫ এএম | আপডেট: ০৮ মে ২০২৪, ১২:১৫ এএম
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র ও বঙ্গবন্ধু মৎস্য হ্যারিটেজ হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ভাটা ও দুপুর জোয়ারের সময় নদীর কয়েকটি পয়েন্টে নৌকা প্রতি ৫০০-৬০০ গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ করেন। সংগ্রহকারীরা এটাকে নমুনা ডিম বলে উল্লেখ করলেও পরিবেশ পেলে রাতে পুরোদমে ছাড়তে পারে বলে জানান তারা।
তবে নদীতে জাল, বাঁশের ভোরকা, বালতিসহ যাবতীয় সরঞ্জাম নিয়ে নদীতেই অবস্থান করবেন কয়েকশ ডিম সংগ্রহকারী। ডিম সংগ্রহকারী মো. হোছেন বলেন, ভোর সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার দিকে মদুনাঘাট ফাঁড়ির মুখে কয়েকজন ডিম সংগ্রহকারী অল্প পরিমান ডিম সংগ্রহ করে। খবর পেয়ে শতাধিক নদীতে নামলেও আর পাওয়া যায়নি। তবে দুপুরে জোয়ারের সময় কাটাখালী মুখসহ কয়েকটি পয়েন্টে আবারো নমুনা ডিম পাওয়া যায়। তবে পরিমান সকালের চেয়ে অনেকখানি বেড়েছে। ডিম সংগ্রহকারী শফিক, আব্দুল কাদের, সোহেল, আব্দুল কাইয়ুম, দুলাল জানান, যদি বজ্রসহ বৃষ্টি হয় উজানের পানি নামে তাহলে মা মাছ পুরোদমে ডিম ছেড়ে দিতে পারে। এদিকে সকাল ৬টার দিকে হালদানদীর রাউজান অংশের মইশকরম এলাকার চইল্যাখালিতে ডিম সংগ্রহকারী পাকিরাম দাশ, হরিরঞ্জন দাশ, সন্তোষ দাশ, সুজিত দাশ এবং সুনিলদাশ ১১টি নৌকার মাধ্যমে ডিম সংগ্রহ করেন। প্রতিটি নৌকায় গড়ে দুই থেকে আড়াই বালতি করে ডিম সংগ্রহ করেছেন বলে জানায় হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ৬ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত হালদায় ডিম ছাড়ার অমাবস্যার জোঁ চলছে। সংবাদটি করা অব্দি নদীতে হাটহাজারী ও রাউজানের কয়েকশ’ ডিম সংগ্রহকারী নদীতে ডিম সংগ্রহ করছেন। তবে ডিম ছাড়ার মৌসুমে ডিম সংগ্রহের পর পাকা ও মাটির কুয়ায় সরকারি ও বেসরকারিভাবে উৎপাদিত রেণুর পরিমানের সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। সরকারিভাবে হ্যাচারীর তথ্য পাওয়া গেলেও বেসরকারিভাবে সঠিক পরিমান পাওয়া যায় না। ডিম ও রেণুর পরিমান নির্ধারণকল্পে মৎস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে যে তথ্য দেয়া হয় প্রকৃত ডিম সংগ্রহকারীদের তথ্যের সাথে অমিল পাওয়া যায়। দেখা যায়, সরকারিভাবে হ্যাচারীর কুয়ার চেয়ে বেসরকারিভাবে মাটির কুয়াকে প্রাধান্য দেয়া হয় বেশি। ডিম ও রেণুর পরিমাণ সঠিক নির্ধারণে অনেকেই কমিটিতে স্থানীয় প্রতিনিধিদের রাখার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে মাছুয়াঘোনা হ্যাচারী, শাহ মাদারি ও মদুনাঘাট হ্যাচারীর কুয়া কোনমতে সংস্কার হলেও সবচেয়ে বেশি ডিম সংগ্রহকারীর ভিড় মাছুয়াঘোনা হ্যাচারীর জরাজীর্ণ টিন পরিবর্তন করা হয়নি। সরেজমিনে দেখা গেছে, টিনের অনেক জায়গায় ছোটবড় ফুটোর সৃষ্টি হয়েছে। ডিম সংগ্রহকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যেখানে সরকার হালদাকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন সেখানে মৌসুমের আগে ডিম থেকে রেণু উৎপাদনের হ্যাচারীগুলো সংস্কার হয় ধীরগতিতে।
তাও জোঁ চলাবস্থায়। বার বার বলার পরও হ্যাচারীর জরাজীর্ণ টিন পরিবর্তন করা হয়নি। জানতে চাইলে সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফারুক মায়েদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে পিডির সাথে কথা হয়েছিল তিনি বলেছেন এ বছর বরাদ্দ নেই। আগামি বছর নতুন প্রকল্পে কাজ করা হবে।##
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
এখন প্রতি সপ্তাহে ২৫০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত সেভিংস খোলা যাচ্ছে বিকাশ অ্যাপে
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি’র কৃষি সহায়তা প্রকল্প
কুমিল্লায় উপজেলা নির্বাচনে এমপির ভূমিকায় ভোটের পরিবেশ বিঘ্নিতের আশঙ্কা
শীঘ্রই বাজারে আসছে টেকনো ক্যামন ৩০ সিরিজের ফোন
মাঝে মাঝে তার নম্বর খোলা পাওয়া যাচ্ছে, মাঝে মাঝে বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে : ডিবি প্রধান
এমপি আনোয়ারুল আজিমের ব্যবহৃত নম্বরটি খুলছেন আবার বন্ধ করছেন: ডিবি
লুটপাট করে গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে আ'লীগ: প্রিন্স
অ্যাকাডেমিক ব্যাংকিং সেবা ‘প্রাইমঅ্যাকাডেমিয়া’ চালু করলো প্রাইম ব্যাংক পিএলসি
বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএইর সভাপতি মামুন সম্পাদক মুহাম্মদ মোরশেদ
পোশাকখাতের উন্নয়নে ইইউকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান বিজিএমইএর
দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও রিজার্ভ সংকট জাতির জন্য অশনি সংকেত: ১২ দলীয় জোট
সংকট গভীর হওয়ার আগেই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের স্থায়ী সমাধান জরুরি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : চলছে অনুসন্ধান
পর্তুগাল বাংলা প্রেস ক্লাবে যুক্ত হলেন একদল নতুন সদস্য
কাল থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ
দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই : মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী
মিডিয়ার কন্ঠরোধ করে দেশকে বাকশালের দিকে নিয়ে যাচ্ছে সরকার
ইনফ্লেমেটরি বাওয়েল ডিজিজ নিয়ে গবেষণা চলছে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
বৈষম্য কমিয়ে শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরিসহ অধিকার নিশ্চিত করতে হবে : ড. খলীকুজ্জমান
২৪ ঘন্টা থেকে সাত দিনের মধ্যে মৃত বীমা দাবি পরিশোধ করবে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পানি